ঢাকা, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫
Sharenews24

দুই কোম্পানির শেয়ারে ভরসা হারালেন বিনিয়োগকারীরা

২০২৫ জুলাই ০১ ১৪:৪৫:২৩
দুই কোম্পানির শেয়ারে ভরসা হারালেন বিনিয়োগকারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: মুনাফার আশায় শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করলেও অনেক সময় লোকসান হয়, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমিয়ে দেয়। বিশেষ করে যখন বাজার ইতিবাচক থাকে, তখনও যদি বিনিয়োগকারীরা লোকসানে পড়েন, তখন তাদের দুর্ভোগ বাড়ে, ভরসা হারায়।

গত এক মাসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ১০০ পয়েন্টের বেশি বাড়লেও ইতিবাচক বাজারে আর্থিক খাতের দুটি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে সর্বোচ্চ লোকসান হয়েছে। কোম্পানি দুটি হলো- ফারইস্ট ফাইন্যান্স এবং ফার্স্ট ফাইন্যান্স। ডিএসইর বাজার পর্যালোচনা অনুযায়ী, গত এক মাসে এই দুই কোম্পানির শেয়ার দর ১৪ শতাংশের বেশি কমেছে

কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লোকসান হয়েছে বা দর কমেছে ফারইস্ট ফাইন্যান্সের শেয়ারে। গত এক মাসে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৭০ পয়সা বা ১৫.৯১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৭০ পয়সায়। গত এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ দর ছিল ৪ টাকা ৬০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন ৩ টাকা ৪০ পয়সা ছিল।

২০১৩ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ‘জেড’ ক্যাটাগরির আর্থিক খাতের কোম্পানিটির অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে- ২০০ কোটি টাকা এবং ১৬৪ কোটি ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির পুঁঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ ৯৯২ কোটি ১৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০১৬ সালে ৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

কোম্পানিটির ১৬ কোটি ৪০ লাখ ৬৩ হাজার ৩৩০টি শেয়ারের মধ্যে ৩৯.৭৪ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ১২.৫৭ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং ৪৭.৬৯ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।

গত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লোকসান হয়েছে বা দর কমেছে ফার্স্ট ফাইন্যান্সের শেয়ারে। গত এক মাসে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৫০ পয়সা বা ১৪.২০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩ টাকায়। গত এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ দর ছিল ৩ টাকা ৭০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন ২ টাকা ৮০ পয়সা ছিল।

২০০৩ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ‘জেড’ ক্যাটাগরির আর্থিক খাতের কোম্পানিটির অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে- ৫০০ কোটি টাকা এবং ১১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির পুঁঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ ৪৯৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা। কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০১৯ সালে ২ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

কোম্পানিটির ১১ কোটি ৮৫ লাখ ৪৪ হাজার ৬৬৩টি শেয়ারের মধ্যে ৪১.৩১ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ২০.৩৩ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং ৩৮.৩৬ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের আগে কোম্পানির ক্যাটাগরি, মূলধন, রিজার্ভ এবং ডিভিডেন্ড প্রদানের সক্ষমতা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করা উচিত। কোনো কোম্পানির ব্যবসা মন্দার কারণে ডিভিডেন্ড দিতে না পারলে তার ক্যাটাগরি অবনতি হয়, যা একটি নেতিবাচক দিক। এছাড়া,পুঞ্জীভূত লোকসান থাকা কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এমন লোকসানী কোম্পানিতে বিনিয়োগ থেকে বিরত থাকা উচিত। অন্যথায়, মুনাফার পরিবর্তে লোকসানের সম্ভাবনাই বেশি থাকে।

মিজান/

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে