ঢাকা, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫
Sharenews24

এসব হা-মলা বিএনপিকে ফাঁসানোর পরিকল্পিত ষ-ড়যন্ত্র: রিজভী

২০২৫ ডিসেম্বর ১৩ ১৮:০৮:১৯
এসব হা-মলা বিএনপিকে ফাঁসানোর পরিকল্পিত ষ-ড়যন্ত্র: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা–৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি এবং চট্টগ্রাম–৮ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, এসব হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; বরং বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দায় চাপানোর একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির উদ্যোগে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন রিজভী। হাদি ও এরশাদ উল্লাহর ওপর হামলার নিন্দা এবং ঘটনার দ্রুত ও সুষ্ঠু বিচার দাবিতে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সমাবেশে রিজভী অভিযোগ করেন, হামলার ঘটনার এক থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পোস্ট ছড়িয়ে দেওয়া হয়। কোনো ধরনের তদন্ত ছাড়াই সেখানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে ইঙ্গিত করে আপত্তিকর ও মানহানিকর মন্তব্য করা হয়েছে, যা পুরো বিষয়টিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ঘটনার এত অল্প সময়ের মধ্যে যদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই দোষী সাব্যস্ত করে ফেলা হয়, তাহলে তদন্তের প্রয়োজন কোথায়? এটি কি পরিকল্পিতভাবে কাউকে ফাঁসানোর চেষ্টা নয়?

রিজভী আরও বলেন, শান্তিনগর, শাজাহানপুর, খিলগাঁওসহ এই এলাকাগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতারা বসবাস করছেন। কিন্তু তারা কেউ কখনো এ ধরনের হামলার শিকার হননি। তাহলে হঠাৎ করে কেন শরিফ ওসমান হাদিকেই টার্গেট করা হলো—এই প্রশ্নের উত্তর দেশবাসী জানতে চায়।

তিনি বলেন, শরিফ ওসমান হাদি কখনোই মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে কোনো বক্তব্য দেননি কিংবা তাকে রাজনৈতিকভাবে আক্রমণ করেননি। বরং তিনি দেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ড ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। তাহলে ঢাকা–৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়াটাই কি তার অপরাধ?

রিজভী বলেন, একজন সদ্য সাবেক ছাত্রনেতা কোনো ধরনের তদন্ত ছাড়াই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ের একজন জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক নেতাকে ‘গ্যাংস্টার’ বলে আখ্যা দিচ্ছেন। আমরা নিজেরাও ছাত্ররাজনীতি করেছি, বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে নেতৃত্ব দিয়েছি; কিন্তু কখনো এভাবে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় ভিন্ন দলের সিনিয়র নেতাদের আক্রমণ করিনি।

তিনি আরও বলেন, পুলিশ কমিশনার নিজেই গণমাধ্যমে জানিয়েছেন যে হামলার ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এটি বিএনপির বক্তব্য নয়, এটি রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল তদন্তকারী সংস্থার বক্তব্য।

রিজভীর ভাষ্য, জনগণও বুঝে গেছে এবং প্রশাসনও জানে—এই ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে কারা রয়েছে। তিনি বলেন, আমরা গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছি, কিন্তু কিছু গোষ্ঠী ৫ আগস্টের পর দেশে বিশৃঙ্খলার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে। উচ্ছৃঙ্খল জনতাতন্ত্র দিয়ে কখনো সুশাসন, ন্যায়বিচার কিংবা গণতান্ত্রিক সমাজ গড়া যায় না।

সমাবেশে রিজভী জোর দিয়ে বলেন, হাদির ওপর যারা হামলা চালিয়েছে, তারা যেই হোক—জনগণ তাদের চিনে ফেলেছে। আমরা চাই নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।

প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালামসহ দলের অন্যান্য নেতারা।

এমজে/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে