ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

ফোর্স সেলে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে বিনিয়োগকারীরা

২০২৪ জানুয়ারি ২৮ ২১:০৩:১৬
ফোর্স সেলে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে বিনিয়োগকারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : শেলীনা আকতার মার্কেন্টাইল ব্যাংক সিকিউরিটিজের একজন মার্জিনধারী বিনিয়োগকারী। তিনি অনেক বছর যাবত প্রতিষ্ঠানটির ধানমন্ডি শাখার মাধ্যমে শেয়ার ব্যবসা করছেন (কোড নম্বর-৩৬৯৮)। যদিও তিনি শেয়ারবাজারের একজন ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী। আজ রোববার (২৮ জানুয়ারি) মার্কেন্টাইল ব্যাংক সিকিউরিটিজ কর্তৃপক্ষ তার সাথে কোনো রকম যোগাযোগ ছাড়াই তার অনেক শেয়ার ফোর্স সেল করে দিয়েছেন।

তোফায়েল আহমেদ দীর্ঘদিন যাবত শেয়ার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তিনি বড় দুটি ব্রোকারেজ হাউজের মাধ্যমে শেয়ার ব্যবসা করছেন। তার অ্যাকাউন্ট ফোর্স সেলের আওতায় আসতে পারে এবং ফোর্স সেলের আওতায় আসলে হাউজগুলো গণহারে তার শেয়ার বিক্রি করে দেবে, এমন আশঙ্কায় তিনি নিজেই বাধ্য হয়ে লসে অনেক শেয়ার বিক্রি করেছেন।

এছাড়া বড় বড় অনেক ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক তাদের যেসব গ্রাহকের ইক্যুইটি মাইনাস হওয়ার পথে, তাদের কোডের শেয়ার ফ্লোর্স সেলে দিচ্ছেন-এমন তথ্য জানিয়েছেন শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা।

আজ অনেক বিনিয়োগকারী শেয়ারনিউজের কাছে ফোন করে কান্না-জড়িত কন্ঠে তাদের নিঃশেষ হওয়া কথা জানান। অনেকে নাম প্রকাশ করতেও ভয় পাচ্ছেন। কারণ সিকিউরিটিজ হাউজগুলোতে তাদের এখনো যৎসামান্য বিনিয়োগ রয়েছে। অভিযোগের কথা জানতে পারলে ব্রোকারেজ হাউজগুলো তাদের আরও ক্ষতি করতে পারে।

এদিকে ব্রোকারেজ হাউজের কর্মকর্তারা বলছেন, তারা যে ফোর্স সেল করছেন, তা নিয়ম-নীতি মেনেই করছেন। তাদের দাবি, ক্লায়েন্টদের ইক্যুইটি মাইনাস হয়ে গেলে তারা নিজেরাই ক্ষতির মধ্যে পড়ে যাবেন। যেজন্য গ্রাহকদের দিক চিন্তা করা তাদের পক্ষে আর সম্ভব হচ্ছে না।

বিনিয়োগকারীরা বলছেন, যারা ফ্লোর প্রাইস তোলার জন্য এতোদিন উঠেপড়ে লেগেছিলেন, যারা জোর গলায় বলেছিলেন, ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর তারা প্রয়োজনীয় সাপোর্ট দেবেন, তারা এখন কোথায়? তারাই বিনিয়োগকারীদের এই ফোর্স সেলের নেপথ্য নায়ক।

বিনিয়োগকারীদের প্রশ্ন, ফ্লোর প্রাইস তোলার পর বাজার ধসিয়ে দিয়ে ব্রোকারেজ হাউজ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা মার্জিনধারী বিনিয়োগকারীদের পথে বসিয়ে দিচ্ছে। তারা শেয়ারবাজারে লুটপাট করার জন্য সব সময়ে নানা ফন্দি-ফিকিরে থাকে। এবার সেই সুযোগ আরও ভালোভাবে কাজে লাগাচ্ছে।

বিনিয়োগকারীরা বলছেন, বিভিন্ন হাউজ থেকে ক্লায়েন্টদের পোর্টফোলিও থেকে যে ফোর্স সেল দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ন্ত্রক সংস্থার অজানা নয়। তারপরও নিয়ন্ত্রক সংস্থা নিরব কেন?

তাদের দাবি, বিএসইসি কী অসহায় বিনিয়োগকারীদের কান্না দেখতে পারছে না। অসহায় বিনিয়োগকারীরা যাতে ফোর্স সেলের কবলে পড়ে নিঃশেষ হয়ে না যায়, সেজন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার আশু হস্তক্ষেপ তারা কামনা করেছেন।

শেয়ারনিউজ, ২৮ জানুয়ারি ২০২৪

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে