ঢাকা, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
Sharenews24

রাখাল রাহার পোস্টে মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ

২০২৫ মার্চ ১১ ১১:৩১:৫৭
রাখাল রাহার পোস্টে মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের লেখক, গবেষক এবং শিক্ষাবিদ রাখাল রাহা, যিনি ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবই পরিমার্জন কমিটির অন্যতম সমন্বয়ক, সম্প্রতি একটি দীর্ঘ ফেসবুক পোস্টে নিজের বিরুদ্ধে চলমান বিতর্কের বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, পাঠ্যবই সংশোধন করতে গিয়ে তিনি ধর্মীয় কটূক্তি করেছেন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতি করেছেন। তবে, এই বিতর্ক সম্প্রতি এক্সক্লুসিভ প্রতিবেদনটির প্রত্যাহারের মাধ্যমে কিছুটা কমেছে।

রাখাল রাহা তাঁর ফেসবুক পোস্টে "পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জনে যেসব 'ইচ্ছেকৃত ভুল' করেছিলাম এবং 'যতো টাকা' পেয়েছিলাম!" শিরোনামে প্রশ্নোত্তর আকারে ঘটনাগুলোর বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, "সরকারের সঙ্গে যুক্ত সবাই যখন ফেসবুকে এসে কৈফিয়ত দিচ্ছেন, তখন আমি সরকারের কোনও পদ গ্রহণ না করেও যে কিছু কাজ করেছি, তার ভেতরের চিত্র প্রকাশ করা নিশ্চয়ই ভুল বা অন্যায় হবে না।"

রাখাল রাহা জানান, পাঠ্যবই পরিমার্জনার কাজ শুরু হয়েছিল ২০১২ সালের কারিকুলামের ভিত্তিতে, যেটি তিনি এবং তাঁর সহকর্মীরা পরিমার্জনা করেছেন, নতুন পাঠ্যবই তৈরি করেননি। তিনি আরও বলেন, মন্ত্রণালয়ের অনুগ্রহে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের দল গঠন করা হয়, কিন্তু তাঁর কোনও পদ ছিল না এবং তিনি কোনো সম্মানীও গ্রহণ করেননি।

রাখাল রাহা তাঁর পোস্টে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খ ম কবিরুলের ভূমিকা তীব্রভাবে সমালোচনা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, খ ম কবিরুল পাঠ্যবইয়ে তার নতুন লেখা বই যুক্ত করার চেষ্টা করেছিলেন, যদিও উপদেষ্টা স্যার এতে সায় দেননি। তিনি বলেন, "খ ম কবিরুল সাহেব তার নতুন লেখা বইগুলো উপদেষ্টা স্যারকে বোঝানোর চেষ্টা করলেন। কিন্তু উপদেষ্টা স্যার তাড়াহুড়া করার পক্ষে ছিলেন না।"

পাঠ্যবই সংশোধন ও পরিমার্জনের কাজ শুরু হওয়ার পর, রাখাল রাহা জানান, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বইয়ের বিষয়বস্তু নিয়ে মতবিরোধ তৈরি হয়েছিল। বিশেষ করে, "৭১-এর পরবর্তী ইতিহাস" এবং "জুলাইয়ের ঘটনা" নিয়ে আলোচনা চলছিল। তিনি জানান, মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন সুপারিশ আসলেও বইয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার সময় কিছু আপত্তি তোলা হয়।

রাখাল রাহা তাঁর ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন, যে তথ্যগুলো পোর্টাল ও গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছিল, তা অনেকাংশে মিথ্যা ছিল। তিনি বলেন, "এনসিটিবির মধ্যে কাজ না জানা দুয়েকটা গরু-গাধাও তাদের সঙ্গে যোগ দিলো।" তবে, তিনি দৃঢ় বিশ্বাস করেন যে এইসব রিপোর্টের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল এবং ভিউ বিজনেসের অংশ হিসেবে এগুলো প্রচারিত হয়েছিল।

রাখাল রাহা বলেন, "আমার কোনও পাসপোর্ট নেই, ছিলও না কখনও। পাসপোর্ট পকেটে রেখে আমি চলিনি, চলবো না। কারণ দেশটা আমার বাপেরও।" তিনি নিজের ভবিষ্যত নিয়ে আত্মবিশ্বাসী এবং দেশের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা দৃঢ়ভাবে ব্যক্ত করেছেন।

এ বিষয়ে তিনি মন্তব্য করেন যে, বর্তমান পরিস্থিতি থেকে তিনি শিখেছেন এবং দেশের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

এনামুল/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে