ঢাকা, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
Sharenews24

আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থাকলে কী শাস্তি হতে পারে?

২০২৫ মে ১২ ১৬:০৭:১৬
আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থাকলে কী শাস্তি হতে পারে?

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর সংশোধিত বিধান অনুসারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এ সিদ্ধান্ত গত শনিবার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কার্যকর করা হয়েছে।

অতীতে হরকাতুল জিহাদ, জামাত-উল-মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরসহ কয়েকটি দলকে একই আইনে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে প্রথমে ছাত্রলীগ এবং পরে আওয়ামী লীগ।

সংশোধিত আইনে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যদি নিষিদ্ধ সংগঠনের হয়ে বা পক্ষে কার্যক্রম চালায় এবং তা প্রমাণিত হয়, তবে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড, ন্যূনতম চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।

এ বিষয়ে আইনজীবীরা জানান, সন্ত্রাসবিরোধী আইন সংশোধনের মাধ্যমে সরকার এখন কোনো ব্যক্তিকে সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভুক্ত করার পাশাপাশি সংগঠনের কার্যক্রমও নিষিদ্ধ করতে পারবে। এছাড়া অনলাইন বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষিদ্ধ সংগঠনের পক্ষে প্রচার চালানো, বক্তব্য দেওয়া বা সমর্থন জানানোও দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

উপদেষ্টা পরিষদ ইতোমধ্যেই ‘সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। এতে সংগঠনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী মো. মহসিন রশিদ বলেন, “আইনে নিষিদ্ধ ঘোষণার জন্য যে সব শর্ত পূরণ করতে হয়, আওয়ামী লীগ তা করেছে। এটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।”

সাবেক জেলা ও দায়রা জজ ড. শাহজাহান সাজু বলেন, “নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্য বা সমর্থকরা কোনো কর্মসূচিতে অংশ নিলে, প্রয়োজনে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই ব্যবস্থা নিতে পারবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।”

সংশোধিত আইনের ১২ থেকে ১৭ নম্বর ধারায় নিষিদ্ধ সত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা, সমর্থন, প্রচার, ষড়যন্ত্র বা সহায়তা প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড থেকে শুরু করে ৪ থেকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

মারুফ/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে