ঢাকা, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

সঞ্চয়পত্রের সুদহার নিয়ে সরকারের নতুন নির্দেশনা

২০২৫ জানুয়ারি ১৫ ২১:০২:২৮
সঞ্চয়পত্রের সুদহার নিয়ে সরকারের নতুন নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকার সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার বৃদ্ধি করেছে এবং ছয় মাস পরপর বাজারদরের সঙ্গে সুনির্দিষ্ট পাঁচ ধরনের সঞ্চয়পত্রের সুদহার নির্ধারণ করা হবে।

সাম্প্রতিক সময়ে প্রথমবারের মতো বাজারের সুদহারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ৫টি জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের মুনাফার হার নতুন করে নির্ধারণ করেছে সরকার। এর ফলে প্রত্যেকটি সঞ্চয়পত্রের সুদহার কিছুটা বাড়ানো হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ আজ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) এক প্রজ্ঞাপনে সঞ্চয়পত্রের সুদহার পুনঃনির্ধারণ করেছে।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, নতুন সুদহার ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে; অর্থাৎ ১ জানুয়ারি বা তার পর থেকে যেসব গ্রাহকের সঞ্চয়পত্র কার্যকর হয়েছে, তারা নতুন এই সুদহার পাবেন।

জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত এই সুদহার কার্যকর থাকবে। এরপর থেকে ছয় মাস পরপর বাজারের সাথে সমন্বয় করে সঞ্চয়পত্রের সুদহার নির্ধারণ করা হবে।

অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ৫ বছর ও ২ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডের সুদের হারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সঞ্চয় স্কিমের সুদের হার বছরে দুইবার পুনঃনির্ধারণ করা হবে। বিনিয়োগকারী ইস্যুকালীন বিদ্যমান মুনাফার হার বিনিয়োগকালের পূর্ণ মেয়াদের জন্য প্রাপ্য করা হবে।

এ পর্যন্ত সঞ্চয়পত্রের সুদহার তিন ধাপে নির্ধারণ করা হত; বর্তমানে তিনটি ধাপের পরিবর্তে দুটি ধাপ তৈরি করা হয়েছে: একটি ধাপ সাড়ে সাত লাখ টাকা এবং অন্যটি সাড়ে সাত লাখ টাকার বেশি। আগের নিয়ম অনুযায়ী বিনিয়োগের মেয়াদপূর্তির পূর্বে নগদায়নের ক্ষেত্রে বছরভিত্তিক হারে মুনাফা প্রাপ্য হবে।

অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণির জন্য এ পরিবর্তন আনা হয়েছে, যদিও এতে সরকারের ব্যয় বৃদ্ধি হবে।

জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের অধীনে চারটি সঞ্চয়পত্র রয়েছে। পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের সর্বোচ্চ সুদহার ১২.৪০% থেকে ১১.২৮% বেড়েছে। এছাড়া, ৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের সুদহার ১২.৩০%, পেনশন সঞ্চয়পত্রের ১২.৫৫% এবং পরিবার সঞ্চয়পত্রের ১২.৫০% নির্ধারণ করা হয়েছে। ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকে ১২.৩০% সুদহার পাওয়া যাবে, যা আগে ১১.২৮% ছিল।

মুনাফার হার পুনঃনির্ধারণের ফলে দেশের প্রান্তিক বিনিয়োগকারীরা উপকৃত হবেন এবং জাতীয় সঞ্চয় স্কিমে বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

এই সঞ্চয় স্কিমের মাধ্যমে নারী, অবসরপ্রাপ্ত চাকুরিজীবী, পেনশনার, বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

মিজান/

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে