ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

পাঠ্যবইয়ে হাসিনা ও আ.লীগের নাম বাদ দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস

২০২৫ জানুয়ারি ২৩ ১২:০২:১৬
পাঠ্যবইয়ে হাসিনা ও আ.লীগের নাম বাদ দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস

নিজস্ব প্রতিবেদক: নতুন পাঠ্যবইয়ে গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত ইতিহাসে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার নাম বাদ দেওয়া নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

নতুন পাঠ্যবইয়ে ২০২২ সালের জুলাই-অগাস্টে ঘটে যাওয়া গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কে কিছু নতুন তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বইয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা এক দফা দাবি পেশ করেছে এবং সারাদেশ থেকে মানুষ ঢাকায় ছুটছে’, কিন্তু এখানে আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনার নাম নেই।

পরিমার্জন কমিটির সদস্যরা বলেছেন যে, বইয়ে শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের নাম অষ্টম শ্রেণির বইয়ে রাখা হয়েছিল, তবে অন্যান্য বইয়ে তা রাখার পক্ষে কোনো ‘ন্যায্য ব্যাখ্যা’ তারা পায়নি।

সপ্তম শ্রেণির বাংলা বইয়ের একটি কবিতা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। কবিতাটির ভাষা নিয়ে সমালোচনা করা হচ্ছে, এবং কেউ কেউ এটিকে মানসম্পন্ন না বলে উল্লেখ করেছেন।

পরিমার্জন কমিটির সদস্য সাজ্জাদুর রহমান জানিয়েছেন, তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন, তবে কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে সবকিছু ঠিকঠাক করা সম্ভব হয়নি।

নতুন বইয়ে ‘আদিবাসী’ শব্দটি নিয়ে যে গ্রাফিতি ছিল, তা নিয়েও সমালোচনা তৈরি হয়েছে। ‘স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি’ নামক সংগঠনটি এই গ্রাফিতির বিরোধিতা করেছে, এবং আন্দোলনের পর এটি সংশোধন করা হয়েছে। তবে, আদিবাসী জনগণের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয় এবং একপর্যায়ে সংঘর্ষ ঘটে, যেখানে কয়েকজন আহত হন।

বইয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে ‘সাবেক সেনাপ্রধান’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যা বিএনপির দাবি অনুযায়ী ভুল ছিল। এনসিটিবি এ বিষয়টি সংশোধন করেছে, তবে বিতর্ক থামেনি।

শিক্ষকরা জানিয়েছেন, পাঠ্যবইয়ের পরিমার্জন আরও সতর্কতার সাথে করা উচিত ছিল, যাতে সঠিক এবং নিরপেক্ষ ইতিহাস শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছায়। তারা মনে করেন, এটি সমাজ ও দেশের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে যদি পাঠ্যবইয়ে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব থাকে।

এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেছেন, তারা কখনোই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বইগুলো পরিমার্জন করেননি। তারা বিতর্কিত বিষয়গুলোর সংশোধন করেছে, তবে সংঘর্ষ ও বিতর্ক এড়ানোর চেষ্টা করা জরুরি।

এটি একটি উদাহরণ যেখানে পাঠ্যবইয়ের সামগ্রিক পরিমার্জন ও সংশোধনী কার্যক্রম রাজনৈতিক এবং সামাজিক বিতর্কের কারণ হয়ে উঠেছে।

কেএইচ/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে