ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

মায়ের আমলে বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হয়েছিলেন তাহসান

২০২৪ জুলাই ১০ ২২:২৪:৩০
মায়ের আমলে বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হয়েছিলেন তাহসান

নিজস্ব প্রতিবেদক : ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা ও সঙ্গীতশিল্পী তাহসান খান ২৪তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হয়েছিলেন। সেই সময়ে তার মা ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)-এর চেয়ারম্যান ছিলেন।

তবে সেবারই ঘটে বিসিএসে সবচেয়ে বড় প্রশ্নফাঁস কেলেঙ্কারি। যা দেশজুড়ে আলোড়ন তুলেছিল। পরে ২৪ বিসিএস-এর পরীক্ষা বাতিল করা হয়।

তাহসান খানের মা ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম ২০০২ সালের ৯ মে পিএসসি’র চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন। তিনি দায়িত্ব নেয়ার পরই ২৪তম বিসিএস পরীক্ষার সবচেয়ে বড় প্রশ্নফাঁস কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠে।

২০০৩ সালের ৪ মার্চের দেশের গণমাধ্যমে খবর হয়, ‘২৪তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। গতকাল (সোমবার) বিকেলে পাবলির সার্ভিস কমিশনে (পিএসসি) অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় আকস্মিকভাবেই এই পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। অবশ্য এর আগে গতকাল সকালেই পিএসসি ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কিন্তু তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করতে না করতেই রহস্যজনকভাবে পুরো পরীক্ষা বাতিলেরই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।’

তবে তাহসান খানের ২৪তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হওয়ার বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি; বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মারফতে জানা গেছে।

এই বিষয়ে পিএসসি’র সাবেক চেয়ারম্যান ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগমের কনিষ্ঠ পুত্র জনপ্রিয় অভিনেতা ও সঙ্গীতশিল্পী তাহসান খানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মুঠোফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

জানা যায়, ২০০৩ সালে প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন তাহসান খানের মা ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম। শুধু তাই নয়, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, সমন্বিত ও মুদ্রণসহ সংশ্লিষ্ট সকল ক্ষেত্রে পিএসসির প্রতিটি সদস্যই জড়িত ছিলেন উল্লেখ করে পরীক্ষা বাতিলের দাবি নাকচ করে দেন।

অভিযোগ রয়েছে, প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণিত হওয়ার পরও পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায়ও পিএসসি চেয়ারম্যান ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম কোনো তদন্ত কমিটি গঠন থেকেও বিরত থাকেন। পরীক্ষা শুরুর ২ ঘণ্টা পূর্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রটি রমনা থানায় হাতে লেখা প্রশ্নপত্র ও উত্তরের কপি নিয়ে জিডি করতে গিয়েছিলেন; সে সম্পর্কেও তিনি কোনো খোঁজ-খবর নেননি এবং সংশ্লিষ্ট ওসিকেও ডেকে এই ব্যাপারে কোনো সত্যতা যাচাই করেনি।

সেই সময়ে এই ঘটনার পর সংবাদপত্রে প্রশ্ন ফাঁস সম্পর্কে প্রতিদিন লেখালেখি হচ্ছিল এবং পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ প্রতিবাদ চলছিল। সেই প্রেক্ষিতে খোদ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে খোঁজ-খবর নেয়া হয়।

এরপর প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি সম্পর্কে প্রমাণ পাওয়ায় পর সরকারের শীর্ষ মহল থেকে পরীক্ষা বাতিলের পক্ষে মত দেওয়া হয়। এরপরই ২৪তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা বাতিল করা হয়।

জানা গেছে, প্রফেসর ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম ছিলেন দেশের অন্যতম প্রধান সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ‘বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন’-এর জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত অষ্টম চেয়ারম্যান। ২০০২ সালের ৯ মে তিনি পিএসসি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন এবং ২০০৭ সালের ৭ মে পর্যন্ত এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।

মামুন/

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে