ঢাকা, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫
Sharenews24

সুরক্ষিত হাইকমিশনে বিক্ষোভকারীরা প্রবেশ করল কিভাবে- প্রশ্ন ঢাকার

২০২৫ ডিসেম্বর ২১ ২০:০৭:৫৭
সুরক্ষিত হাইকমিশনে বিক্ষোভকারীরা প্রবেশ করল কিভাবে- প্রশ্ন ঢাকার

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতের প্রেস নোটে উল্লেখিত নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে সংঘটিত কথিত বিক্ষোভকে পুরোপুরি অস্বীকার করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত সংরক্ষিত এলাকায় কীভাবে বিক্ষোভকারীরা প্রবেশ করতে পারল, তা নিয়ে গুরুতর নিরাপত্তা ঘাটতির প্রশ্ন তুলেছে ঢাকা।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন রবিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে সাংবাদিকদের জানান, ভারতের প্রেস নোটের বিষয়টি আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। বিষয়টি খুব সাধারণ ঘটনা হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে, অথচ বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমাদের মিশন সম্পূর্ণ সুরক্ষিত কূটনৈতিক এলাকায় অবস্থিত।

তিনি বলেন, প্রেস নোটে বিক্ষোভকারীর সংখ্যা ২০-২৫ বলা হলেও মূল বিষয় হলো কীভাবে তারা এই সংবেদনশীল ও সুরক্ষিত এলাকায় প্রবেশ করতে পারল। সাধারণত অনুমতি ছাড়া সেখানে যাওয়া সম্ভব নয়।

তৌহিদ হোসেন আরও বলেন, বিক্ষোভকারীরা কেবল ময়মনসিংহে একজন হিন্দু নাগরিক হত্যার ঘটনায় স্লোগান দেননি, বরং অন্যান্য বক্তব্যও দিয়েছেন। তিনি নিশ্চিত করেন, বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিভ্রান্তি নেই।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে হত্যার হুমকির কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই। তবে শোনা গেছে, হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। মূল প্রশ্ন হলো, কীভাবে তারা এত দূর পৌঁছালো এবং কীভাবে হুমকি দিতে সক্ষম হলো।

তিনি আন্তর্জাতিক রীতিনীতির কথা উল্লেখ করে বলেন, সাধারণত বিক্ষোভকারীদের আগেই কর্তৃপক্ষকে জানাতে হয় এবং পুলিশ তাদের দূরে রাখে। কখনও কখনও কেবল একজন বা দুজন প্রতিনিধিকে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এ ঘটনায় স্বাভাবিক নিরাপত্তা বিধি যথাযথভাবে অনুসরণ হয়নি। আমরা ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বাংলাদেশ মিশনগুলোর নিরাপত্তা বিষয়ে অবহিত করেছি এবং আশা করি ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি এড়ানো হবে।

তিনি বলেন, দুই দেশের কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে উভয় পক্ষ যোগাযোগ রাখছে। তবে ভারতের প্রেস নোট প্রকাশের পর বাংলাদেশ প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া জানাতে বাধ্য হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, হাইকমিশনার ও তাঁর পরিবার মিশন প্রাঙ্গণে বসবাস করেন। বিক্ষোভের সময় সেখানে মাত্র দুজন নিরাপত্তাকর্মী ছিলেন, ফলে তারা হুমকির মুখে পড়েছিলেন। কূটনৈতিক মিশন ও কর্মীদের নিরাপত্তা স্বাগতিক দেশের দায়িত্ব।

তৌহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশে এক নাগরিকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে সংখ্যালঘু নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত করার কোনো যৌক্তিকতা নেই। ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং একাধিক ব্যক্তি গ্রেপ্তার হয়েছেন।

এমজে/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে