ঢাকা, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Sharenews24

জানুন ডাকসু ভিপি-জিএসের আয়ের গোপন রহস্য!

২০২৫ সেপ্টেম্বর ১১ ১০:৪৯:৩২
জানুন ডাকসু ভিপি-জিএসের আয়ের গোপন রহস্য!

নিজস্ব প্রতিবেদক: অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট অভাবনীয় জয় পেয়েছে। ঐতিহাসিক এ নির্বাচনে প্যানেলটি ছাত্রদের বিপুল সমর্থন পেয়ে ভিপি (সহ-সভাপতি) এবং জিএস (সাধারণ সম্পাদক) সহ মোট ২৩টি পদে বিজয়ী হয়েছে।

এই নির্বাচনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও আলোচিত দুটি পদ হলো ভিপি ও জিএস— যাদের কার্যক্রম ও অবস্থান সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নীতি নির্ধারণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলে।

ডাকসুর ভিপি ও জিএস হলেন ঢাবির হাজার হাজার শিক্ষার্থীর নির্বাচিত প্রতিনিধি। তাদের দায়িত্ব শুধু সাংগঠনিক বা অনুষ্ঠান কেন্দ্রিক নয়, বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ তথা সিনেট ও সিন্ডিকেটের সদস্য হিসেবেও তারা দায়িত্ব পালন করেন। ফলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের স্বার্থ ও অবস্থান তারা তুলে ধরতে পারেন।

তাদের ক্ষমতার পরিধি আরও বিস্তৃত। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক সভা, শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ বা অপসারণ সংক্রান্ত সিলেকশন বোর্ড, শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক সমস্যা, অধিকার, সুযোগ-সুবিধা, এবং আন্দোলনের প্রয়োজন হলে তা পরিচালনায়ও ভিপি ও জিএস-এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে।

ডাকসুর ভিপি ও জিএস পদের সঙ্গে আলাদা কোনো বেতন বা মাসিক ভাতা নির্ধারিত নেই। তবে, তাদের এক বছরের মেয়াদে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি এককালীন অর্থ বরাদ্দ থাকে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এই বরাদ্দের পরিমাণ সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা হতে পারে, যার মধ্যে ভিপির জন্য ৫ লাখ এবং জিএসের জন্য ৫ লাখ টাকা নির্ধারিত থাকে। এই অর্থ মূলত চা-নাশতা, সভা আয়োজন, ব্যানার-পোস্টার মুদ্রণ, সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন, এবং কিছু ক্ষেত্রে অসহায় শিক্ষার্থীদের জরুরি আর্থিক সহায়তা দেয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

একজন প্রাক্তন জিএস জানান:“এই বরাদ্দ অর্থ দিয়ে এক বছরে নানা প্রোগ্রাম চালাতে হয়। তবে নিয়মিত হিসাব দিতে হয় প্রশাসনের কাছে।”

শিবির-সমর্থিত জোটের এই অভূতপূর্ব জয়ে বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে যেমন আনন্দ ও গর্ব প্রকাশ পেয়েছে, তেমনি উদ্বেগ ও বিতর্কও উঠেছে ভিন্নমতের শিক্ষার্থীদের মাঝে। বিশেষ করে, হিজাব ও ধর্মভিত্তিক পরিচয় ঘিরে তৈরি হওয়া নতুন বিতর্কগুলো নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা তুঙ্গে।

তবে, নির্বাচিত ভিপি ও জিএস-এর প্রতি সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা একটাই— তারা যেন দলমত নির্বিশেষে সব শিক্ষার্থীর প্রতিনিধি হয়ে কাজ করেন, এবং শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সুরক্ষায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসু নির্বাচন এক ঐতিহাসিক ঘটনা, এবং এই নির্বাচনে বিজয়ীদের দায়িত্ব আরও বেশি। ভিপি ও জিএস পদে আসীনদের কাছে শিক্ষার্থীরা শুধু অনুষ্ঠান বা ক্যাম্পাস রাজনীতির প্রতীক নয়, বরং বাস্তব সমস্যার সমাধানকারী হিসেবে দায়িত্ব পালনের প্রত্যাশা রাখেন। এখন দেখার বিষয়— তারা এই আস্থার কতটা সম্মান রাখতে পারেন।

জাহিদ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে