ঢাকা, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
Sharenews24

বিটিআরসি পাচ্ছে পূর্ণ স্বায়ত্বশাসন, কখনোই বন্ধ হবে না ইন্টারনেট

২০২৫ ডিসেম্বর ২৪ ১৯:৩৯:২০
বিটিআরসি পাচ্ছে পূর্ণ স্বায়ত্বশাসন, কখনোই বন্ধ হবে না ইন্টারনেট

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে আর কখনোই ইন্টারনেট বা টেলিযোগাযোগ সেবা বন্ধ করা যাবে না। একই সঙ্গে বিতর্কিত ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন্স মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) বিলুপ্ত করে একটি জবাবদিহিমূলক কাঠামো গড়ে তোলা হবে। বুধবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫’ চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে। যার ফলে বিটিআরসি পাচ্ছে পূর্ণ স্বায়ত্বশাসন।

বুধবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, নতুন অধ্যাদেশের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ খাতে রাষ্ট্রের নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের ধরনে আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে।

এ সংশোধনীর মূল লক্ষ্য হলো নাগরিক অধিকার রক্ষা এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা। কোনো পরিস্থিতিতেই রাষ্ট্র বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ ইন্টারনেট বা টেলিযোগাযোগ সেবা বন্ধ করতে পারবে না।

নজরদারির বিতর্কিত সংস্থা এনটিএমসি বিলুপ্ত করা হয়েছে। এর পরিবর্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘সেন্টার ফর ইনফরমেশন সাপোর্ট (সিআইএস)’ গঠিত হয়েছে, যা ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা অধ্যাদেশ মেনে পরিচালিত হবে।

সিম বা ডিভাইস রেজিস্ট্রেশনের তথ্য ব্যবহার করে কোনো নাগরিককে নজরদারি বা হয়রানি করা এখন থেকে দণ্ডনীয় অপরাধ। শুধুমাত্র জাতীয় নিরাপত্তা বা বিচারিক প্রয়োজনের ক্ষেত্রে কঠোর গোপনীয়তা বজায় রেখে ইন্টারসেপশন করা যাবে।

লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষমতা পুনরায় বিটিআরসির হাতে ফিরেছে। জাতীয় পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ কিছু লাইসেন্স বাদে বাকি সব লাইসেন্স বিটিআরসি নিজেই ইস্যু করতে পারবে।

টেলিযোগাযোগ খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে নতুন কাঠামো গঠন করা হয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির নেতৃত্বে জবাবদিহিতা কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া বিটিআরসিকে প্রতি চার মাস অন্তর গণশুনানি করতে হবে এবং তার ফলোআপ ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।

আইনানুগ ইন্টারসেপশনের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আধা-বিচারিক কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে, যেখানে আইনমন্ত্রী, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার এবং স্বরাষ্ট্র সচিব থাকবেন। বেআইনি নজরদারির বিরুদ্ধে এখানে অভিযোগ করা যাবে।

সংশোধিত আইনে পূর্বের উচ্চ জরিমানা ও পুনরাবৃত্তি জরিমানা কমানো হয়েছে। ‘স্পিচ অফেন্স’ বা কথা বলার অপরাধ সংক্রান্ত ধারাগুলো পরিবর্তন করে কেবল সহিংসতার আহ্বানকেই অপরাধ হিসেবে রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এই অধ্যাদেশ গত ২০ নভেম্বর নীতিগত অনুমোদন পেয়েছিল। অর্থ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যাচাই-বাছাই শেষে এটি চূড়ান্ত অনুমোদন পেল। সরকার জানিয়েছে, পুরো ব্যবস্থাপনা জাতিসংঘ ও আইটিইউ-এর আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী পরিচালিত হবে।

এমজে/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে