ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Sharenews24

মালয়েশিয়ায় হালাল পণ্যের বিশ্বমেলায় প্রাণ-এর উজ্জ্বল উপস্থিতি

২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৯ ২১:২৫:০৫
মালয়েশিয়ায় হালাল পণ্যের বিশ্বমেলায় প্রাণ-এর উজ্জ্বল উপস্থিতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান প্রাণ গ্রুপ মালয়েশিয়া ইন্টারন্যাশনাল হালাল শোকেস (এমআইএইচএএস) ২০২৫ থেকে ২ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত নতুন রপ্তানি অর্ডার পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছে। কুয়ালালামপুরে চলমান এই প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নিচ্ছে প্রাণ।

প্রাণের কর্মকর্তারা জানান, আগের বছরগুলোতে একই মেলা থেকে প্রতিষ্ঠানটি স্পট অর্ডারের মাধ্যমে প্রায় ০.৫ থেকে ১ মিলিয়ন ডলারের ব্যবসা নিশ্চিত করেছিল। মালয়েশিয়া এক্সটার্নাল ট্রেড ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (মাতরাদে) আয়োজিত এই আন্তর্জাতিক হালাল প্রদর্শনীতে ৮০টি দেশের ২ হাজার ৪০০-এর বেশি প্রদর্শক অংশ নিয়েছেন। ১৭ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলা এ মেলায় হালাল-প্রত্যয়িত খাদ্য ও পানীয়, প্রসাধনী, ওষুধ থেকে শুরু করে মুসলিম-বান্ধব পর্যটনপণ্য পর্যন্ত প্রদর্শন করা হচ্ছে।

প্রাণের মালয়েশিয়ার একমাত্র পরিবেশক পিয়াকলে ফুডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম ভূঁইয়া বলেন, এমআইএইচএএস বৈশ্বিক হালাল অর্থনীতিতে প্রবেশের অন্যতম বড় প্ল্যাটফর্ম। তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, “প্রথম দিকে মালয়েশিয়ার বাজারে বাংলাদেশি ব্র্যান্ডের প্রতি মানুষের কোনো ধারণা ছিল না। এমনকি সুপারমার্কেটে তাকের স্থান পেতে আমাদের ৫ হাজার রিঙ্গিত খরচ করতে হয়েছিল। ঝুঁকিপূর্ণ হলেও এই পদক্ষেপ সফল হয়েছে। এখন মালয়েশিয়ার ভোক্তারা আমাদের পণ্যে আস্থা রাখছেন।”

চলতি বছরের প্রদর্শনীতে প্রাণ তাদের রেডি-টু-কুক খাবার, জুস, নুডলস, বিস্কুট ও মসলা প্রদর্শন করছে। এসব পণ্য মালয়েশিয়ার ডিপার্টমেন্ট অফ ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট (জেএকেআইএম) কর্তৃক হালাল-প্রত্যয়িত। ২০০৪ সালে যাত্রা শুরু করা এমআইএইচএএস এখন বৈশ্বিক হালাল বাণিজ্যের অন্যতম প্রধান প্ল্যাটফর্ম, যা বিশ্বের ২ বিলিয়নেরও বেশি মুসলিম ভোক্তার কাছে পৌঁছানোর সুযোগ তৈরি করছে। গত ১৪ বছর ধরে প্রাণ এই প্ল্যাটফর্মে অংশ নিয়ে মালয়েশিয়ায় অবস্থান শক্ত করেছে।

পিয়াকলে ফুডসের বিক্রয় প্রধান পারভেজ হীরা জানান, মালয়েশিয়া হালাল বাণিজ্যের একটি কেন্দ্রবিন্দু। এখানে সফলতা অর্জন ইন্দোনেশিয়া, ব্রুনাইসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর বাজারে প্রবেশের সুযোগ করে দেয়। স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও এখন বাংলাদেশি পণ্যের প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন। কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশি পণ্য বিক্রি করেন এমন এক উদ্যোক্তা বলেন, “একসময় মানুষ ভাবত, নিম্ন আয়ের দেশের খাবারের মান কতটা ভালো হতে পারে? কিন্তু প্রাণের পণ্য ব্যবহার করার পর সেই ধারণা বদলে গেছে। মান ভালো, দামও ইউরোপীয় অনেক ব্র্যান্ডের তুলনায় সাশ্রয়ী।”

বর্তমানে বিশ্বের ১৪৮টি দেশে প্রাণের পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। এর মধ্যে মালয়েশিয়া অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাজার। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শুধু মালয়েশিয়াতেই প্রাণ খাদ্য ও পানীয় রপ্তানি থেকে প্রায় ৭৫০ কোটি টাকা আয় করেছে। গ্রাহকের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন, খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে সচেতনতা এবং হালাল মান বজায় রাখার ধারাবাহিকতা মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়িয়ে তুলছে।

মারুফ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে