ঢাকা, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Sharenews24

ভোটের মাধ্যমে বিএনপির ‘হ‍্যাডম’ ভাঙেন! 

২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৭ ১১:১৯:৪৪
ভোটের মাধ্যমে বিএনপির ‘হ‍্যাডম’ ভাঙেন! 

নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্প্রতি এক আলোচনা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (এনসিপি) নেতারা বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা ও নির্বাচন প্রসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রকাশ করেছেন।

অ্যাডভোকেট আবু হেনা রাজিব প্রশ্ন তুলেছেন, যারা গত নির্বাচনে বিশ্বাস করেননি তারা কেন নির্বাচন থেকে সরে আসেননি। তিনি বাংলাদেশের রাজনীতিকে দুই প্রধান দলের (আওয়ামী লীগ ও বিএনপি) দ্বৈত প্রতিযোগিতার মধ্যে বর্ণনা করেছেন, যেখানে এক দল সরকার গঠন করে আর অন্য দল শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে কাজ করে। রাজিব বলছেন, একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন ব্যবস্থা আনার মাধ্যমে গণতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব হবে, যা জনমতকে শক্তিশালী করবে এবং পার্লামেন্টে শক্তিশালী বিরোধী দল গঠনে সহায়তা করবে। তিনি আনুপাতিক ভোটপ্রক্রিয়া (Proportional Representation) প্রবর্তনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। এছাড়া, বিরোধী দলের অনুপস্থিতিকে জাতীয় সংকট যেমন রোহিঙ্গা ইস্যুর সঙ্গেও যুক্ত করেছেন, কারণ বিরোধী দল থাকলে সরকার আলোচনায় বাধ্য হত।

ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তাহসিন রিয়াজ বলেছেন, বর্তমানে তাদের জন্য "মাঠ খালি" এবং বিএনপিকে তিনি “চাঁদাবাজে ভর্তি” ও “ফেল করার কথা” উল্লেখ করেছেন। তিনি মনে করেন, ব্যবসায়ীরা ভোটে বড় ব্যবধান দেখতে পেয়েছেন, এজন্য জামায়াতের মতো দলগুলোর প্রতি ঝুঁকছেন। তবে তিনি সতর্ক করেছেন যে, গণঅভ্যুত্থানের দাবিগুলো শুধু নির্বাচনের মাধ্যমে পূরণ হবে না; এই দাবিকে উপেক্ষা করে শুধু নির্বাচনে ফোকাস করা “শুভঙ্করের ফাঁকি” হতে পারে, যা কোনো বিশেষ এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য ব্যবহার হচ্ছে। তিনি ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনের ফলাফলও জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন।

আলোচনায় আরো উঠে এসেছে, জুলাই মাসের অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ভূমিকা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে দলের মধ্যে মতবিরোধ ও বিরোধিতার কারণে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ছে।বিএনপি সংসদের বাইরে গিয়ে সংবিধান সংশোধনের ব্যাপারে অনিচ্ছুক থাকলেও, জামায়াতসহ কিছু দল সাংবিধানিক আদেশের মাধ্যমে সংস্কার চায়।

সবশেষে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, একটি শক্তিশালী ও কার্যকর বিরোধী দল গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য। কারণ এটি সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করতে পারে, জনমত গঠন ও জনগণের অধিকার রক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারে, এবং স্বৈরাচারী প্রবণতা রোধে কার্যকরী প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করে।

জাহিদ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে