ঢাকা, শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫
Sharenews24

সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিচ্ছেন ইউনূস 

২০২৫ আগস্ট ২২ ১০:০৬:১১
সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিচ্ছেন ইউনূস 

নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘ ১৬ বছর পর, বাংলাদেশের আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মর্যাদা দিয়ে নির্বাচনী অপরাধ দমনে সরাসরি হস্তক্ষেপের ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

২০০১ সালের নির্বাচনের সময় সশস্ত্র বাহিনীকে এই ধরনের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। তারা তৎকালীন সময়ে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার এবং সরাসরি হস্তক্ষেপের সুযোগ পেয়েছিল। তবে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর, সেনাবাহিনীর এই ক্ষমতা বাতিল করা হয়।

নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (RPO), ১৯৭২ সংশোধনের মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে আবারও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারি হলে, এই ক্ষমতা পুনরায় কার্যকর হবে।

নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমান মাসুদ জানান, “জনগণ এবং রাজনৈতিক দলগুলো সেনাবাহিনীর ওপর আস্থা রাখে। তাদের সক্রিয় ভূমিকা একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করবে।”

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সেনা সদস্যদের নিরপেক্ষভাবে আইন মেনে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন।

নির্বাচন বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সেনাবাহিনীর উপস্থিতি ভোটারদের মধ্যে স্বস্তি ও নিরাপত্তার অনুভূতি জাগাবে। অতীত অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, সহিংসতা ও জালিয়াতি রোধে সেনাবাহিনীর ভূমিকা কার্যকর হয়ে থাকে।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সেনা মোতায়েন প্রশ্নে অনেক সময় দ্বিধাদ্বন্দ্ব দেখা গেছে। ২০১১ সালের নারায়ণগঞ্জ ও ২০১৫ সালের কয়েকটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের ঘোষণা আসলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং জনগণের উদ্বেগের মধ্যে সেনা মোতায়েনকে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা, এই উদ্যোগ একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করবে।

জাহিদ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে