ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
Sharenews24

বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিতে পুনর্জাগরণের সম্ভাবনা

২০২৪ ডিসেম্বর ২৫ ২১:৫২:১৬
বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিতে পুনর্জাগরণের সম্ভাবনা

নিজস্ব প্রতিবেদক: যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বর্তমানে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি থাকলেও ইউরোপের বাজারে পোশাক রপ্তানি ধীরে ধীরে ইতিবাচক ধারায় ফিরছে। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাসে ইউরোপের বাজারে রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়ে ১.৪৩ শতাংশে পৌঁছেছে। এটি দেশের পোশাক খাতের পুনর্জাগরণের লক্ষণ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। কারণ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইউরোপে রপ্তানির পরিমাণ ২.০২ শতাংশ কমেছিল।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে চীন ও বাংলাদেশের পরেই তুরস্ক, ভারত, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান, মরক্কো, শ্রীলঙ্কা এবং ইন্দোনেশিয়ার অবস্থান রয়েছে। এই দেশগুলোর মধ্যে কিছু দেশের রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে, যেমন—কম্বোডিয়া, পাকিস্তান, মরক্কো, ভিয়েতনাম এবং ভারত। তবে, তুরস্ক, শ্রীলঙ্কা এবং ইন্দোনেশিয়ার রপ্তানি বেড়েছে।

রপ্তানিকারকেরা আশা করছেন, শিল্প খাতে স্থিতিশীলতা ফিরে এলে ইউরোপের বাজারে রপ্তানি আরও বৃদ্ধি পাবে, যা দেশের সামগ্রিক রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ইউরোস্টেটের তথ্যমতে, চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে ইইউর কোম্পানিগুলো বিভিন্ন দেশ থেকে ৭ হাজার ৭৭৭ কোটি ৬৩ লাখ মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ০.৫৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। চীন ইইউতে পোশাক রপ্তানিতে শীর্ষে অবস্থান করছে এবং চলতি বছর ২ হাজার ১৫৮ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের তুলনায় ১.১৪ শতাংশ বেড়েছে।

বাংলাদেশ চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ইইউতে ১ হাজার ৬২৮ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের চেয়ে ১.৪৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে একই সময়ে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ৬১৪ কোটি ডলারে পৌঁছেছে, যা ৩.৩৩ শতাংশ কম।

বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল এই বিষয়ে জানান, ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির কারণ হচ্ছে ইউরোপের অর্থনৈতিক উন্নতি। বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির কারণে ইউরোপের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো আগে পোশাক আমদানি সীমিত করেছিল, কিন্তু বর্তমানে তারা আবার আমদানি বৃদ্ধি করছে। তবে প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর হলে বাংলাদেশের রপ্তানি আরও বৃদ্ধি পাবে।

তিনি বলেন, তবে কম্বোডিয়া ইউরোপের বাজারে দ্রুত বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগের কারণ তৈরি হয়েছে। চলতি বছর কম্বোডিয়া ইউরোপের বাজারে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করেছে, যা বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জ হতে পারে।

বর্তমানে শ্রমিক অসন্তোষ, উৎপাদন খরচ বাড়ানোর উপর গুরুত্ব না দেওয়া হলে পরিস্থিতি আরও কঠিন হতে পারে।

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও বাংলাদেশের পক্ষে প্রতিযোগিতামূলক থাকতে হলে উৎপাদন দক্ষতা বাড়ানো প্রয়োজন।

মিজান/

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে