ঢাকা, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
Sharenews24

বিএফআইইউ’র রিপোর্টে সন্দেহজনক লেনদেনের নতুন রেকর্ড

২০২৫ মে ২৭ ১২:৫৯:৩৭
বিএফআইইউ’র রিপোর্টে সন্দেহজনক লেনদেনের নতুন রেকর্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক: গত বছরে সন্দেহজনক লেনদেন ও কার্যক্রমের প্রতিবেদন আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৩ শতাংশ বেড়ে ১৭ হাজার ৩৪৫টিতে দাঁড়িয়েছে। এর আগের বছরের সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছিল ১৪ হাজার ১০৬টি।

মঙ্গলবার (২৭ মে) বাংলাদেশ ফাইন্যান্সয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) বার্ষিক প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে।

বিএফআইইউ জানায়, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরের প্রতিবেদনে বিভিন্ন তথ্যের পাশাপাশি একাধিক বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন এবং জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৪ সময়কালে বিএফআইইউ এর গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমের সারসংক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থাসমূহ হতে বিএফআইইউতে দাখিলকৃত বিভিন্ন রিপোর্টের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলা হয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রিপার্ট প্রদানকারী সংস্থাসমূহ বিএফআইইউ-তে সর্বমোট ১৭ হাজার ৩৪৫টি সন্দেহজনক লেনদেনের হয়েছে। এটি ২০২২-২৩ অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৩ হাজার ২৩৯টি বা ২২.৯৬ শতাংশ বেশি। মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধে রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থাসমূহের কর্মকর্তাদের সচেতনত এবং বিএফআইইউ এর সক্রিয় ভূমিকা ও কর্মতৎপরতার প্রতিফলন বলে জানায় বিএফআইইউ।

গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে ১৪ হাজার ১০৬টি। যা তার আগের বছর থেকে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছিল ৬৪ দশ‌মিক ৫৭ শতাংশ বা ৫ হাজার ৫৩৫টি। ২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল ৮ হাজার ৫৭১টি এবং ২০২০-২১ ছিল ৫ হাজার ২৮০টিতে। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে এমন লেনদেন ও কার্যক্রম হয়েছিল ৩ হাজার ৬৭৫টি, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এমন লেনদেন ও কার্যক্রম হয়েছিল ৩ হাজার ৫৭৩টি।

বিএফআইইউ’র প্রধান এ এফ এম শাহীনুল ইসলাম বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১১৪টি আর্থিক গোয়েন্দা প্রতিবেদন বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থায় প্রেরণ করে। এছাড়া, বিএফআইইউ বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও সরকারি অন্যান্য সংস্থার সাথে ১ হাজার ২২০টি তথ্য বিনিময় করেছে যা পূর্ববর্তী অর্থবছরের তুলনায় ১৩.৯১ শতাংশ বেশি। পাচারকৃত ফেরত আনার লক্ষ্যে বিএফআইইউ তদন্তকারী সংস্থাসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য অংশীজনদের সাথে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।

মুয়াজ/

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে