ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫
Sharenews24

মিয়ানমারের সংকটে বাংলাদেশকে ফোর্টিফাই রাইটসের আহ্বান

২০২৫ মার্চ ১৩ ১১:১৯:১৭
মিয়ানমারের সংকটে বাংলাদেশকে ফোর্টিফাই রাইটসের আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক : আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ফোর্টিফাই রাইটস মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত বেসামরিক নাগরিকদের জন্য মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর জন্য বাংলাদেশকে একটি করিডোর খোলার আহ্বান জানিয়েছে। ১২ মার্চ, বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি দাবি করেছে যে, মিয়ানমারের জান্তা সরকার রাখাইনে জীবনরক্ষাকারী মানবিক সহায়তা প্রবাহিত হতে দিচ্ছে না, যার ফলে সাধারণ মানুষের প্রাণহানি ঘটছে।

ফোর্টিফাই রাইটসের মানবাধিকার বিষয়ক সহযোগী এজাজ মিন খান্ত বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত রাখাইন অঞ্চলের জন্য জীবনরক্ষাকারী সাহায্য সরবরাহ সহজতর করা, এবং এর জন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি মানবিক করিডোর খোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জানান, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বাংলাদেশের আসন্ন সফরে সীমান্তের উভয়পাশে মানবিক সহায়তার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের তথ্যানুসারে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ৫ লাখ ১৯ হাজারেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, এবং প্রায় ২০ লাখ মানুষ খাদ্য, ওষুধ এবং অন্যান্য জরুরি সরবরাহের জন্য সাহায্যের প্রয়োজন। এ সংকট আরও গভীর হয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের কারণে, যা মিয়ানমারে আন্তর্জাতিক সাহায্য কমিয়ে দিয়েছে। এর ফলে, মানবিক সংকট আরও তীব্র হয়েছে এবং জান্তা সরকারের স্বার্থ বজায় রাখতে সহায়তা করেছে।

ফোর্টিফাই রাইটস দাবি করছে, মিয়ানমারের সামরিক জান্তা কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের মাধ্যমে সাহায্য পৌঁছানোর প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত করছে, যার ফলে বেসামরিক মানুষের মৃত্যু অবধারিত হচ্ছে। মিয়ানমারের সামরিক জান্তা শুধু খাদ্য এবং ওষুধের সরবরাহই নয়, বাণিজ্য পথগুলোও বন্ধ করে দিয়েছে, যার ফলে রাখাইন রাজ্যে খাদ্য ও ওষুধের ব্যাপক ঘাটতি তৈরি হয়েছে।

ফোর্টিফাই রাইটস আরও জানায়, যদি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একযোগভাবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি মানবিক করিডোর খোলার দিকে কাজ না করে, তাহলে প্রাণহানির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

ফোর্টিফাই রাইটসের মানবাধিকার কর্মী এজাজ মিন খান্ত বলেন "অধিকার রক্ষাকারী দেশগুলোকে মিয়ানমারের চাহিদাসম্পন্ন সম্প্রদায়ের কাছে জীবনরক্ষাকারী সাহায্য সরবরাহ সহজতর করার জন্য সম্ভাব্য সব উপায় খুঁজে বের করা উচিত। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি মানবিক করিডোর চালু করা সকল সম্প্রদায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং যদি এই পদক্ষেপ নেওয়া না হয়, তবে প্রাণহানি আরও বাড়বে।"

মুসআব/

পাঠকের মতামত:

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ খবর

আন্তর্জাতিক - এর সব খবর



রে