ঢাকা, বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

সিআরএম মেশিনের কারণে বদলে যাচ্ছে ব্যাংকিং খাত

২০২৫ জানুয়ারি ২২ ১২:৪৪:০৮
সিআরএম মেশিনের কারণে বদলে যাচ্ছে ব্যাংকিং খাত

নিজস্ব প্রতিবেদক: গ্রাহকদের টাকা জমা ও উত্তোলনের সুবিধা দিচ্ছে ক্যাশ রিসাইক্লিং মেশিন (সিআরএম)। ফলে এ প্রযুক্তির ব্যবহার ক্রমেই বাড়ছে। ব্যাংকগুলোর খরচ সাশ্রয় এবং গ্রাহকসেবা আরও সহজ ও দ্রুত হওয়ায় এ সেবার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত নভেম্বর শেষে দেশে ৬,৮৫১টি সিআরএম মেশিন চালু হয়েছে। পাঁচ মাস আগে এ সংখ্যা ছিল ৫,৬২৬টি। অর্থাৎ, পাঁচ মাসে ১,২২৫টি নতুন সিআরএম মেশিন যোগ হয়েছে।

একই সময়ে দেশে এটিএম বুথের সংখ্যা কমেছে। গত বছরের জুনে এটিএম বুথ ছিল ১৩,৪৩৮টি, যা কমে নভেম্বরে ১৩,০৩৩টি হয়েছে। অর্থাৎ, পাঁচ মাসে কমেছে ৪০৫টি বুথ।

সংশ্লিষ্টদের মতে, সিআরএম মেশিনে টাকা জমা ও উত্তোলনের সুবিধা থাকায় ব্যাংকগুলো এটিএমের তুলনায় সিআরএম স্থাপনে বেশি আগ্রহী। এর ফলে জায়গা সাশ্রয় হচ্ছে এবং খরচ কমছে।

সিআরএমের সুবিধা

তাৎক্ষণিক লেনদেন: গ্রাহক যেকোনো সময় টাকা জমা বা উত্তোলন করতে পারেন।

বড় অঙ্কের নোট প্রক্রিয়াকরণ: একবারে দেড় শতাধিক নোট জমা দেওয়া যায়।

জাল নোট শনাক্তকরণ: যন্ত্রটি জাল নোট শনাক্ত করে।

নগদ লেনদেনের স্বচ্ছতা: জমার স্লিপে টাকার নম্বর ও পরিমাণ উল্লেখ থাকে।

মিনি ব্রাঞ্চ সুবিধা: গ্রাহকদের ব্যাংকে যেতে হয় না।

২০১৭ সালের জুনে দেশে প্রথমবার সিআরএম চালু করে সিটি ব্যাংক। এর আগে ২০১০ সালে ক্যাশ ডিপোজিট মেশিন (সিডিএম) চালু হয়। তবে সিডিএমে টাকা জমা সঙ্গে সঙ্গে হিসাবে যোগ হতো না, যা গ্রাহকদের অসুবিধার কারণ ছিল। সিআরএম প্রযুক্তি সে সমস্যার সমাধান করেছে।

সিটি ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) অরূপ হায়দার বলেন,"এটিএমে শুধু টাকা উত্তোলন করা যায়, আর সিআরএমে জমা ও উত্তোলন উভয়ই করা যায়। ফলে গ্রাহকদের জন্য সুবিধাজনক এবং ব্যাংকের খরচও কমছে। এটি অনেকটা মিনি ব্রাঞ্চের মতো কাজ করে।"

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত নভেম্বর শেষে দেশে কার্ডের (ডেবিট, ক্রেডিট, প্রিপেইড) সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৯৩টি। এসব কার্ডের মাধ্যমে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪,০৯৩ কোটি টাকা।

কেএইচ/

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে