ঢাকা, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
Sharenews24

ভোটকেন্দ্র স্থাপনে ডিসি-ইউএনওদের নেতৃত্বে কমিটি বাতিল

২০২৫ জুন ৩০ ২১:৫৫:১৪
ভোটকেন্দ্র স্থাপনে ডিসি-ইউএনওদের নেতৃত্বে কমিটি বাতিল

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র স্থাপন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালায় পরিবর্তন এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন সংশোধনী অনুযায়ী, ভোটকেন্দ্র স্থাপনের জন্য জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) প্রধান করে কমিটি গঠনের বিধান বাতিল করা হয়েছে।

'জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন এবং ব্যবস্থাপনা নীতিমালা–২০২৫' গেজেট আকারে প্রকাশের মাধ্যমে এই পরিবর্তন কার্যকর হয়েছে।

ভোটকেন্দ্র স্থাপন মূলত নির্বাচন কমিশনেরই কাজ। কিন্তু গত সংসদ নির্বাচনের আগে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন এই প্রক্রিয়ায় প্রশাসন ও পুলিশের কর্মকর্তাদের যুক্ত করেছিল এবং এজন্য নীতিমালাও সংশোধন করা হয়েছিল। ব্যাপক সমালোচনার মুখে অবশেষে নির্বাচন কমিশন তাদের কর্মকর্তাদের ভোটকেন্দ্র স্থাপনে পূর্ণ ক্ষমতা ফিরিয়ে দিয়েছে।

আউয়াল কমিশনের সংশোধিত নীতিমালায় বলা হয়েছিল, ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা তৈরির জন্য উপজেলা পর্যায়ে ইউএনও-কে আহ্বায়ক করে একটি পাঁচ সদস্যের কমিটি এবং জেলা পর্যায়ে ডিসির নেতৃত্বে সাত সদস্যের কমিটি থাকবে। উপজেলা কমিটির তৈরি করা খসড়া তালিকা মহানগর বা জেলা কমিটিতে পাঠানো হতো, যা দৈবচয়নের ভিত্তিতে ভোটকেন্দ্র সরেজমিন তদন্ত করে মতামত দিতো। এই মতামতসহ খসড়া তালিকা নির্বাচন কমিশনে পাঠাতেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।

ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমান কমিশনের অধীন করা নতুন নীতিমালায় উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে কমিটি করার বিধান বাদ দেওয়ায় ভোটকেন্দ্র স্থাপনের কাজটি ইসির মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের হাতেই ফিরে এসেছে। এর ফলে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

নতুন নীতিমালায় ভোটকেন্দ্র স্থাপন সংক্রান্ত বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যা নির্বাচনের সুষ্ঠু আয়োজনে সহায়ক হবে: গড়ে তিন হাজার ভোটারের জন্য একটি করে ভোটকেন্দ্র এবং গড়ে ৫০০ পুরুষ ভোটারের জন্য ও ৪০০ নারী ভোটারের জন্য একটি করে কক্ষ নির্ধারণ করতে হবে। বিদ্যমান ভোটকেন্দ্রের স্থাপনা যদি নদী ভাঙন বা অন্য কোনো কারণে বিলুপ্ত/ব্যবহারের অনুপযোগী হয়, তাহলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নতুন ভোটকেন্দ্র স্থাপন করতে হবে।

একইভাবে ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে নতুন ভোটকেন্দ্র স্থাপনের প্রয়োজন হলেও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, নির্বাচিত প্রতিনিধি বা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও তালিকা নির্ধারণ করতে হবে। ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যাতায়াতের সুবিধা ও ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনা করে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করতে হবে। এক্ষেত্রে দুটি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে দূরত্ব যেন তিন কিলোমিটারের বেশি না হয়, আবার একটি ভোটকেন্দ্রের খুব কাছে যেন আরেকটি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কোনো ভোটার এলাকার ভোটারদের যেন কাছাকাছি ভোটকেন্দ্র অতিক্রম করে দূরের কোনো ভোটকেন্দ্রে যেতে না হয়, সেটাও নীতিমালায় নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

মারুফ/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে