নগর দরিদ্রের ২৩ শতাংশের নেই জাতীয় পরিচয়পত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক : এক জরিপের ফলাফল প্রকাশ করতে গিয়ে গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক ড.আবুল বারকাত জানান, ১৮ বা তার বেশি বয়সী নগর দরিদ্রদের ২৩ শতাংশের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, ৫২ শতাংশের জন্ম নিবন্ধন সনদ নেই। এক জন নাগরিক যে একটি দেশের নাগরিক তার কিছু চিহ্ন থাকে। অন্তত কাগজে কিছু থাকলে ভালো হয়। অথচ ছোটখাটো বিষয়েও দরিদ্র মানুষের অগ্রাধিকার একেবারে তলানিতে।
সোমবার (২৮ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে ‘বাংলাদেশে নগর দারিদ্র্য: ভূমি, অভিবাসন, মৌল সেবা’ শীর্ষক গবেষণা ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত।
ওই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন মানবাধিকার কর্মী ও মানবাধিকার সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল। প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অর্থনীতি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. শফিক উজ জামান, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জামাল উদ্দিন আহমেদ ও আল আরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা।
অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত বলেন, নগরীর একটি দরিদ্র পরিবারের মাসিক ব্যয়ের ৫৭ শতাংশ (প্রতি মাসে ৭ হাজার ২৬৮ টাকা) খাবার কিনতে চলে যায়। যে অমানবিক পরিবেশে তারা বসবাস করে, তার ২৫ শতাংশ (প্রতি মাসে ৩,১৮৮ টাকা) গঞ্জালেসের মাথার পিছনে বাড়ি ভাড়ার দিকে যায়। ১১ শতাংশের মতো ডাক্তার-পথে যায় (মাসে ১,৪০২ টাকা)। আর মাত্র ৩ শতাংশ (মাসে ৩৮৩ টাকা) তারা শিক্ষায় ব্যয় করতে পারে।
তিনি বলেন, নগরে দরিদ্রদের জন্য কোনো সঞ্চয় নেই, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা ও শিক্ষা খাতে ব্যয় কমাতে হবে। ফলে স্বাস্থ্য-দারিদ্র্য ও শিক্ষা-দারিদ্র্য বাড়ছে। তাই খাদ্যের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মজুরিও বাড়ছে না। যে কারণে এই দারিদ্র্য বাড়ছে।
তিনি আরও বলেন, বস্তি অঞ্চলে বৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নেই বললেই চলে। সরকারি হিসাব মতে, নগরের গড়ে ৬৫ শতাংশ মানুষ উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থা পায়। কিন্তু নগর দরিদ্রদের মধ্যে এই হার মাত্র ১৬ শতাংশ। নিরাপদ পানিতে অভিগম্যতা দেশে শতভাগ বলা হচ্ছে, সেখানে নগর দরিদ্রদের মধ্যে এই হার মাত্র ৩৩ শতাংশ।
গবেষক দলের প্রধান বলেন, গ্রামের মানুষ কর্মসংস্থানের অভাবে ‘গলা ধাক্কা অভিবাসনের’ শিকার হয়। এই হার ৪৫ শতাংশ। এছাড়াও, এমন গলা ধাক্কার প্রধান প্রধান কারণ হলো কৃষি উৎপাদনের ক্ষেত্রে লাগামছাড়া খরচ বৃদ্ধি, প্রয়োজনের সময় কৃষি ঋণ না পাওয়া, উৎপাদনের ন্যায্য দাম না পাওয়া প্রায় তিন-চতুর্থাংশ নগর দরিদ্র এগুলো উল্লেখ করেছেন।
এছাড়াও, নদী ভাঙন গ্রাম থেকে শহরে অভিবাসনের একটি অন্যতম বড় নিয়ামক। বস্তি ও নিম্ন আয়ের বাসিন্দাদের কম পক্ষে ৮২ শতাংশ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে বাস করছে বলেও জানান তিনি।
বস্তিবাসীদের পুষ্টি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ যেখানেই হাত দেওয়া হয়েছে প্রতিটি স্তরেই তাদের একটি বেদনাদায়ক চিত্র ফুটে উঠেছে জানিয়ে অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, গবেষণা থেকে জানা গেছে, বস্তিবাসীরা ক্রমাগত দরিদ্রায়নের মধ্যে বসবাস করছে। যে মৌলিক পাঁচটি অধিকারের কথা বলা হয় তারা তা থেকেও অনেক দূরে।
তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু টিকে থাকার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করিনি। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের একটি আদর্শিক ভিত্তি ছিল। দেশের প্রতিটি মানুষ সমপরিমাণ সুযোগ সুবিধা নিয়ে চলার কথা ছিল। যারা বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছেন তারা যদি নিষ্ঠার সঙ্গে তা পালন করেন তবেই পরিবর্তন সম্ভব।’
অধ্যাপক ড. শফিক উজ জামান বলেন, যে নগরায়ন ও শিল্পায়নকে ভিত্তি করে দেশের উন্নয়ন হয়, দেশে সে উন্নয়ন হচ্ছে না। পোশাক শিল্পের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে সস্তা শ্রমের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠা এই শিল্পের সবকিছুর জন্য বিদেশের ওপর নির্ভর করতে হয়। সবকিছু দেশে উৎপন্ন করে এ শিল্প হলে উন্নয়ন টেকসই হতো। দেশে উন্নয়নের গুণগত ও পরিবেশগত পরিবর্তন দরকার।
ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশে বিদ্যমান লিঙ্গ বৈষম্য, নাগরিকের মধ্যে বৈষম্য, শহর গ্রামের মধ্যে বৈষম্য দূর করতে হবে।
দেশের দরিদ্ররা বোঝা নয়, অবৈধ ধনীরাই বোঝা মন্তব্য করে শামসুল হুদা বলেন, তারা (অবৈধ ধনীরা) টাকা রোজগার করে না, দুর্নীতির মাধ্যমে আয় করে টাকা বিদেশে পাঠায়। ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ মানুষ বস্তিতে বাস করে, তারা সব ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার। বেশির ভাগ বৈষম্যের শিকার হয় নারী ও শিশুরা। প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে বস্তিবাসীর জন্য সংবিধান লঙ্ঘিত হয়।
শেয়ারনিউজ, ২৯ আগস্ট ২০২৩
পাঠকের মতামত:
- বাংলাদেশের শেয়ারবাজার লুটের মাঠে পরিণত হয়েছে!
- মোদিকে নিয়ে বিস্ফোরক দাবি ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তার
- একমি পেস্টিসাইড শেয়ার কেলেঙ্কারি নিয়ে বিএসইসিতে নতুন উত্তাপ
- প্রকৌশল খাতের ২৫ কোম্পানিতে নজর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের
- প্রধান উপদেষ্টা ও ওসিকে হত্যার হুমকি, থানায় জিডি
- অবৈধ নিয়োগে টালমাটাল ইসলামী ব্যাংক, সাত বছরে উধাও ১০ হাজার কোটি
- ট্রাম্পের প্রস্তাবে যেসব বিষয়ে সম্মত হলো হামাস
- সাপ্তাহিক লেনদেনে ইতিবাচক ভূমিকায় সবল কোম্পানি
- যেভাবে লোভের ফাঁদে পড়লেন তামিম ইকবাল
- ‘অবাঞ্ছিত’ হবেন উপদেষ্টা আসিফ ও এনসিপি নেতা হাসনাত!
- সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর কৈফিয়ত
- আবু ত্বহা আদনানের 'অন্ধকার জীবন' নিয়ে অভিযোগ স্ত্রীর
- গাজার অভিমুখে শহিদুল আলমের সরাসরি প্রতিবেদন
- ইসলামী ব্যাংকের চাকরিচ্যুত কর্মচারীদের বিক্ষোভে ১০ কিমি যানজট
- সৌদিতে ওমরাহ করার জন্য বাধ্যতামূলক ১০টি নতুন নিয়ম
- সচিবালয়ে এসইউপি ব্যবহারে চরম নিষেধাজ্ঞা
- শেষ মুহূর্তে সরে দাঁড়ালেন আরও এক হেভিওয়েট প্রার্থী
- পবিত্র রমজানের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
- কিয়ামতের দিন ৫ প্রশ্নের জবাব না দিয়ে কেউ রেহাই পাবে না
- চার কোম্পানির আসছে ডিভিডেন্ড ও ইপিএস
- ইউনূস-অসুর ছবিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত রাজনীতি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণার খবরে বিপরীত স্রোতে দুই অ্যাপেক্স
- আরএসআই সতর্ক সংকেত: ঝুঁকিতে ১০ কোম্পানির শেয়ার
- কারাগারে সাবেক এমপির মৃত্যুর খবর নিয়ে যা জানালো জেল কর্তৃপক্ষ
- জনগণের রক্তের দাম দিলেন না মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট!
- দেশে ফিরে বড় বার্তা দিলেন বিএনপি মহাসচিব
- বাবুনগরীর মুখে জামায়াতের ‘পরাজয়ের ঘণ্টা’
- ফেসবুকে এক ক্লিক, জামায়াত নেতার ভাগ্যে ঝড়
- আজ ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ বাংলাদেশের
- মুভিং এভারেজ–এমএসিডি–এঙ্গালফিং, ৯ শেয়ারে বুলিশ সিগন্যাল
- এবার ১১ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ, যেভাবে ছড়াল
- হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে গুলতেকিন খানের বিস্ফোরক পোস্ট
- শাপলার জন্য রীতিমতো আইনি যুদ্ধ ঘোষণা এনসিপির!
- ঢাকা-১৭ নিয়ে জল্পনা, এর মাঝেই পার্থের বিস্ফোরক স্ট্যাটাস
- আল-আরাফাহ ব্যাংকে ১০৯ কোটি টাকার কমিশন কেলেঙ্কারি
- জমির মালিকানা নিয়ে জটিলতা? দুই নামে হলে যা করবেন
- জুমার নামাজ পড়াতে যাওয়ার সময় মর্মান্তিক মৃত্যু হলো ইমামের
- ফেসবুক পেজ ফেরত পেলেও আতঙ্কে ইসলামী ব্যাংক
- বিস্ময়কর ফেসবুক পোস্টে যা বললেন প্রেস সচিব!
- আটকের আগে শেষ মুহূর্তে শহিদুল আলমের বার্তা
- আজ ঢাকায় যেসব কর্মসূচি রয়েছে
- ইউটিউব ব্যবহারকারীদের জন্য বড় সুখবর
- ভারত ভ্রমণের আগে এবার নতুন যন্ত্রণা
- গাজায় ফের ত্রাণ বহর পাঠানোর ঘোষণা
- জামায়াত-শিবিরের গোপন কৌশল ফাঁস করলেন রাশেদ
- সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি
- সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ কোম্পানি
- সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি
- ট্রাম্পের প্রস্তাবে হামাসের ঘোষণা
- ফ্লোটিলা থেকে আটক জামায়াতের সাবেক সিনেটর
- পূর্ণাঙ্গ ইসলামী ব্যাংকিংয়ে যাচ্ছে শেয়ারবাজারের আরেক ব্যাংক
- ডিভিডেন্ড ঘোষণার তারিখ ঘোষণা করলো দুই কোম্পানি
- ‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে শেয়ার স্থানান্তর
- বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ ঝোঁক ১০ কোম্পানির শেয়ারে
- তিন কোম্পানির বাড়তি ডিভিডেন্ডে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা
- দুর্গাপূজা: ‘অসুর’ রূপে প্রতিমা হয়ে উঠলেন ইউনুস ও ট্রাম্প
- কোনো কারণ ছাড়াই রকেট দুই কোম্পানির শেয়ার
- গুলশান ও বনানী এলাকায় যান চলাচলে নতুন নির্দেশনা
- আরও বেপরোয়া কারসাজিকারী চক্র, নিয়ন্ত্রক সংস্থার অস্তিত্ব প্রশ্নবিদ্ধ
- ১.২০ কোটি শেয়ার ছাড়লেন কোম্পানির উদ্যোক্তা, বাজারে উদ্বেগ
- দুই কোম্পানির ‘নো ডিভিডেন্ড’ ঘোষণা
- ভুয়া ব্রোকারেজ, নকল অ্যাপ—৩ হাজার বিনিয়োগকারী জালে শেয়ারবাজার
- ৩৮ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
- ৮ কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা, ২টির লাল কার্ড