ঢাকা, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Sharenews24

সুন্দরী মেয়েরা যেভাবে খ্রিষ্টান হচ্ছে নুরাল পুত্রের হাতে

২০২৫ সেপ্টেম্বর ১০ ১০:৫৮:৪২
সুন্দরী মেয়েরা যেভাবে খ্রিষ্টান হচ্ছে নুরাল পুত্রের হাতে

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নিজেকে "ইমাম মাহদী" দাবি করা নুরাল হক ওরফে নুরাল পাগলার মৃত্যুর পর তার বড় ছেলে মেহেদী নূরতাজ ওরফে নূরতাজ নোভা তার বাবার অসমাপ্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন, তবে আরও ধূর্ত ও ভয়ঙ্কর কৌশলে। নুরাল পাগলার মরদেহ আগুনে পোড়ানোর পর অনেকেই ভেবেছিলেন যে এই ভণ্ডামীর অবসান হলো। কিন্তু সেই ছাই থেকে আরও ভয়ংকর এক ফিনিক্স পাখির জন্ম হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।

নূরতাজ নোভা বাবার মতো নিজেকে প্রকাশ্যে মাহদী দাবি না করে শান্তির মুখোশ পরেছেন। তবে এই মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে আছে এক নারীলোভী চরিত্র, যার প্রমাণ মিলেছে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কিছু আপত্তিকর ছবি ও ভিডিওতে, যেখানে তরুণীদের সাথে তার ঘনিষ্ঠতা চোখে পড়ার মতো।

তার নেতৃত্বে একদল নারী-পুরুষ সাদা পোশাকে গ্রাম-গঞ্জে ঘুরে বেড়ায়, নিজেদের "আল্লাহর বান্দা" বলে পরিচয় দেয় এবং দরবার শরীফ ও বাউল গানের ছদ্মবেশে মানুষের কাছাকাছি আসে। বিশ্বাস অর্জন হয়ে গেলে দ্বিতীয় ধাপে তারা নিজেদের "ঈসা নবীর উম্মত" বলে দাবি করে। মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় ঈসা (আ.)-এর প্রতি স্বাভাবিক সম্মানকে তারা সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করে।এরপর শুরু হয় মূল খেলা। দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের চাকরি ও অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে টার্গেট করা হয়। বিশেষ করে সুন্দরী তরুণীদের টার্গেট করা হয়, কারণ সমাজে তাদের প্রভাব ও আকর্ষণ বেশি। একবার তাদের ধর্মান্তরিত করতে পারলে সেই আকর্ষণকে ব্যবহার করে আরও অনেক যুবক-যুবতীকে ফাঁদে ফেলা সহজ হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আলমগীর নামের এক ব্যক্তির বাড়ি তাদের গোপন আস্তানায় পরিণত হয়েছে, যেখানে চলে মগজ ধোলাইয়ের ভয়ঙ্কর পর্ব। চট্টগ্রামের একটি গির্জায় গোপনে প্রশিক্ষণ নিয়ে আসা ২৪ জনের একটি দল এই কার্যক্রম পরিচালনা করে। তারা ৪০ দিন ধরে শুধু পানি ও ফল খেয়ে এক ধরনের মানসিক ঘোরের মধ্যে থাকে এবং অন্যদেরও সেই পথে নিয়ে যায়।

এরপর চুল কেটে, পরিবারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করিয়ে রবিবার প্রার্থনায় যোগ দিতে বাধ্য করা হয়। ধীরে ধীরে একজন মুসলিম কিশোরী তার পরিচয় ভুলে ঈসা নবীর উম্মত থেকে পুরোদস্তুর খ্রিস্টান হয়ে ওঠে। রশনারা নামের এক কিশোরী মেয়েকে গত রমজানে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় এই চক্র। মেয়েটি এখন আর নিজের পরিবারকে চিনতে পারে না। বন্যা বেগমের মেয়ে কোনভাবে ফিরে আসতে পারলেও তার জন্য রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়েছে।

স্থানীয় মসজিদের ইমাম বলছেন, তাদের চালচলন এখন পুরোপুরি খ্রিস্টানদের মতো। তারা আর নামাজ পড়ে না, ঈদ করে না। শরিফুল ইসলাম নামের একজন সদস্য দুইবার তওবা করেও আবার সেই চক্রে ফিরে গেছে, যা প্রমাণ করে এই নেটওয়ার্কের শিকড় কতটা গভীরে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সময় থাকতে যদি এই চক্রকে দমন করা না যায়, তবে আরও শত শত পরিবার ধ্বংস হবে, যা একসময় জাতীয় সংকটে পরিণত হতে পারে। রাজবাড়ী থেকে শুরু হওয়া এই বিষাক্ত জাল এখন ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে।

জাহিদ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে