ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

চটপটির আড়ালে ২৩৪ কোটি ঋণ: এস আলম গ্রুপের দুর্নীতি উদঘাটন

২০২৫ জানুয়ারি ১৬ ১০:০৭:২৯
চটপটির আড়ালে ২৩৪ কোটি ঋণ: এস আলম গ্রুপের দুর্নীতি উদঘাটন

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাইফুল আলম মাসুদ পরিচালিত এস আলম গ্রুপের সাথে যুক্ত নওরোজ এন্টারপ্রাইজ থেকে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে ২৩৪ কোটি টাকা ঋণ তোলা হয়েছে, যা বিতর্কিত এবং অনিয়মপূর্ণ বলে অভিযোগ উঠেছে। নওরোজ এন্টারপ্রাইজের মালিক হিসেবে নাজমি নওরোজের নাম থাকলেও বাস্তবে এই ঋণের পুরো অর্থ এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের পকেটে চলে গেছে বলে অভিযোগ।

ঋণের বিশদ বিবরণ:

ইট অ্যান্ড ট্রিট চটপটির দোকান: এটি চট্টগ্রামের আসকার দিঘির পাড়ে অবস্থিত একটি চটপটির দোকান। এখানে ঋণের বিপরীতে ২৩৪ কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে, যা খুব বেশি মনে হচ্ছে তুলনামূলক ব্যবসার পরিমাণের জন্য।

ফিউশন ইটস ও লা এরিস্টোক্রেসি রেস্তোরাঁ: এই দুটি রেস্তোরাঁও নওরোজ এন্টারপ্রাইজের অন্তর্গত। লা এরিস্টোক্রেসি রেস্তোরাঁর জন্য ২ কোটি টাকার ঋণ সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে, নাজমি নওরোজ ৭০ কোটি টাকা উত্তোলন করেছেন, যার ফলে সুদসহ ঋণের পরিমাণ ১১৭ কোটি টাকারও বেশি হয়ে যায়।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের শাখা থেকে ঋণ উত্তোলন:

- মহিলা শাখা (আসকার দিঘির পাড়): এখানে ৭০ কোটি টাকা ঋণ উত্তোলন করা হয়, যা সুদসহ ১১৭ কোটি টাকায় পরিণত হয়েছে।

- প্রবর্তক মোড় শাখা: এই শাখা থেকে ৫৪ কোটি টাকা ঋণ উত্তোলিত হয়েছে, যার সুদসহ মোট পরিমাণ ৯০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা হয়েছে।

- চকবাজার শাখা: এখানে ২৭ কোটি টাকা ঋণ উত্তোলিত হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে যে, এই ঋণ জালিয়াতির সাথে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের মালিক সাইফুল আলম মাসুদ সরাসরি জড়িত। ব্যাংকটির বিভিন্ন শাখা থেকে নেওয়া ঋণগুলো তার নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে বলে বলা হচ্ছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এই পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দুদক জানিয়েছেন যে, তারা চট্টগ্রামের নওরোজ এন্টারপ্রাইজের মালিক নাজমি নওরোজ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালাবে। ঋণ জালিয়াতি, অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করা হবে এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই ঘটনাটি বড় ধরনের ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ তৈরি করেছে, যেখানে একটি ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে বিপুল পরিমাণ ঋণ উত্তোলন করা হয়েছে এবং সেই ঋণের অর্থ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে অবৈধভাবে বিতরণ করা হয়েছে। দুদক এবং অন্যান্য কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে বিষয়টি তদন্ত করছে এবং আশা করা হচ্ছে যে, দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কেএইচ/

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে