ঢাকা, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
Sharenews24

খাদ্য খাতে ইপিএস কমেছে ১৩ কোম্পানির

২০২৫ মে ১৭ ২১:৫৬:০৩
খাদ্য খাতে ইপিএস কমেছে ১৩ কোম্পানির

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর তৃতীয় প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ ২০২৫) আয় প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বেশিরভাগ কোম্পানির আয় হ্রাস পেয়েছে। ডিএসই সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, এখাতে তালিকাভুক্ত ২১টি কোম্পানির মধ্যে ১৭টি কোম্পানির ইপিএস (প্রতি শেয়ার আয়) প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি কোম্পানির ইপিএস কমেছে, যা খাতটির সার্বিক পারফরম্যান্সে দুর্বলতা নির্দেশ করে।

ইপিএস কমে যাওয়া কোম্পানিগুলো হলো: এএমসিএল-প্রাণ, অ্যাপেক্স ফুডস, বিডি থাই ফুড, ফু-ওয়াং ফুড, জেমিনি সী ফুড, গোল্ডেন হার্ভেস্ট, মেঘনা কনডেন্স মিল্ক, মেঘনা পেট, আরডি ফুড, রহিমা ফুড, ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার, শ্যামপুর সুগার মিলস এবং জিলবাংলা সুগার মিলস।

এই প্রবণতা থেকে বোঝা যায়, চলমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি এ খাতের কোম্পানিগুলোর মুনাফা অর্জনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। বিশ্লেষকদের মতে, ভোক্তাপণ্যের চাহিদা কমে যাওয়া এবং উৎপাদন ব্যয়ের চাপও এই হ্রাসের অন্যতম কারণ হতে পারে।

এএমসিএল - প্রাণ

তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৩৭ পয়সা । আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ১ টাকা ৪৬ পয়সা।

অর্থবছরের তিন প্রান্তিতে বা ৯ মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ৯৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে আয় হয়েছিল ৪ টাকা ৯৮ পয়সা।

অ্যাপেক্স ফুডস

তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ১ টাকা ৪৯ পয়সা।

অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৫২ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ৪ টাকা ৬৪ পয়সা।

বিডি থাই ফুড

অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই২৪-মার্চ’২৫) বা ৯ মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ৮ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ৪৮ পয়সা।

ফু-ওয়াং ফুড

তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ৮ পয়সা লোকসান হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ০১ পয়সা।

অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৩৩ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে লোকসান হয়েছিল ৩১ পয়সা।

গোল্ডেন হার্ভেস্ট

তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ১৭ পয়সা লোকসান হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছিল ১৫ পয়সা।

অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৩২ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে লোকসান হয়েছিল ২৮ পয়সা।

জেমিনি সী ফুড

তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৩৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ২ টাকা ১৭ পয়সা।

এদিকে তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতিলোকসান হয়েছে ৫ টাকা ৩০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৬ টাকা ৪৫ পয়সা।

মেঘনা কনডেন্স মিল্ক

তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ৩৩ পয়সা লোকসান হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছিল ৩৮ পয়সা।

অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ২০ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে লোকসান হয়েছিল ১ টাকা ৩৭ পয়সা।

মেঘনা পেট

তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ২১ পয়সা লোকসান হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছিল ৫ পয়সা।

অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৫৩ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে লোকসান হয়েছিল ১৬ পয়সা।

রহিমা ফুড

তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১০ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ২৪ পয়সা।

অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২৬ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় হয়েছিল ৮৩ পয়সা।

আরডি ফুড

তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৫২ পয়সা।

অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে (জুলাই’২৪ুমার্চ’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ১৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ২৯ পয়সা।

ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার

অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৭ টাকা ১৬ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ১১ টাকা ৬১ পয়সা।

শ্যামপুর সুগার মিলস

তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ১৪ টাকা ৯৬ পয়সা লোকসান হয়েছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি ১০ টাকা ৬৭ পয়সা লোকসান হয়েছিল।

অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ৩৮ টাকা ২৯ পয়সা লোকসান হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ে ৩১ টাকা ৭৫ পয়সা লোকসান হয়েছিল।

জিলবাংলা সুগার

তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ৪ টাকা ১ পয়সা লোকসান হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছিল ৭ টাকা ৫৪ পয়সা।

অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৪০ টাকা ৯৫ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে লোকসান হয়েছিল ৪৪ টাকা ২৪ পয়সা।

মিজান/

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে