ঢাকা, রবিবার, ১০ আগস্ট ২০২৫
Sharenews24

ডিমিউচুয়ালাইজেশনের এক যুগ পরও তালিকাভুক্তিতে স্থবির ডিএসই

২০২৫ আগস্ট ১০ ২৩:৩০:১৫
ডিমিউচুয়ালাইজেশনের এক যুগ পরও তালিকাভুক্তিতে স্থবির ডিএসই

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে নতুন প্রাণ সঞ্চারে শক্তিশালী কোম্পানিগুলোর তালিকাভুক্তির জন্য বাজার সংশ্লিষ্টরা জোর দাবি জানালেও, দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) নিজের বাধ্যতামূলক স্ব-তালিকাভুক্তির বিষয়ে এখনো নীরব রয়েছে।

২০১৩ সালে ডিমিউচুয়ালাইজেশন স্কিমের অংশ হিসেবে স্টক এক্সচেঞ্জগুলোর ব্যবস্থাপনা ও মালিকানা পৃথক করা হয়েছিল। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল বাজারের উন্নত নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা। এই আইন পাস হওয়ার এক দশকেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে, কিন্তু ডিএসই এখনও সাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে তাদের শেয়ার বিক্রি করার কোনো উদ্যোগ নেয়নি।

তবে অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সম্প্রতি তাদের তালিকাভুক্তির জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছে। যা বিএসইসির সক্রিয়া বিবেচনাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।

ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইনে শেয়ার বিক্রির কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা উল্লেখ করা হয়নি। তাই এই সিদ্ধান্তটি এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদের ওপর নির্ভর করে। ডিএসইর শেয়ারহোল্ডার-পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, এটি ডিএসইর আগের পর্ষদগুলোর ব্যর্থতা, বিশেষ করে স্বাধীন পরিচালকদের, যারা পর্ষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিলেন। তাঁর মতে, যদি স্বাধীন পরিচালকরা উদ্যোগ নিতেন, তাহলে শেয়ারহোল্ডার-পরিচালকরা তালিকাভুক্তি ঠেকাতে পারতেন না। তিনি আরও অভিযোগ করেন, আগের কমিশনগুলো বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে অনেক সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিলেও, ডিএসইকে তালিকাভুক্ত করার জন্য কোনো আদেশ জারি করেনি।

ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন অনুযায়ী, ডিএসইর ৪০ শতাংশ শেয়ার সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি ৬০ শতাংশের মধ্যে ২৫ শতাংশ দুটি চীনা কৌশলগত অংশীদারের কাছে বিক্রি করা হয় এবং বাকি ৩৫ শতাংশ সাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ইস্যু করার কথা, যার মাধ্যমে এক্সচেঞ্জটি তালিকাভুক্ত হবে।

২০২১ সালের ডিসেম্বরে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিএসইকে তালিকাভুক্তির পরিকল্পনা করতে বলেছিল এবং ২০২২ সালের মধ্যে এটি সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছিল। ডিএসইর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তারা স্ব-তালিকাভুক্তির বিষয়ে বিএসইসি-এর কাছে নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেছিলেন, কিন্তু সে বিষয়ে কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।বিএসইসি’র মুখপাত্র মো. আবুল কালাম মনে করেন, ডিএসইর তালিকাভুক্তির জন্য এখনই উপযুক্ত সময়। তার মতে, শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে এবং ডিএসই একটি স্বনামধন্য ও মৌলিক কোম্পানি হওয়ায় ভালো দামে শেয়ার বিক্রি করতে পারবে।

অন্যদিকে, ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন এ বিষয়ে ভিন্ন মত পোষণ করেন। তার মতে, বর্তমান বাজার পরিস্থিতি তালিকাভুক্তির জন্য অনুকূল নয়। এক্সচেঞ্জের পরিচালন আয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ায় শেয়ারহোল্ডাররা ভালো দাম না পাওয়ার আশঙ্কায় শেয়ার বিক্রিতে অনাগ্রহী। তিনি আরও জানান, বর্তমানে ডিএসই মূলত সুদের আয়ের ওপর নির্ভর করছে এবং বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরলে তালিকাভুক্তির উদ্যোগ নেওয়া হবে।

মামুন/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে