ঢাকা, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
Sharenews24

ডরিন পাওয়ারের আরও এক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিক্রির সিদ্ধান্ত

২০২৫ ডিসেম্বর ১০ ১১:১২:২০
ডরিন পাওয়ারের আরও এক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিক্রির সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক : জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে তালিকাভুক্ত ডরিন পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড সিস্টেমস লিমিটেড নরসিংদীর ২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব স্থায়ী (নন-কারেন্ট) সম্পদ বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে গত বছর কোম্পানিটি টাঙ্গাইলের ২২ মেগাওয়াট এবং ফেনীর ২২ মেগাওয়াট কেন্দ্রের স্থায়ী সম্পদও বিক্রি করেছিল। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যানুসারে, বাংলাদেশ রুরাল ইলেকট্রিফিকেশন বোর্ড (বিআরইবি)-এর সঙ্গে নরসিংদী কেন্দ্রটির ১৫ বছরের বিদ্যুৎ সরবরাহ চুক্তির মেয়াদ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি চুক্তি নবায়নে আগ্রহী নয়। ফলে কেন্দ্রটি আর চালু রাখার প্রয়োজন নেই বলে সংশ্লিষ্ট স্থায়ী সম্পদ বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় ডরিন পাওয়ার।

এর আগে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) নবায়ন না করায় কোম্পানিটি টাঙ্গাইল ও ফেনী কেন্দ্রের সম্পদ বিক্রি করে।

আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি ২০২৫–২৬ অর্থ বছরে প্রথম প্রান্তিক (জুলাই–সেপ্টেম্বর) শেষে ডরিন পাওয়ারের শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৮১ পয়সা, যেখানে আগের অর্থ বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৪৮ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শেষে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫৪ টাকা ২৪ পয়সা।

সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২৪–২৫ অর্থ বছরে, উদ্যোক্তা পরিচালক বাদে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য কোম্পানিটি ১০% ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। ওই অর্থ বছরে কোম্পানির ইপিএস ছিল ৩ টাকা ১৯ পয়সা, যা আগের অর্থ বছরে ছিল ১ টাকা ৮১ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৫ শেষে এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৫২ টাকা ৪৩ পয়সা।

এর আগের ২০২৩–২৪ অর্থ বছরে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য কোম্পানিটি ১০% ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। তারও আগের অর্থ বছরে ছিল ১১% ক্যাশ ডিভিডেন্ড।

২০০৮ সালের নভেম্বরে বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে যাত্রা শুরু করে ডরিন পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড সিস্টেমস লিমিটেড। ২০১০ সালে কোম্পানির ৫৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার নর্দার্ন এবং সাউদার্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্র দুটির বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৬ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।

বর্তমানে কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ১৮১ কোটি ১১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৬৭২ কোটি ৭১ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১৮ কোটি ১১ লাখ ১৮ হাজার ৯০১। এর মধ্যে ৬৬.৬১% রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে, ১৯.৪৩% প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে এবং ১৩.৯৬% সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে