ঢাকা, শনিবার, ৭ জুন ২০২৫
Sharenews24

ট্রাম্পের সঙ্গে বাকযুদ্ধ: ইলন মাস্কের নতুন রাজনৈতিক দল গঠন

২০২৫ জুন ০৭ ২৩:২৮:২৮
ট্রাম্পের সঙ্গে বাকযুদ্ধ: ইলন মাস্কের নতুন রাজনৈতিক দল গঠন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তীব্র বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার মধ্যেই এবার নিজস্ব রাজনৈতিক দল গঠনের আভাস দিয়েছেন টেসলার সিইও এবং ধনকুবের ইলন মাস্ক।

শুক্রবার (০৬ জুন) তিনি তার নতুন রাজনৈতিক দলের নাম 'দ্য আমেরিকা পার্টি' ঘোষণা করেছেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

এর আগের দিন বৃহস্পতিবার (০৫ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জনমত যাচাই করতে একটি ভোটের আয়োজন করেন মাস্ক। সেখানে তিনি জানতে চান—যুক্তরাষ্ট্রে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন জরুরি কি না। ভোটে অংশ নেওয়া ৮০ শতাংশ মানুষ তাতে সম্মতি জানান।

এই ভোটের ফলাফলের পরই মাস্ক পোস্ট করেন, "জনতা রায় দিয়েছে। নতুন একটি পার্টির প্রয়োজন আছে যা ৮০ শতাংশ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করবে। এটাই নিয়তি।"

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক সাময়িকী দ্য হিল জানিয়েছে, ভোটের ফলাফল শেয়ার করে মাস্ক তার দলের নামও জানিয়ে দেন। যদিও দল গঠনের বিষয়ে স্পষ্ট কিছু না বললেও এ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে আলোচনা। অনেকে বলছেন, মাস্ক সত্যিই রাজনীতিতে আসছেন, নাকি এটি তার কৌশলগত চমক—তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের দ্বিদলীয় রাজনৈতিক কাঠামোয় (রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট) তৃতীয় শক্তি হিসেবে মাস্ক কতটা প্রভাব ফেলতে পারবেন, তা নিয়েও সন্দিহান বিশ্লেষকরা। কীভাবে তিনি এই দুই প্রধান দলের বাইরে গিয়ে রাজনীতিতে পা রাখবেন, সেটিও পরিষ্কার নয়। তবে মাস্কের এমন ঘোষণায় যুক্তরাষ্ট্রে আলোচনা তুঙ্গে।

এর আগে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পকে সমর্থন দিতে গিয়ে ইলন মাস্ক প্রায় ২৭ কোটি ডলার ব্যয় করেছিলেন। ট্রাম্পও নির্বাচনের পর তাকে পুরস্কৃত করেন একটি নতুন দপ্তর দিয়ে—‘ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই)’। এর কাজ ছিল প্রশাসনের অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমিয়ে সাশ্রয় নিশ্চিত করা।

তবে মাসখানেক আগে কর ও ব্যয় সংক্রান্ত একটি বিল নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে মতবিরোধে জড়ান মাস্ক। বিলটি পাস হওয়ার পর ট্রাম্প একে ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট’ নাম দেন। পরে সেটিকে মাস্ক ‘জঘন্য’ বলে আখ্যা দিয়ে পদত্যাগ করেন। এরপরই দুইজনের মধ্যে প্রকাশ্যে বিবাদ শুরু হয়।

ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি বন্ধু ইলন মাস্ককে বহু উপকার করেছেন। মাস্ক পাল্টা বলেন, তার সহায়তা ছাড়া ট্রাম্প কখনো প্রেসিডেন্ট হতে পারতেন না। এই পাল্টাপাল্টি ব্যক্তিগত আক্রমণে বিবাদ আরও তীব্র হয়। ট্রাম্প হুমকি দেন, মাস্কের প্রতিষ্ঠান টেসলা যেন আর সরকারি ভর্তুকি না পায়।

পাশাপাশি আর্থিকভাবে অবরোধ করার ইঙ্গিতও দেন। অন্যদিকে, মাস্কও রুখে দাঁড়িয়ে ট্রাম্পের বিলকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি আখ্যা দিয়ে বলেন, এই পদক্ষেপ দেশকে দেউলিয়া করে দিতে পারে। এমনকি ট্রাম্পকে অভিশংসনের প্রস্তাবও দেন মাস্ক।

মিরাজ/

পাঠকের মতামত:

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ খবর

আন্তর্জাতিক - এর সব খবর



রে