ঢাকা, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
Sharenews24

নোবেল শান্তি পুরস্কারের পরই বিতর্কের মুখে মারিয়া মাচাদো

২০২৫ অক্টোবর ১১ ১১:১১:৩২
নোবেল শান্তি পুরস্কারের পরই বিতর্কের মুখে মারিয়া মাচাদো

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভেনেজুয়েলার সাবেক বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো চলতি বছর নোবেল শান্তি পুরস্কার অর্জন করেছেন। তবে পুরস্কার ঘোষণার পরপরই তিনি তার নোবেলটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উৎসর্গ করার ঘোষণা দেন, যা নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক।

বিতর্কিত অবস্থান ও অতীত কর্মকাণ্ড:

✅ ইসরায়েলের প্রকাশ্য সমর্থক মারিয়া মাচাদো অতীতেও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ ছিলেন।

✅ ২০১৮ সালে তিনি নেতানিয়াহুকে চিঠি লিখে ভেনেজুয়েলায় সামরিক হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানান।

✅ গাজায় ইসরায়েলি হামলার পক্ষেও প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছেন তিনি।

✅ নোবেল জয়ের পর এক ইসরায়েলি টেলিভিশনকে তিনি বলেন, "ভবিষ্যতে প্রেসিডেন্ট হলে ভেনেজুয়েলার দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তর করা হবে।"

ভেনেজুয়েলার বিশ্লেষক মিচেল এলনার এক কলামে মারিয়া মাচাদোর অতীত কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন। তাঁর ভাষায়, “মারিয়ার মতো ডানপন্থিরা যখন নোবেল শান্তি পুরস্কার পায়, তখন শান্তির আসল মানেই বদলে যায়।”

কলাম অনুযায়ী মাচাদোর বিতর্কিত কর্মকাণ্ডগুলো:

২০০২ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে সক্রিয় ভূমিকা, যা নির্বাচিত সরকারকে স্বল্প সময়ের জন্য উৎখাত করেছিল

কারামোনা ডিক্রিতে স্বাক্ষর, যা ভেনেজুয়েলার সংবিধান বাতিল করেছিল

বিদেশি সেনা হস্তক্ষেপ চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে আহ্বান

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা সমর্থন, যা দেশের দরিদ্র জনগণের ওপর প্রভাব ফেলেছে

আত্মঘোষিত ‘অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে সরকার গঠনের দাবি

২০১৪ সালে ‘লা সালিদা’ আন্দোলন, যা সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছিল

মারিয়া মাচাদো ট্রাম্প প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত। ট্রাম্প নিজেও ২০২৪ সালে মাচাদোকে গ্রেপ্তারের সময় তাঁর মুক্তির দাবি করেছিলেন। মার্কিন সিনেটর মার্কো রুবিও তাকে “স্থিতিশীলতা ও দেশপ্রেমের মূর্ত প্রতীক” বলে উল্লেখ করেন।

নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার পর মাচাদোর অতীত ভূমিকা ও বর্তমান অবস্থান ঘিরে আন্তর্জাতিক পরিসরে প্রশ্ন উঠেছে—“শান্তি মানে কী?”বিশেষ করে তার ইসরায়েলপ্রীতি, সামরিক হস্তক্ষেপের আহ্বান, এবং উদারনৈতিক বেসরকারিকরণের দাবি লাতিন আমেরিকার অনেক নাগরিক ও বিশ্লেষকের কাছে নোবেল শান্তি পুরস্কারের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলছে।

মারিয়া কোরিনা মাচাডোর শান্তিতে নোবেল জয় যেমন একদিকে ভেনেজুয়েলার রাজনীতিতে প্রতীকী পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছে, অন্যদিকে তার অতীত কর্মকাণ্ড ও বিতর্কিত অবস্থান বিশ্বজুড়ে শান্তি পুরস্কারের নৈতিকতা ও উদ্দেশ্য নিয়েই বিতর্ক উসকে দিয়েছে।

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ খবর

আন্তর্জাতিক - এর সব খবর



রে