ঢাকা, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫
Sharenews24

উদ্যোক্তাদের ভয়াবহ জালিয়াতি কারণে সর্বস্বান্ত সাধারণ বিনিয়োগকারীরা

২০২৫ জুলাই ২২ ২৩:০১:৫২
উদ্যোক্তাদের ভয়াবহ জালিয়াতি কারণে সর্বস্বান্ত সাধারণ বিনিয়োগকারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি রিং শাইন টেক্সটাইলের উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ভয়াবহ জালিয়াতির কারণে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। ২০১৯ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির সময় থেকেই কোম্পানিটির উদ্যোক্তা-পরিচালকরা পরিকল্পিতভাবে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

তালিকাভুক্তির আগে রিং শাইনের পরিশোধিত মূলধন ছিল মাত্র ৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। কিন্তু তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়ায় এক লাফে তা ২৮৫ কোটি ৫ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়। এর মধ্যে ২৭৫ কোটি ১০ লাখ টাকার প্লেসমেন্ট শেয়ার প্রদানের নামে মূলধন ২৮ গুণের বেশি বৃদ্ধি করা হয়। অথচ এই বিশাল অঙ্কের প্লেসমেন্ট শেয়ারের বিপরীতে কোম্পানির হিসাবে বাস্তব অর্থ জমা হয়নি, যা বড় ধরনের জালিয়াতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এখানেই শেষ নয়। বর্ধিত মূলধনের ভিত্তিতে আইপিও শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে আরও প্রায় ১৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু কোম্পানির প্রকৃত মূলধন আগের অবস্থানেই অর্থাৎ ৯.৯৫ কোটিতে রয়েছে। শুধুমাত্র কাগজে-কলমে মূলধন বৃদ্ধি দেখিয়ে এখন এই কোম্পানির বাজারে প্রচলিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকার বেশি।

এর ফলে চরমভাবে প্রতারিত হয়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। হাজার হাজার মানুষ বিনিয়োগ করে এখন সর্বস্বান্ত অবস্থায় পৌঁছেছেন। বিনিয়োগকারীদের প্রশ্ন, এত বড় প্রতারণার পরও উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে কেন?

এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কারণ তালিকাভুক্তি এবং মূলধন বাড়ানোর প্রতিটি ধাপে বিএসইসির অনুমোদন প্রয়োজন হয়। তাই বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, বিএসইসি যদি যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করত, তাহলে এত বড় জালিয়াতি সম্ভব হতো না।

এখন বিনিয়োগকারীদের একটাই দাবি— রিং শাইনের উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের বিরুদ্ধে দ্রুত ও কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা হোক।

মিজান/

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে