কমছে না মূল্যস্ফীতি
টাকা ছেড়েও কুলাতে পারছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক
            নিজস্ব প্রতিবেদক : আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা দেশে বাংলাদেশ ব্যাংক উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি গ্রহণ করেছে। এরই অংশ হিসেবে অর্থবছরের শুরু থেকেই মুদ্রাবাজার থেকে টাকা উত্তোলন করা শুরু করে সংস্থাটি।
কিন্তু ব্যাংকের ওপর মানুষের আস্থা কমে যাওয়া, মানুষের হাতে থাকা টাকার পরিমাণ বেড়ে যাওয়া এবং কয়েকটি ব্যাংকের ভয়াবহ তারল্য সংকটসহ নানা কারণে আবারও টাকার প্রবাহ বাড়িয়েছে সংস্থাটি। তারপরও ব্যাংকের তারল্য সংকটের সমাধান করা যাচ্ছে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরের শেষ মাস জুনে দেশের ব্যাংক খাতে ছাপানো টাকার পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ১১ হাজার ৯৪৮ কোটি। এর মধ্যে ছাপানো নোট ছিল ৩ লাখ ১১ হাজার ৯৫৪ কোটি এবং কয়েন ছিল ১ হাজার ৭৯৪ কোটি টাকার।
তবে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে সংকোচন করে টাকার প্রবাহ কমিয়ে ২ লাখ ৯২ হাজার ৫৩৪ কোটিতে নামিয়ে আনা হয়। অর্থবছরের অক্টোবর পর্যন্ত এই সংকোচন অব্যাহত থাকে। ওই মাসে টাকার প্রবাহ কমে দাঁড়ায় ২ লাখ ৭৩ হাজার ৩৭ কোটি। কিন্তু পরের মাস নভেম্বরে টাকার প্রবাহ ১ হাজার ৪৭৪ কোটি বেড়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ৭৪ হাজার ৫১১ কোটিতে। আর মার্চে তা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ৯১ হাজার ১৮৯ কোটি।
অর্থাৎ সংকোচন থেকে বেরিয়ে ৫ মাসেই বাজারে ১৮ হাজার ১৫২ কোটি টাকা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যদিও জুন পর্যন্ত তা কয়েকগুণ বেড়েছে বলে জানা গেছে।
দেশে বর্তমানে মানি মাল্টিপ্লেয়ার ৫-এর বেশি। সে হিসাবে অর্থনীতিতে ৯০ হাজার কোটি টাকার প্রভাব তৈরি করতে পারে। এটি দেশের মূল্যস্ফীতি আরও উসকে দেবে।
এ প্রসঙ্গে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর গণমাধ্যমকে বলেন, ব্যাংকগুলোতে যে তারল্য সংকট দেখা যাচ্ছে, তার অনেকটাই তৈরি করা। রেপোর মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে ধার দেওয়ায় তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বেশি সুদে সরকারের বিল-বন্ডে বিনিয়োগ করছে।
তিনি বলেন, সংকোচনমূলক মুদ্রানীতিতে রেপোতে ধার দেওয়া সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। এ কারণেই মূল্যস্ফীতিতে কোনো প্রভাব পড়ছে না। এক কথায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেওয়া নীতিগুলোর বেশিরভাগই ভুল। এজন্যই আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা ফেরানো যাচ্ছে না।
ব্যাংকের বাইরে মানুষের হাতে থাকা নগদ টাকার পরিমাণ আরও বেড়ে গেছে। গত মার্চ শেষে ব্যাংক ব্যবস্থার বাইরে মানুষের হাতে থাকা নগদ অর্থের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৬১ হাজার ১৯৫ কোটি টাকায়। ফেব্রুয়ারিতে যার পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা।
সেই হিসাবে ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে মানুষের হাতে নগদ টাকার পরিমাণ বেড়েছে ৩ হাজার ৬২১ কোটি টাকা। দেশে ছাপানো টাকা ২ লাখ ৯১ হাজার ১৮৯ কোটির মধ্যে মানুষের হাতেই তার ৮৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী দেশে মূল্যস্ফীতির হার প্রায় ১০ শতাংশ। বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস, সানেম, সিপিডি) বলছে, এই হার ১৫ শতাংশের ওপরে। মূল্যস্ফীতির সরাসরি প্রভাব পড়েছে সাধারণ মানুষের জীবনে।
এদিকে দেশের ব্যাংক খাতে ভয়াবহ তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে। কয়েকটি ব্যাংক বিভিন্ন মাধ্যম থেকে ধার করেও মানুষের অর্থ দিতে হিমশিম খাচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, চলতি জুনের ১০ কর্মদিবসে ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ১ লাখ ৫২ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকা ধার নিয়েছে। এর মধ্যে গত ৯ জুন সর্বোচ্চ ২০ হাজার কোটি টাকা ধার করেছে ব্যাংকগুলো। এসব ধারে সর্বোচ্চ সুদহার ছিল ৮.৭৫ শতাংশ। আর সর্বনিম্ন সুদ গুনতে হয়েছে ৮.৫০ শতাংশ। এ ছাড়া আন্তঃব্যাংক রেপো ও কলমানি থেকে ধার তো করছেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তপশিলি ব্যাংকগুলোর নেওয়া ঋণ বা ধারের পরিমাণ গত বছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে ছিল ১ লাখ ২৯ হাজার ৬৪৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে এসে ধারের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৭৭১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। সেই হিসাবে মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে ব্যাংকগুলোর ধার বেড়েছে ৬ হাজার ১১২ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক গণমাধ্যমকে বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি দিয়েছে। এতে সব ধরনের সুদের হার বেড়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন টুলস (উপায়) ব্যবহার করে বাজার থেকে টাকা তুলে নিচ্ছে, যে কারণে ব্যাংকগুলোতে কিছুটা তারল্য সংকট তৈরি হয়েছে।
তবে সংকট যাতে প্রকট আকার ধারণ না করে, সে জন্য আমরা বাংলাদেশ ব্যাংক রেপো, অ্যাসিউরড লিকুইডিটি সাপোর্ট ফ্যাসিলিটি (এএলএসএফ), স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটি (এসএলএফ) এবং শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোর জন্য স্পেশাল লিকুইডিটি সাপোর্টসহ (এসএলএস) বিভিন্ন মাধ্যমে সহায়তা দিচ্ছি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এলে এবং সংকোচন থেকে বেরিয়ে গেলেই ব্যাংকের তারল্য সংকট কেটে যাবে।
আর এবিবির সাবেক চেয়ারম্যান ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, তারল্য সংকট বাড়ার পেছনে প্রধান কারণ সামনে ঈদ। একই সঙ্গে দেশের উচ্চ মূল্যস্ফীতিসহ বিভিন্ন কারণে ব্যাংকে আমানত বাড়ছে না। পাশাপাশি ঋণের রিকভারিও কম। এ জন্য তারল্য সংকট লেগে আছে।
এ ছাড়া কয়েকটি ব্যাংক দীর্ঘদিন থেকেই সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ব্যাংকগুলো তাদের আর্থিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে ধার করে চলছে বলেও জানান তিনি।
মোর্শেদ/
পাঠকের মতামত:
- ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে ১২ প্রতিষ্ঠানের আবেদন
 - বরিশাল বিভাগের বিএনপি প্রার্থীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা
 - খুলনা বিভাগের বিএনপি প্রার্থীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা
 - রাজশাহী বিভাগের বিএনপি প্রার্থীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা
 - ঢাকা বিভাগের বিএনপি প্রার্থীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা
 - নির্বাচন নিয়ে ডা. শফিকুর রহমানের মন্তব্যে নতুন জল্পনা
 - পেঁয়াজের কালো দাগ নিয়ে জানুন সতর্কবার্তা
 - হাসনাত-সারজিস-আখতার-নাসীরের আসনে বিএনপির প্রার্থী যারা
 - প্রাণ বাঁচাতেই শিশু তাছিনের সাথে এই নির্দয় আচরণ!
 - তালিকায় নেই রুমিন ফারহানা, বিএনপি থেকে লড়বেন যেসব নারী প্রার্থী
 - মনোনয়ন না পাওয়ার ব্যপারে যা বললেন রুমিন ফারহানা
 - ‘হাসিনার একপাশ অবশ হয়ে গেছে, দেড় মাস ধরে কথা বলতে পারেন না’
 - বিকালে আসছে ৮ প্রতিষ্ঠানের ইপিএস-ডিভিডেন্ড
 - এক টাকার নিচে নামল চার এনবিএফআইয়ের শেয়ার
 - বিএনপির প্রার্থী তালিকায় নেই যেসব হেভিওয়েট নেতাদের নাম
 - সিএসই–৫০ সূচক পুনর্গঠন: তিনটি যোগ, তিনটি বাদ
 - বিএনপির ২৩৭ আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ
 - ঢাকায় বিএনপির প্রার্থী যারা
 - যে আসন থেকে লড়বেন ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন
 - দুই হাজার কোটি টাকা আত্মসাত, বেক্সিমকোর সালমানসহ আসামী ৩৪ জন
 - আগে হজ নাকি ওমরাহ, রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর জীবন থেকে জেনে নিন আসল বিধান
 - যে ৩ আসনে নির্বাচন করবেন খালেদা জিয়া
 - সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই শিক্ষক পদ বাতিল
 - ডিজিটাল ব্যাংক গঠনে দেশি-বিদেশি ১২ প্রতিষ্ঠানের আবেদন
 - তিন প্রজ্ঞাপনে ২৭৩ পুলিশ অফিসারের বড় পদোন্নতি
 - এক প্যাকেট সিগারেট = ৫ আনা স্বর্ণ!
 - ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য বড় দুঃসংবাদ
 - দলীয় সংকীর্ণতা ত্যাগের ডাক দিলেন ডাকসু ভিপি
 - ডিভিডেন্ড পেলো বিনিয়োগকারীরা
 - ডিবিএ নির্বাচনে ১৫ পরিচালক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত
 - ১০টি যিকির হাটতে উঠতে বসতে শুয়ে থাকতে সর্বাবস্থায় করবেন
 - প্রবাসী ও জেলখানার ভোটারদের নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত সিইসির
 - যাদের বিরুদ্ধে মামলা করলেন ঢাবি শিক্ষিকা মোনামী
 - ডিএসইতে বড় ধরনের পতন, বিনিয়োগকারীরা হতাশ
 - ০৩ নভেম্বর ব্লকে পাঁচ কোম্পানির বড় লেনদেন
 - ০৩ নভেম্বর লেনদেনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
 - ০৩ নভেম্বর দর পতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
 - ০৩ নভেম্বর দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ শেয়ার
 - অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এক সপ্তাহের আল্টিমেটাম
 - যে দেশের নারীরা দখল করছে বিশ্বের ১১% স্বর্ণ
 - ঘাটতি সত্ত্বেও ট্রাস্ট লাইফ ফান্ডে ৪৯ কোটি টাকার শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি
 - ফের স্বর্ণের দামে বড় ধাক্কা
 - ২ লাখ শেয়ার ক্রয় সম্পন্ন
 - বিশ্বের প্রভাবশালী ৫০০ মুসলিমে বাংলাদেশি তিনজন
 - নতুন অর্থ বছরে মেঘনা লাইফের তহবিল বেড়েছে ১৪ কোটি
 - ২১ বছরের নিচে কেউ ধূমপান করতে পারবে না
 - আবহাওয়া অফিসের সতর্কবার্তা
 - নতুন পে–স্কেলে শুরু হচ্ছে বড় পরিবর্তন
 - ফুটবলের আড়ালে যুদ্ধবাজ আমিরাতি যুবরাজ শেখ মনসুর
 - দুই ব্রোকারেজ হাউজের সনদ বাতিল
 
- জানা গেলো পে স্কেল ঘোষণার সময়
 - সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সুখবরের বন্যা
 - ৩ কোম্পানিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর
 - ডিএসইর দুই ব্রোকারেজের ট্রেডিং লাইসেন্স বাতিল
 - ইসলামী ব্যাংকিংয়ে ‘মুনাফা’ এবং সাধারণ সুদের মধ্যে বড় পার্থক্য
 - ৪০ কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা
 - কলকাতায় মেসির থালায় যা যা থাকবে দেখে নিন একনজরে
 - আবারো ভাঙা হবে পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে
 - RSI বিশ্লেষণে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ৬ শেয়ার
 - প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর
 - আইপিওতে বদলে যাচ্ছে কোটা: সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সুযোগ নামছে অর্ধেকে
 - টেকনো ড্রাগসের ডিভিডেন্ড ঘোষণা
 - এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের ডিভিডেন্ড ঘোষণা
 - ফের স্বর্ণের দামে বড় ধাক্কা
 - ইসলামী ব্যাংক-ইবনে সিনা নিয়ে বিতর্কে জামায়াতের ব্যাখ্যা
 














