ঢাকা, রবিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

এবার কর্মকর্তাকে কেটে টুকরো টুকরো করার হুমকি দিলেন এমপি আনারের বন্ধু

২০২৪ জুন ০১ ১৭:১৪:০৮
এবার কর্মকর্তাকে কেটে টুকরো টুকরো করার হুমকি দিলেন এমপি আনারের বন্ধু

নিজস্ব প্রতিবেদক : এবার মোবরকগঞ্জ চিনিকলের এক কর্মকর্তাকে কেটে টুকরো টুকরো করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের বন্ধু গোলাম রসুলের বিরুদ্ধে। তিনি মোবারকগঞ্জ চিনিকলের ৩য় শ্রেণির কর্মচারী ও চিনিকল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি।

জানা গেছে, এমপি আনার বন্ধু হওয়ার কারণে কাউকে পরোয়া না করে সব সময় দাপটেই চলাফেরা করেন তিনি। মোবরকগঞ্জ চিনিকলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তার ভয়ে সব সময় ভীত হয়ে থাকেন। এ ছাড়া কর্মচারীদের সাথে সব সময়ই গালমন্দও করে থাকেন তিনি। ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে পারেন না।

বৃহস্পতিবার একটি জাতীয় দৈনিকে ‘শাহীনের বাংলোতে যাওয়া কে এই গোলাম রসুল’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপরই গোলাম রসুলের অত্যাচারে অতিষ্ঠরা মুখ খুলতে শুরু করেছেন। তবে শহরে ৫টি মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে গোলাম রসুলকে।

জানা গেছে, গত ২৭ মে সকাল ৯টার দিকে মোবারকগঞ্জ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অফিস কক্ষে হিসাবরক্ষণ বিভাগের সহকারী ম্যানেজার আবু রাহাত মোহাম্মদ শামীমকে কেটে টুকরো টুকরো করার হুমকি দেন তিনি।

এছাড়াও তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন গোলাম রসুল। এ সময় চিনিকলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে মোবারকগঞ্জ চিনিকলের হিসাবরক্ষণ বিভাগের সহকারী ম্যানেজার আবু রাহাত মোহাম্মদ শামীম বলেন, গত ২৭ মে এমডি স্যারের কক্ষে ঘটনাটি ঘটেছিল। এ সময় স্যার ছিলেন।

ম্যানেজার বলেন, দাপ্তরিক কাজকে কেন্দ্র করে সিবিএ নেতা গোলাম রসুল উচ্চস্বরে ধমকের সুরে কথা বলেন। এ সময় তিনিও রাগান্বিত হয়ে যান। পরে দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে তিনি আমাকে কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলা ও দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চিনিকলের খামারে পুকুর ও জমি লিজ দেওয়ার টাকা গোলাম রসুল বলছে দিয়ে দিয়েছি। আর মিলের রেকর্ড বলছে একটি কিস্তি এখনো বাকি আছে। ওটাকে কেন্দ্র করে আগেও একদিন বাগবিতণ্ডা হয়েছে। এদিনও (২৭ মে) গোলাম রসুল আবার ধমকের সুরে কথা বলেছে। আমিও এর প্রতিবাদ জানাই। এ সময় তিনি আমাকে একেবারে টুকরো টুকরো করে ফেলার হুমকি দেন।

মোবারকগঞ্জ চিনিকল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি গোলাম রসুলের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে মোবারকগঞ্জ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা অন্য একটি কাজ করছিলাম। ওদের মধ্যে একটু তর্ক-বিতর্ক হয়েছিল। জমি লিজের টাকা আদায় নিয়ে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে। সাময়িক উত্তেজনা হয়েছিল দুজনের মধ্যে। পরে সেখানেই বিষয়টির মীমাংসা করা হয়েছিল। বিষয়টি আর কাউকে জানানো হয়নি।

শেয়ারনিউজ, ০১ জুন ২০২৪

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে