ঢাকা, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
Sharenews24

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

২০২৫ ডিসেম্বর ১০ ১৮:১৯:০৩
বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান এবং ন্যাশনাল ব্যাংকের ১৩ জন শীর্ষ কর্মকর্তাসহ মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুদক প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম এই মামলাটির বাদী হয়েছেন।

আসামীদের মধ্যে বসুন্ধরা গ্রুপের তিনজন কর্মকর্তা রয়েছেন: আহমেদ আকবর সোবহান (বসুন্ধরা ইম্পোর্ট এক্সপোর্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান), সাদাত সোবহান (ব্যবস্থাপনা পরিচালক) এবং সাফিয়াত সোবহান (পরিচালক)। এছাড়াও, ন্যাশনাল ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা আসামীর তালিকায় আছেন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন পরিচালক মনোয়ারা শিকদার, পারভীন হক শিকদার, মোয়াজ্জেম হোসেন, রিক হক শিকদার, রন হক শিকদার, মো. আনোয়ার হোসেন ও একেএম এনামুল হক শামীম। একই ব্যাংকের গুলশান শাখার ম্যানেজার আরিফ মো. শহিদুল হকসহ আরও ছয় শীর্ষ কর্মকর্তার নামও মামলায় অন্তর্ভুক্ত।

দুদকের তদন্তে উঠে এসেছে যে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ন্যাশনাল ব্যাংকের নিয়ম-কানুন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা লঙ্ঘন করে বসুন্ধরা ইম্পোর্ট এক্সপোর্ট লিমিটেডের নামে ১ হাজার ৩৫০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন ও বিতরণ করেন। এই ঋণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল অপর্যাপ্ত জামানত ও ভুয়া আর্থিক বিবরণীর ভিত্তিতে। একই সঙ্গে গ্রাহকের অন্যান্য ব্যাংকে থাকা ৬২৯.১৬ কোটি টাকার দায়-দেনা ইচ্ছাকৃতভাবে উপেক্ষা করা হয়। গ্রাহককে আলাদা গ্রুপ দেখিয়ে একক ঋণগ্রহীতা ঋণসীমা অতিক্রম করার মাধ্যমেও ব্যাংক কোম্পানি আইন লঙ্ঘন করা হয়। তদন্তে আরও প্রমাণিত হয়েছে যে, এই ফান্ডেড ঋণের ৬০০ কোটি টাকা বৈধ উদ্দেশ্যে ব্যবহার না করে আসামিরা তা বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের হিসাবে স্থানান্তর ও নগদ উত্তোলনের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন। পাশাপাশি অর্থের উৎস ও মালিকানা গোপন করতে তারা মানিলন্ডারিং কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।

এই গুরুতর অপরাধের জন্য আসামীদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০, ৪০৯ ও ১০৯ ধারা, দুর্নীতি দমন আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত সব প্রমাণ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দুদক জানিয়েছে।

এমজে/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে