ঢাকা, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Sharenews24

বিশ্বব্যাংক ও এডিবি থেকে ১৪০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা পাচ্ছে বাংলাদেশ

২০২৫ মে ১৪ ২০:৩৩:৪৮
বিশ্বব্যাংক ও এডিবি থেকে ১৪০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা পাচ্ছে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ সরকার আগামী অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে ১৪০ কোটি মার্কিন ডলারের বাজেট সহায়তা পেতে যাচ্ছে। আগামী জুনের মধ্যে এই ঋণচুক্তিগুলো স্বাক্ষরিত হবে বলে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। সংস্থা দুটি ইতোমধ্যে বাজেট সহায়তা প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি ছাড়ে অনিশ্চয়তা থাকায় বিশ্বব্যাংক ও এডিবির বাজেট সহায়তা কার্যক্রমও স্থগিত ছিল। তবে আইএমএফ থেকে জুনে দুই কিস্তি ছাড়ের সম্ভাবনার পর এসব আলোচনা ফের শুরু হয়েছে।

আইএমএফের সবুজ সংকেত পাওয়ার পরই ইআরডি বাজেট সহায়তার প্রস্তুতি শুরু করে। এর অংশ হিসেবে ১৪ মে 'রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড রিকভারি ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিট-২' শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় ৫০ কোটি ডলারের সহায়তা নিয়ে ইআরডিতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইআরডি, অর্থ বিভাগ ও বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগের দিন, এডিবির সঙ্গে দুটি পৃথক সভায় অংশ নেয় ইআরডি। এ আলোচনায় ব্যাংকিং সেক্টর রিফর্মস সাব-প্রোগ্রাম-১ কর্মসূচির আওতায় ৫০ কোটি এবং ক্লাইমেট রেসপনসিভ ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (সাব-প্রোগ্রাম-২) কর্মসূচির আওতায় ৪০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তার বিষয়ে নিশ্চয়তা পাওয়া গেছে।

ইআরডির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, আইএমএফ যেকোনো দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, বৈদেশিক ঋণের বোঝা ও পরিশোধ সক্ষমতা বিশ্লেষণ করে ডায়াগনোস্টিক প্রতিবেদন তৈরি করে। এ প্রতিবেদনকে ভিত্তি করেই বিশ্বব্যাংকসহ অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীরা ঋণ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগীদের জন্য এই বাধ্যবাধকতা নেই, তবে জাপানের মতো অনেক সংস্থা আইএমএফের মূল্যায়ন অনুসরণ করে।

চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ১২০ কোটি ডলারের বাজেট সহায়তা পেয়েছে। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ৫০ কোটি ডলারের ‘সেকেন্ড বাংলাদেশ গ্রিন অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিট’ চুক্তি হয়েছে গত ডিসেম্বরে। এ মাসে এডিবির সঙ্গে ‘স্ট্রেংদেনিং ইকোনমিক ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (সাব-প্রোগ্রাম-১)’ কর্মসূচির আওতায় ৬০ কোটি ডলার এবং এপ্রিলে ওপেক ফান্ডের সঙ্গে ১০ কোটি ডলারের চুক্তি সই হয়েছে।

ইআরডি বলছে, চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত যেসব বাজেট সহায়তার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে, তা মিলিয়ে মোট ২৬০ কোটি ডলার পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটি একক অর্থবছরে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বাজেট সহায়তা হতে যাচ্ছে। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ২৫৯ কোটি ডলার সহায়তা পেয়েছিল বাংলাদেশ।

কোভিড-১৯ মহামারির পর থেকে বাংলাদেশ বাজেট সহায়তার ওপর নির্ভরতা বাড়িয়েছে, যা ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরবর্তী বৈশ্বিক সংকটে আরও ত্বরান্বিত হয়েছে। গত কয়েক অর্থবছরে বাংলাদেশের বাজেট সহায়তার পরিমাণ ছিল: ২০১৯-২০ সালে ১০০ কোটি, ২০২০-২১ সালে ১০৯ কোটি, ২০২১-২২ সালে ২৫৯ কোটি, ২০২২-২৩ সালে ১৭৬ কোটি এবং চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২০৩ কোটি ডলার।

মামুন/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে