ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
Sharenews24

যুক্তরাষ্ট্রের ঋণের পরিমাণ ৩৬.২ ট্রিলিয়ন ডলার: কার ভাগে কত?

২০২৫ মে ২০ ২৩:৩১:৩৯
যুক্তরাষ্ট্রের ঋণের পরিমাণ ৩৬.২ ট্রিলিয়ন ডলার: কার ভাগে কত?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ঋণগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির জাতীয় ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৬.২ ট্রিলিয়ন (৩৬ হাজার ২০০ বিলিয়ন) ডলারে , যা প্রতি তিন মাসে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলার করে বাড়ছে।

এমন অবস্থায় সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসের একটি গুরুত্বপূর্ণ কমিটি সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০১৭ সালের করছাড় বিল দীর্ঘায়নের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এতে করে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণে আরও ৫ ট্রিলিয়ন ডলার যুক্ত হতে পারে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।

গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ঋণ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে দেশটির ক্রেডিট রেটিং কমিয়ে দেয় মুডিস। মঙ্গলবার আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজস্ব কম এবং ব্যয় বেশি হওয়ার ফলে যে ঘাটতি তৈরি হয়, তা পূরণে ধার নিতে হয় সরকারকে। তবে এই ঋণ নিতে হলে কংগ্রেসের অনুমোদন দরকার। ১৯৬০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কংগ্রেস ৭৮ বার ঋণসীমা বাড়িয়েছে।

এই বিপুল ঋণের বেশিরভাগই দেশের ভেতরের উৎস থেকে নেওয়া। বর্তমানে ৩৬.২ ট্রিলিয়ন ডলারের মধ্যে ২৭.২ ট্রিলিয়ন ডলার (প্রায় ৭৫ শতাংশ) দেশীয় উৎস থেকে ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫.১৬ ট্রিলিয়ন ডলার বিভিন্ন বেসরকারি বিনিয়োগকারী ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে, ৭.৩৬ ট্রিলিয়ন ডলার সরকারি ট্রাস্ট ও সংস্থার কাছ থেকে এবং ৪.৬৩ ট্রিলিয়ন ডলার যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে।

বিশ্বখ্যাত বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেটের প্রতিষ্ঠান বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি মার্কিন ট্রেজারি বিলের মালিক, যার পরিমাণ ৩১৪ বিলিয়ন ডলার।

দেশের বাইরে থেকে নেওয়া ঋণের পরিমাণ ৯.০৫ ট্রিলিয়ন ডলার, যা মোট ঋণের প্রায় ২৫ শতাংশ। এর মধ্যে জাপান (১.১৩ ট্রিলিয়ন), যুক্তরাজ্য (৭৭৯.৩ বিলিয়ন), চীন (৭৬৫.৪ বিলিয়ন), কেম্যান দ্বীপপুঞ্জ (৪৫৫.৩ বিলিয়ন) এবং কানাডা (৪২৬.২ বিলিয়ন ডলার) রয়েছে শীর্ষে। বিশেষ করে চীন ও জাপান বিভিন্ন সময়ে এই ঋণকে কূটনৈতিক চাপে ব্যবহারের ইঙ্গিত দিয়েছে।

বর্ধিত ঋণের কারণে সুদের খরচও বেড়ে চলেছে যুক্তরাষ্ট্রের। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই সুদের বোঝা সামলাতে গিয়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো ও সামাজিক নিরাপত্তার মতো খাতে ব্যয় কমানো হতে পারে। একই সঙ্গে কর বাড়ানোরও সম্ভাবনা রয়েছে। সুদের হার বাড়লে সাধারণ মানুষের গৃহঋণ, গাড়ির ঋণ ও ক্রেডিট কার্ডের খরচও বাড়তে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ঋণ পরিস্থিতি শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, বিশ্ব অর্থনীতির ওপরও দীর্ঘমেয়াদি চাপ ও অনিশ্চয়তা তৈরি করতে পারে।

আলীম/

পাঠকের মতামত:

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ খবর

আন্তর্জাতিক - এর সব খবর



রে