ঢাকা, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
Sharenews24

যে কারণে নির্বাচন করতে পারবেন না মান্না

২০২৫ ডিসেম্বর ২৪ ১৭:৪৩:২৫
যে কারণে নির্বাচন করতে পারবেন না মান্না

নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার অংশগ্রহণ কার্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ঋণখেলাপির তালিকা থেকে নিজের নাম প্রত্যাহারের নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট আবেদন হাইকোর্ট খারিজ করে দেওয়ায় তাঁর প্রার্থিতা নিয়ে আইনি জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. বজলুর রহমান ও বিচারপতি মো. মনজুর আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতের সিদ্ধান্তের ফলে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী মান্না নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানিয়েছেন।

আদালতে শুনানিকালে মাহমুদুর রহমান মান্নার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম এবং ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিকুর রহমান রিটের বিরোধিতা করেন।

রায় ঘোষণার পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শফিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণখেলাপির তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানিয়ে মান্না যে রিট করেছিলেন, আদালত তা গ্রহণযোগ্য মনে করেননি। ফলে বিদ্যমান আইনি অবস্থান অনুযায়ী তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।

তবে মান্নার পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জানিয়েছেন, হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং শিগগিরই আপিল দায়ের করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ১০ ডিসেম্বর ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের বগুড়া বড়গোলা শাখা মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বাধীন আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে ‘কল ব্যাক নোটিশ’ জারি করে। নোটিশে প্রতিষ্ঠানটির কাছে খেলাপি ঋণ বাবদ ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়।

ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, নোটিশটি মান্না ও তাঁর দুই অংশীদারের ঠিকানায় পাঠানো হয় এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অর্থ পরিশোধ না করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সতর্কতা দেওয়া হয়। নোটিশে ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধের নির্দেশ ছিল।

আফাকু কোল্ড স্টোরেজের মালিকানায় মাহমুদুর রহমান মান্নার অংশ ৫০ শতাংশ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম নাজমুল কাদির শাজাহান চৌধুরীর ২৫ শতাংশ এবং তাঁর স্ত্রী ও পরিচালক ইসমত আরা লাইজুর ২৫ শতাংশ মালিকানা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক বাজার এলাকায় অবস্থিত।

ব্যাংকের নথি অনুযায়ী, ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠানটিকে ২২ কোটি টাকা বিনিয়োগ অনুমোদন দেওয়া হলেও নিয়মিত মুনাফা, চার্জ ও জরিমানা পরিশোধ না করায় বকেয়া ক্রমে বেড়ে বর্তমান অঙ্কে পৌঁছেছে। লাভজনক প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও দীর্ঘদিন কোনো অগ্রগতি না থাকায় চূড়ান্ত সতর্কতা হিসেবে কল ব্যাক নোটিশ জারি করা হয়েছে।

এমজে/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে