ঢাকা, শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫
Sharenews24

ক্রিস্টিনের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন সজীব ওয়াজেদ জয়

২০২৫ জানুয়ারি ১৪ ১৫:৪০:০৭
ক্রিস্টিনের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন সজীব ওয়াজেদ জয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : সোমবার (১৩ জানুয়ারি), বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানিয়েছিলেন যে, তিনি এবং তার স্ত্রী ক্রিস্টিন প্রায় তিন বছর আগে আলাদা হয়ে গেছেন। এই পোস্টটি এমন একটি সময় প্রকাশিত হয়, যখন তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে যে, তিনি এবং তার পরিবার আন্তর্জাতিক আর্থিক অপরাধে যুক্ত।

এফবিআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, সজীব ওয়াজেদ জয় ও তার মা শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের সঙ্গে জড়িত। এই টাকা স্থানান্তরের জন্য কয়েকটি সন্দেহজনক ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ব্যবহার এবং অর্থের লেনদেনের অভিযোগ ওঠে। ফেডারেল তদন্তের ফলে এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২২ ডিসেম্বর ২০২৪-এ এই মামলা তদন্ত শুরু করে।

তবে সজীব ওয়াজেদ জয় এই প্রতিবেদনের তথ্যগুলোকে ভুল ও বিভ্রান্তিকর দাবি করেছেন। তিনি স্পষ্ট করেছেন যে, রিপোর্টে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে তা অসাবধানতার ফল, এবং তিনি দাবি করেছেন যে, এফবিআই তদন্তে গুরুতর ভুল করেছে। তার মতে, ওই প্রতিবেদনটিতে একটি 'ভুল' এজেন্টের নাম এবং 'মৃত' একজন আইনজীবীর উল্লেখ করা হয়েছে, যারা বহু বছর আগে মারা গেছেন। তিনি এই বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে সংবাদমাধ্যমে একটি লিংকও শেয়ার করেছেন, যা ওই আইনজীবীর মৃত্যুর খবরের প্রমাণ দেয়।

এফবিআইয়ের প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে যে, সজীব ওয়াজেদ জয় এবং তার স্ত্রী ক্রিস্টিনের সন্দেহজনক ব্যাংক লেনদেন সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া গেছে ম্যাসাচুসেটস ও ভার্জিনিয়া রাজ্য থেকে। তদন্তে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, জয় ৮টি বিলাসবহুল গাড়ির মালিক, যার মধ্যে ম্যাকলারেন ৭২০এস, মার্সিডিজ বেঞ্জ এবং রেঞ্জ রোভার অন্তর্ভুক্ত। যদিও জয় দাবি করেছেন, এই গাড়িগুলির বেশিরভাগই পুরনো এবং তারা বহু বছর আগে বিক্রি হয়ে গেছে।

এফবিআই আরও জানিয়েছে যে, জয় এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ থেকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। এছাড়া, রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সজীব ওয়াজেদ জয় একটি মানি লন্ডারিং চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন, এবং তাদের ওয়াশিংটন ডিসি, নিউইয়র্ক ও লন্ডনে অর্থ স্থানান্তরের বিষয়টি সন্দেহজনক।

সজীব ওয়াজেদ জয় তার ফেসবুক পোস্টে বলেন, তিনি এই তদন্তের বিরুদ্ধে থাকবেন এবং তার বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগগুলো প্রমাণিত হতে হবে। তিনি দাবি করেছেন, তার কোনো অফশোর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই এবং সব ধরনের লেনদেন বৈধভাবে পরিচালিত হয়েছে।

এফবিআইয়ের প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, জয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন, যার মধ্যে "ওয়াজেদ কনসালটিং ইনকর্পোরেটেড" একটি উল্লেখযোগ্য নাম, যা বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট প্রকল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল।

এই বিষয়ে সজীব ওয়াজেদ জয় স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে, তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করছেন এবং তিনি যে কোনো অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নন।

কেএইচ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে