ঢাকা, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫
Sharenews24

বিএনপির কিছু আসনে সুখবর পেতে যাচ্ছেন যারা

২০২৫ ডিসেম্বর ২২ ০০:৪৮:০০
বিএনপির কিছু আসনে সুখবর পেতে যাচ্ছেন যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি আয়োজিত তিন দিনের বিশেষ কর্মশালা শেষ হয়েছে। এই কর্মশালায় আমন্ত্রিত ব্যক্তিদের উপস্থিতির ধরণ দেখে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যাঁদের ডাকা হয়েছে তাঁদের প্রার্থিতা প্রায় নিশ্চিত। অন্যদিকে, আগে সম্ভাব্য তালিকায় নাম থাকলেও যাঁদের এই কর্মশালায় আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, তাঁদের আসনে বড় ধরনের রদবদলের জোরালো ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। মূলত হাইকমান্ডের নির্দেশেই এই কৌশলী বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

দলীয় সূত্র মতে, চট্টগ্রাম-৪ আসনে আগে ঘোষিত প্রার্থী কাজী সালাউদ্দিনের পরিবর্তে আসলাম চৌধুরীকে কর্মশালায় ডাকা হয়েছে। এ ছাড়া ঝালকাঠি-২ আসনের ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টু, চট্টগ্রাম-৬ আসনের গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং যশোর-৬ আসনের কাজী রওনকুল ইসলামকেও এই গুরুত্বপূর্ণ কর্মশালায় আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এই অনুপস্থিতি সংশ্লিষ্ট আসনগুলোতে প্রার্থী পরিবর্তনের পরিষ্কার বার্তা দিচ্ছে।

বিপরীতে, বাগেরহাট জেলার ৪টি সংসদীয় আসনে সম্ভাব্য দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। বাগেরহাট-১ আসনে কপিল কৃষ্ণ মন্ডল, বাগেরহাট-২ আসনে ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন, বাগেরহাট-৩ আসনে ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম ও বাগেরহাট-৪ আসনে সোমনাথ দে-এই চারজন প্রার্থী গুলশান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।

লক্ষ্মীপুর জেলা নিয়ে চলা দীর্ঘ জল্পনা-কল্পনারও অবসান ঘটেছে এই কর্মশালার মাধ্যমে। জেলার চারটি আসনেই ধানের শীষের প্রার্থীরা চূড়ান্ত হতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। লক্ষ্মীপুর-২ আসনে আবুল খায়ের ভূঁইয়া এবং লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি আগে থেকেই তালিকায় ছিলেন। নতুন করে লক্ষ্মীপুর-১ আসনে সাবেক এলডিপি নেতা শাহাদাত হোসেন সেলিম এবং জেএসডির জন্য ফাঁকা রাখা লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে আশরাফ উদ্দিন নিজানকে কর্মশালায় ডেকে চমক দিয়েছে বিএনপি। এর ফলে এই চারটি আসনেই মিত্রদের বদলে নিজস্ব প্রার্থী দিচ্ছে দলটি।

ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এই কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রার্থীদের নানা দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। বিশেষ করে বিএনপির নির্বাচনি ইশতেহারের মূল বিষয়গুলো যেমন—ফ্যামিলি কার্ড, হেলথ কার্ড এবং কৃষকদের ডিজিটাল নেটওয়ার্কের আওতায় আনার পরিকল্পনাগুলো সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের নির্বাচনি প্রচারণার কৌশলের পাশাপাশি ভোটারদের কাছে নিজেদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সঠিকভাবে উপস্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি।

নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রতিটি আসনের প্রার্থীদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট কিছু তথ্যও সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে একজন নির্বাচন এজেন্ট, পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণে দক্ষ দুজন ব্যক্তি এবং একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের নাম। ডিজিটাল প্রচারণা ও কেন্দ্রভিত্তিক ব্যবস্থাপনাকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যেই এই ডেটাবেজ তৈরি করা হচ্ছে। বিএনপি নেতারা মনে করছেন, এই সুশৃঙ্খল প্রস্তুতির ফলে ভোটাররা বিভ্রান্তি ছাড়াই নিজেদের সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন এবং নির্বাচনি মাঠে দল আরও শক্তিশালী অবস্থানে থাকবে।

সিরাজ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে