ঢাকা, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫
Sharenews24

প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে ক্ষুব্ধ নুর, যা বললেন প্রকাশ্যে

২০২৫ জুলাই ০১ ১৮:১০:৫০
প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে ক্ষুব্ধ নুর, যা বললেন প্রকাশ্যে

নিজস্ব প্রতিবেদক: গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক বক্তব্যে তারা হতাশ হয়েছেন। মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত “কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন (২০১৮–২০২৪)” শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

নুর বলেন, “গত কয়েকদিন আগে লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। সবাই আপস করলেও আমরা আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে কোনো আপস করবো না। কেউ যদি জাতীয় পার্টিকে ফিরিয়ে আনার কথা বলে, সেটিও আমরা মানি না। জাতীয় পার্টি, আওয়ামী লীগ বা ১৪ দলের প্রশ্নে আমরা আপসহীন।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা শুরু থেকেই জাতীয় সরকার গঠনের দাবি জানিয়ে আসছি। যদি তা করা হতো, তাহলে আজকের রাজনৈতিক জটিলতা তৈরি হতো না। এখন কেউ ভাবছে, এককভাবে ক্ষমতায় যাবে—এমন ধারণা থেকেই বিভাজনের রাজনীতি বাড়ছে।”

নুরুল হক নুর বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদের সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেন। তিনি বলেন, “এই উপদেষ্টা পরিষদের ফিটনেস দিয়ে কোনোভাবেই একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন সম্ভব নয়। আবু সাঈদের বাবা সম্প্রতি এক টিভি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তারা রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা পাননি। এই হতাশার দায় সরকারেরই।”

তিনি কমিশনের অভ্যন্তরে ঐকমত্যের অভাব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “ঐকমত্য কমিশনে বেশিরভাগ নেতার কণ্ঠেই অনৈক্যের সুর। প্রয়োজনে এ বিষয়ে গণভোট আয়োজন করা হোক।”

আলোচনা সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, “২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন না হলে দেশে কোনো গণঅভ্যুত্থান হতো না। আজ সেই ইতিহাসকে বিকৃত করা হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “গণঅভ্যুত্থানে যারা অংশ নিয়েছেন, তাদের সবার কৃতিত্ব স্বীকার করতে হবে। বিভাজন তৈরি হলে আওয়ামী লীগ আবার ফিরে আসবে। আর শেখ হাসিনা যদি ফিরে আসেন, তবে তিনি বিপ্লবীদের ফাঁসিতে ঝুলাবেন।”

তিনি সব রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “ঐক্য কেউ একা চাইলে হবে না—সবার আন্তরিকতা থাকতে হবে। তাহলেই একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।”

আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য মাহফুজুর রহমান খান। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন মুখপাত্র ফারুক হাসান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব হাসান আল মামুন, সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, সহসভাপতি আরিফুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক নীলা শেখ ও হাবিবুর রহমান, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নাজিম উদ্দীন, উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান, যুব অধিকার পরিষদের মনজুর মোর্শেদ মামুন এবং শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান প্রমুখ।

মুসআব/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে