ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

শেয়ারবাজারে বড় পতন, আতঙ্কে বিনিয়োগকারীরা

২০২৪ মার্চ ০৭ ১৫:১৮:৫৯
শেয়ারবাজারে বড় পতন, আতঙ্কে বিনিয়োগকারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : টানা পাঁচ দিন ধারাবাহিক পতনের পর আগের দিন বুধবার ৩৫ পয়েন্ট সূচক বেড়েছিল। এতে লোকসানে দিশেহারা বিনিয়োগকারীরা কিছুটা হলেও আশার আলো দেখেছিল। কিন্তু আজ বড় পতনের ধাক্কায় তাদের সেই আশা দুরাশায় পরিণত হয়েছে। আজ বাজারজুড়েই ছিল আতঙ্কের ঘনঘটা।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ১১ ফেব্রুয়ারি প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ছিল ৬ হাজার ৪৪৭ পয়েন্ট। তারপর থেকে চলতে থাকে ধারাবাহিক পতন। এরমধ্যে অতিবাহিত হয় ১৭ কর্মদিবস। এই ১৭ কর্মদিবসের মধ্যে মাত্র তিন কর্মদিবস ডিএসইর সূচক ইতিবাচক থাকে। বাকি ১৪ কর্মদিবসই থাকে নেতিবাচক প্রবণতায়। তারমধ্যে অন্তত ৪-৫ দিন দেখা যায় আতঙ্ক ছড়ানো সূচকের বড় পতন।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, আজ লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান প্রবণতা দেখা যায়। কিন্তু সময় যতই অতিবাহিত হচ্ছিল, বাজারে সেল প্রেসার ততই বাড়ছিল। বিশেষে করে শীর্ষ মূলধনী কোম্পানি বৃটিশ অ্যামেরিকান ট্যোবাকো ও গ্রামীণফোনের শেয়ারে চলছিল অস্বাভাবিক সেল প্রেসার। কোনভাবেই কোম্পানি দুটির শেয়ার সামনে এগুতে পারছিল না। ওই দুই কোম্পানির সেল প্রেসারেই বাজার নেতিবাচক প্রবণতায় টার্ন নেয়।

তারপরও লেনদেনের প্রথম ভাগে বাজার নেতিবাচক থাকলে সহনীয় পর্যায়ে থাকে। কিন্তু বেলা সাড়ে ১২টার পর বাজার বড় পতনের দিকে টার্ন নেয়। এই সময়ে বাজারে অস্বাভাবিক সেল প্রেসার দেখা যায়। যা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এক পর্যায়ে ডিএসইর সূচক অর্ধশত পয়েন্ট পড়ে যায়। তখন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অজানা আতঙ্ক ভর করতে থাকে। যার ফলে সেল প্রেসার আরও ঘনীভূত হয়।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একটি বড় বিনিয়োগ গোষ্টি বাজারে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ফায়দা লুটছে। যে কারণে বাজারে হঠাৎ হঠাৎ পতনের বড় ঝাপ্টা দেখা যায়। যে পতনের কোনো যুক্তিসংগত কারণ থাকে না। তারপর কম দামে শেয়ার সংগ্রহ করে তারা আবার বাজারকে ওপরে তুলে সেসব শেয়ারে মুনাফা তোলে। এটা যেন এখন তাদের জন্য নিয়মিত মহড়া হয়ে দেখা দিয়েছে।

তাঁরা বলছেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে এই বিষয়ে অনুসন্ধান করতে হবে। কেন বার বার বড় পতনের কবলে পড়ে যায় বাজার। তারপর আবার ওঠেও যায়। কিন্তু সেই ওঠা স্থায়ীও হয় না। বাজারের স্বার্থে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে এর আসল রহস্য বের করতে হবে।

বৃহস্পতিবারের বাজার পর্যালোচনা

আজ বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) ডিএসইর প্রধান প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫৩.৩৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬ হাজার ১১২ পয়েন্টে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরীয়াহ সূচক ৭.১২৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৩৫ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯৪ পয়েন্টে।

আজ ডিএসইতে ৭০৩ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৭৩০ কোটি ৩৯ লাখ টাকার।

আজ ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৯৬টি প্রতিষ্ঠানের ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৪৬টির, কমেছে ৩০৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৬টির।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) আজ ১১ কোটি ২০ লাখ ২০ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২২ কোটি ৭২ লাখ ৯৯ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

আজ সিএসইতে ২৩৬টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৪৪টির, কমেছে ১৭০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টি প্রতিষ্ঠানের।

আগের দিন সিএসইতে ২৪৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যার মধ্যে দর বেড়েছিল ১১০টির, কমেছিল ১০৭টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩০টি প্রতিষ্ঠানের।

শেয়ারনিউজ, ০৭ মার্চ ২০২৪

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে