ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Sharenews24

বিমানবন্দরে যে কারণে জামায়াত নেতা হেনস্তা হন নি

২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৫ ০৯:৪০:৫০
বিমানবন্দরে যে কারণে জামায়াত নেতা হেনস্তা হন নি

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জাতিসংঘ সফরের সাথে এবার প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দল - বিএনপি, জামায়াত এবং (অনির্দিষ্ট তৃতীয় দল) থেকে ছয়জন শীর্ষ নেতা যোগ দিয়েছেন। এই সফরে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী'র নায়েবে আমির ডা. আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের উপস্থিত রয়েছেন।

রিপোর্টার প্রশ্ন করেন যে, বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতাদের রাষ্ট্রপ্রধানের সাথে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যোগদান আগে কখনো দেখা যায়নি, এর মূল উদ্দেশ্য কী?

ডা. আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের জানান যে, এটি নিঃসন্দেহে একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ এবং এর প্রাসঙ্গিকতা আছে। তিনি উল্লেখ করেন, আগে সাধারণত দলীয় সরকারের সদস্যরাই বিদেশ সফর করতেন এবং তাদের দলের নেতাদের নিয়েই আসতেন। এখন যেহেতু একটি নির্দলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রয়েছে, এটি একটি 'গুড গেসচার' যে, রাজনৈতিক ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও, জাতীয় স্বার্থে এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ে দেশের স্বার্থরক্ষায় আমরা সবাই এক, এই বার্তাটি দেশের জনগণ এবং বিশ্বকে পৌঁছে দেওয়া। তিনি মনে করেন, এটিই তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দলকে এখানে সমন্বয় করার প্রধান উদ্দেশ্য।

তিনি আরও স্পষ্ট করেন যে, এই সফরের সাথে স্থানীয় রাজনীতির কোনো এজেন্ডা বা আগামী নির্বাচনের জন্য তিন দলকে একত্রিত করার মতো কোনো রাজনৈতিক আয়োজন নেই। তবে, বিশ্বকে বাংলাদেশের ঐক্যবদ্ধ অবস্থা দেখানো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তিনি আজকের বিনিয়োগকারীদের ফোরামের কথা উল্লেখ করেন, যেখানে বাংলাদেশের বড় বড় প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছিল। ড. ইউনূস তাদের সামনে বর্তমান এবং ভবিষ্যতের সরকার গঠনকারী উভয় পক্ষকেই উপস্থাপন করেছেন, যা বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করেছে।

বিমানবন্দরের ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, যেখানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলা হয়েছিল যে জামায়াতের নেতারা তাকে নিয়ে এসেছেন এবং তারা অন্যদের (আখতার হোসেন, তাসনিম জারা, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) রক্ষা করতে পারেননি, ডা. তাহের এই দাবিকে "সম্পূর্ণ বিপরীত এবং তথ্যভিত্তিক নয়" বলে অভিহিত করেন। তিনি জানান, ফখরুল সাহেব তার কাছাকাছি ছিলেন এবং তারা একসাথেই বের হয়েছিলেন। তিনি বলেন, যেহেতু জামায়াতের অনেক লোক উপস্থিত ছিল এবং তারা তার নামে স্লোগান দিচ্ছিল ("তাহের ভাই জিন্দাবাদ"), তাই তিনি কিছুটা ধীরে হেঁটেছিলেন যাতে স্লোগানগুলো মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কানে না পৌঁছায়।

তিনি আরও বলেন যে, সেখানে ব্যবস্থাপনার সমস্যা ছিল এবং তাদের খবর রাখা উচিত ছিল কারা নিরাপদ। তিনি ঘটনাটিকে অত্যন্ত দুঃখজনক ও লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করেন, যা বাংলাদেশ সম্পর্কে মানুষের মধ্যে খারাপ ধারণা তৈরি করে এবং এটি আওয়ামী লীগের "পুরোনো চরিত্রের নবায়ন", যা মানুষকে তাদের প্রতি আরও বেশি ঘৃণা করতে বাধ্য করবে।

সফরের শেষে দেশবাসীর জন্য কোনো সুসংবাদ রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে, ডা. তাহের বিশ্বাস করেন যে জাতিসংঘে ভালো প্রতিনিধিত্ব হবে এবং বিনিয়োগকারীদের ফোরামে ভালো আলোচনা হয়েছে। সব মিলিয়ে, তিনি মনে করেন এটি বাংলাদেশের জন্য অবশ্যই সুফল বয়ে আনবে এবং সুসংবাদ হিসেবে বিবেচিত হবে।

জাহিদ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে