ঢাকা, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Sharenews24

বাবাকে হত্যার পর মাটিচাপা, নেপথ্যে যা জানা গেল

২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৭ ১৫:২৭:০৪
বাবাকে হত্যার পর মাটিচাপা, নেপথ্যে যা জানা গেল

নিজস্ব প্রতিবেদক: কক্সবাজার সদরের খুরুশকুলে পারিবারিক কলহের জেরে বাবাকে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ বস্তায় ভরে মাটি চাপা দেওয়ার চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার দক্ষিণ ডেইলপাড়া কুরিমারিয়ারছড়া এলাকা থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় বস্তাবন্দী মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলে মোহাম্মদ রফিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সদর থানার ওসি ইলিয়াছ খান।

নিহত মোহাম্মদ ছৈয়দ (৫০) একই এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। গ্রেপ্তার মোহাম্মদ রফিক নিহত মোহাম্মদ ছৈয়দের ছেলে।স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নিহত মোহাম্মদ ছৈয়দের সঙ্গে স্ত্রী ও সন্তানদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। তিনি কয়েক বছর আগে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে খুরুশকুলের কুমারিয়ারছড়া এলাকায় গিয়ে পরিবার নিয়ে বসবাস করছিলেন। পুরো পরিবারটি রোহিঙ্গা নাগরিক।

নিহতের প্রতিবেশীরা আরও জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মোহাম্মদ ছৈয়দের বাড়ির আশপাশে দুর্গন্ধ ছড়ালে এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে তার বাড়ির ধানক্ষেতের পাশে সদ্য মাটি চাপা দেওয়া একটি শার্ট দেখতে পান। সেখান থেকে গন্ধ ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে পুলিশকে অবহিত করা হয়। পরে পুলিশের একটি দল সেখানে মাটি সরিয়ে বস্তাবন্দি অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে।

গ্রেপ্তার রফিকের স্ত্রী শারমিন আক্তার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, সোমবার ভোরে তার শ্বশুর মোহাম্মদ ছৈয়দ স্থানীয় মসজিদে নামাজ আদায় করতে যান। সকালে বাড়ি ফিরলে শাশুড়ির সঙ্গে তার তর্ক হয়। একপর্যায়ে তার স্বামী রফিকও কলহে জড়িয়ে পড়েন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রফিক তার বাবাকে লাঠি দিয়ে সজোরে আঘাত করলে শ্বশুর মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তার মৃত্যু হলে মরদেহ বস্তাবন্দি করে ঘরে ফেলে রাখা হয়।

শারমিন আক্তার আরও জানান, ঘটনার ব্যাপারে কারও কাছে প্রকাশ করলে তার স্বামী 'বাবার মতো' পরিণতি ভোগ করারও হুমকি দেন।কক্সবাজার সদর থানার ওসি ইলিয়াছ খান জানান, খবর পাওয়ার পর পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং স্থানীয়দের সহায়তায় মাটি সরিয়ে বস্তাবন্দি মৃতদেহটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহতের ছেলে মোহাম্মদ রফিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মামলা নথিভুক্ত হওয়ার পর জড়িত অন্যদের শনাক্ত করে গ্রেফতারে অভিযান চালানো হবে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

জাহিদ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে