ঢাকা, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
Sharenews24

বেক্সিমকো শেয়ারে মার্জিন বিনিয়োগকারীদের তথ্য তলব

২০২৫ ডিসেম্বর ২৪ ২৩:১৯:০১
বেক্সিমকো শেয়ারে মার্জিন বিনিয়োগকারীদের তথ্য তলব

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ারে বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জরুরি ভিত্তিতে চেয়েছে। এ লক্ষ্যে সব ব্রোকারহাউজকে মার্জিন সুবিধা নেওয়া গ্রাহকদের কাছে থাকা বেক্সিমকো শেয়ারের পরিমাণ এবং স্টক ডিলারদের নিজস্ব অ্যাকাউন্টে থাকা বিনিয়োগের তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, এসব তথ্য দুই কর্মদিবসের মধ্যে সরবরাহ করতে বলা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) পাঠানো চিঠিতে বিষয়টিকে ‘সর্বোচ্চ জরুরি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বর্তমানে বেক্সিমকো লিমিটেডের বড় অঙ্কের বাজার মূলধন এবং এর সম্ভাব্য পদ্ধতিগত ঝুঁকি বিবেচনায় একটি বিস্তৃত ‘ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট’ বা প্রভাব মূল্যায়ন পরিচালনা করছে। এই মূল্যায়নের অংশ হিসেবেই ডিএসইকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগ তথ্য সংগ্রহ ও সংকলনের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন এই কোম্পানিটির শেয়ার দীর্ঘদিন ধরে ১১০ টাকা ১০ পয়সার ফ্লোর প্রাইসে আটকে রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বাজারে অস্থিরতা ঠেকাতে বিএসইসি সব তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের ওপর ফ্লোর প্রাইস আরোপ করেছিল। পরবর্তী সময়ে অধিকাংশ কোম্পানির ক্ষেত্রে এই বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হলেও বেক্সিমকো লিমিটেড এবং ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস বহাল রাখা হয়। গত বছর কোম্পানিটি ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণার পর সমন্বয় করে বেক্সিমকোর ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয় ১১০ টাকা ১০ পয়সা। তবে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকেই প্রতিষ্ঠানটি গভীর আর্থিক সংকটে পড়েছে।

ব্যবসায়িক বাস্তবতায় বর্তমানে বেক্সিমকো কার্যত স্থবির অবস্থায় রয়েছে। কোম্পানিটির গাজীপুরে অবস্থিত গার্মেন্টস ইউনিট বন্ধ রয়েছে এবং টেক্সটাইল বিভাগ আংশিকভাবে চালু থাকায় উৎপাদন ও আয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে আর্থিক ফলাফলে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে কোম্পানিটির আয় আগের বছরের ১ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা থেকে কমে ৪১৫ কোটি টাকায় নেমে আসে এবং একই সময়ে ৩৫৬ কোটি টাকা নিট লোকসান গুনতে হয়েছে। এখনো ২০২৪–২৫ অর্থবছরের পূর্ণাঙ্গ আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। এই প্রেক্ষাপটে বেক্সিমকোর শেয়ারের ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হলে বিনিয়োগকারীদের ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে, তা নিয়েই এখন বাজারে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

সালাউদ্দিন/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে