ঢাকা, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫
Sharenews24

মধ্য রাতে অজানা তথ্য ফাঁস করলেন আসিফ নজরুল

২০২৫ জুলাই ০৭ ১৫:৩৯:৫৫
মধ্য রাতে অজানা তথ্য ফাঁস করলেন আসিফ নজরুল

নিজস্ব প্রতিবেদন: জাতীয় আইন উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা, উপদেষ্টা পদে আগ্রহীদের যোগাযোগ এবং সেই প্রক্রিয়ার পেছনের না-বলা কিছু কাহিনি নিয়ে শুক্রবার মধ্যরাতে নিজের ফেসবুক পেজে বিস্তৃত এক পোস্ট দিয়েছেন বিশিষ্ট লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আসিফ নজরুল। সেই পোস্টে উঠে এসেছে উপদেষ্টা হওয়ার আগ্রহ, অন্তর্ভুক্তির নীতিমালা, কিছু পরিচিত মুখের মনোভাব এবং তার ব্যক্তিগত উপলব্ধি।

ফেসবুক পোস্টে আসিফ নজরুল জানান, উপদেষ্টা হওয়ার পর বেশ কয়েকজন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন—তাঁদের কেউ কেউ পরিচিত সাংবাদিক, কেউ বা আলোচিত টকশো বক্তা। কিন্তু জাতীয় উপদেষ্টা ইউনুস সাহেব নতুন কাউকে অন্তর্ভুক্ত করতে অনাগ্রহী ছিলেন এবং ছাত্র উপদেষ্টাদের সম্মতি ছাড়া কাউকে নেওয়া সম্ভব ছিল না। এরপরও কিছু পেশাদার ও অভিজ্ঞ মানুষকে দলে যুক্ত করা হয়, যার মধ্য দিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের গঠন প্রক্রিয়া প্রায় শেষ হয়ে যায়।

আসিফ নজরুল লেখেন, “এরপর স্যার সিদ্ধান্ত নেন যে, আর কাউকে উপদেষ্টা হিসেবে নেওয়া হবে না।” এ সিদ্ধান্তে কেউ কেউ মনক্ষুণ্ন হন এবং সামাজিক মাধ্যমে উপদেষ্টাদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

তিনি লিখেছেন, “ফেসবুকে নানা সময় প্রশ্ন তোলা হয়, উপদেষ্টারা কী যোগ্যতায় নিয়োগ পেয়েছেন? জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে তাঁরা কোথায় ছিলেন?” তবে এসব মন্তব্য নিজের প্রতি ইঙ্গিত নয় বলেই মনে করেন আসিফ নজরুল।

“শেখ হাসিনার ১৬ বছরের স্বৈরশাসনে আমার মতো ধারাবাহিকভাবে রাজপথে আন্দোলন বা লেখালেখির মাধ্যমে প্রতিবাদ কেউ করেননি,” দাবি করেন তিনি।

পোস্টে আসিফ নজরুল উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের ভূমিকা নিয়েও কথা বলেন। তিনি জানান, দলের একজন সদস্য রিজওয়ানা, হাসিনার আমলে সর্বাধিক সোচ্চার একজন নারী। আদিল রহমানের নাম তুলে বলেন, যিনি শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ডসহ গুমের বিরুদ্ধে সক্রিয় ছিলেন এবং সে কারণে সরকার নির্যাতন চালিয়েছে তাঁর ওপর।

তিনি বলেন, “এটা ঠিক—আমাদের চেয়েও যোগ্য মানুষ সমাজে আছে। কিন্তু গত ১৬ বছর তাদের কেউ কেউ নীরব থেকেছেন, কেউ কেউ নিজেই উপদেষ্টা হতে চাননি।”

পোস্টের শেষাংশে আসিফ নজরুল কিছুটা আবেগী হয়ে পড়েন। ফিরে যান নিজের পুরোনো জীবনের স্মৃতিতে। বলেন, “আমি ফুলার রোডের জীবনটা খুব মিস করি। সকালে ঘুমিয়ে থাকতাম, জানালা দিয়ে আকাশ আর সবুজ গাছ দেখতাম। গাছের পাতায় হাত বুলিয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটতাম, বাচ্চাদের কথা শুনতাম।”

তিনি আশা প্রকাশ করেন, একদিন আবার সেই স্বাধীন জীবনে ফিরতে পারবেন, যেখানে বাধাহীনভাবে কথা বলা যাবে, লেখা যাবে।

মুসআব/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে