ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
Sharenews24

ছোট হয়ে আসছে দিন, মিলে যাচ্ছে মহানবীর (সাঃ) ভবিষ্যদ্বাণী

২০২৪ অক্টোবর ১৩ ১৯:০৭:০৫
ছোট হয়ে আসছে দিন, মিলে যাচ্ছে মহানবীর (সাঃ) ভবিষ্যদ্বাণী

নিজস্ব প্রতিবেদক: পৃথিবীর আবর্তনের গতি গত ৫০ বছর ধরে বাড়ার কারণে গ্রহটির প্রতিটি দিনের দৈর্ঘ্য ২৪ ঘণ্টারও কম হচ্ছে বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মেইল ​​এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, প্রতিটি দিনের দৈর্ঘ্য কমে যাওয়ার প্রমাণও পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবীর দ্রুত আবর্তনের কারণে একটি দিনের দৈর্ঘ্য স্বাভাবিক ২৪ ঘণ্টার চেয়ে কম হচ্ছে।

এদিকে জ্যেতি বিজ্ঞানীরা জানান, ২০২০ সালে সব থেকে ছোট দিনের সংখ্যা ছিল ২৮টি। ১৯৬০ সালের পর এটাই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ছোট দিনের সংখ্যা।

২০২১ সালে আরও ছোট দিন এসেছে। ২২,২৩, ২৪ সালেও সময়ের আগেই তথা ২৪ ঘণ্টার আগে দিন ফুরিয়ে যাওয়ার নজির মিলেছে।

সময় ও তারিখ অনুযায়ী, সূর্যের প্রতি গড় হিসাবে পৃথিবী প্রতি ৮৬ হাজার ৪০০ সেকেন্ডে একবারে ঘোরে, যা ২৪ ঘণ্টা বা একটি আর্থ সৌর দিনের সমান।

তবে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, ২০২১ সালের গড় দিনটি ৮৬ হাজার ৪০০ সেকেন্ডের চেয়ে ০.০৫ মিলি সেকেন্ড কম হবে।

১৯৬০ সাল থেকে দিনের দৈর্ঘ্যের অতি-সুনির্দিষ্ট রেকর্ড রেখে চলা পারমাণবিক ঘড়িগুলো পুরো বছর ধরে প্রায় ১৯ মিলি সেকেন্ডের ব্যবধান তৈরি করবে।

পারমাণবিক ঘড়ির হিসাব অনুযায়ী, গত ৫০ বছর ধরে পৃথিবী একটি আবর্তন সম্পন্ন করতে ২৪ ঘণ্টার (৮৬ হাজার ৪০০ সেকেন্ড) চেয়ে কিছুটা কম সময় নিয়েছে।

লাইভ সায়েন্সের একটি প্রতিবেদনে জানা যায়, রেকর্ডে সবচেয়ে দ্রুততম ২৮টা দিন দেখা যায় ২০২০ সালে। কারণ, ওই দিনগুলোতে পৃথিবী নিজের অক্ষের চারপাশে ঘূর্ণয়নগড় থেকে প্রায় মিলি সেকেন্ড সময় দ্রুত সম্পন্ন করে।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০ সালের আগে সব থেকে ছোট দিন রেকর্ড হয়েছিল ২০০৫ সালে। তবে ২০২০ সালের ১২ মাসে ২৮ বার সেই রেকর্ড ভেঙে গেছে।

ডেইল মেইলের প্রতিবেদনে জানায়, ১৯২০ সালের ২০ জুলাই পৃথিবীতে সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত দিনটি রেকর্ড করা হয়েছিল (যেহেতু ওই দিনেই রেকর্ড শুরু হয়েছিল)। ওই দিনটি ছিল ২৪ ঘণ্টার চেয়ে ১.৪৬০২ মিলি সেকেন্ড কম।

এদিকে বিশিষ্ট আলেমরা এমন ঘটনা কেয়ামতের আলামত হিসেবেই উল্লেখ করেছেন। তাদের মতে সত্যের দিশাদাতা নবী করিম (সা.) কেয়ামতের আলামত ও লক্ষণগুলো স্পষ্ট করে বলে গিয়েছেন।

তিরমিযী হাদিসে বলা হয়েছে, নবী করিম (সা.) কেয়ামতের আলামতের আরেকটি উদাহরণ দিয়ে বলেছেন ‘সময় সঙ্কুচিত হয়ে যাবে’।

আলেমরা এর ব্যাখ্যায় বলেছেন, সময় সঙ্কুচিত হওয়ার মানে, বছর মাসের মতো আর মাস সপ্তাহের মতো হয়ে যাবে। আর সপ্তাহ হবে দিনের মতো। দিন হবে ঘণ্টার মতো। ঘণ্টা হবে খেজুর গাছের পাতা পোড়ার মতো ক্ষণিক।

মিজান/

পাঠকের মতামত:

লাইফ স্টাইল এর সর্বশেষ খবর

লাইফ স্টাইল - এর সব খবর



রে