সচিবালয়ের সামনে ঠিক কী ঘটেছিল? শিক্ষার্থী-আনসার সংঘর্ষের শুরু কীভাবে?
নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের প্রশাসনের সর্বোচ্চ প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সচিবালয়। প্রশাসনের সেই সর্বোচ্চ জায়গা অবরোধ করেছিল নিরাপত্তা বাহিনীর আনসার সদস্যরা।
অবরোধের এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে যায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে নানান আলোচনা-সমালোচনা হতে দেখা যায়।
রোববার রাতের ওই সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষের অর্ধ-শতাধিক মানুষ আহত হন, যাদের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহসহ বেশ কয়েকজন এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
পরিস্থিতি মোকাবেল করতে মোতায়েন করা সেনাবাহিনীর সদস্যদের। তাদের মধ্যেও কয়েকজন আহত হন।
অবরোধ ও সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতার সাড়ে তিনশ’র বেশি আনসার সদস্যকে সোমবার গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকার শাহবাগ, রমনা, পল্টন এবং বিমানবন্দর থানায় দায়ের হওয়া বেশ কয়েকটি মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়।
শিক্ষার্থীদের রোষানলে পড়া ওইসব আনসার সদস্যদের উদ্ধার করে রোববার রাতে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছিল সেনা সদস্যরা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে ছয় সেনাসদস্য আহত হয়েছে, যাদের একজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
অন্যদিকে, শিক্ষার্থীরা সচিবালয় ঘেরাও করা আনসার সদস্যদের ‘মোকাবেলা’ না করলে সেখানকার ‘ভয়াবহ পরিস্থিতি’ হতে পারতো বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
কিন্তু দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়ার পরও আনসার সদস্যরা আন্দোলন অব্যাহত রেখেছিলেন কেন? শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরুই-বা হলো কীভাবে?
এই বিষয়ে বিবিসি বাংলা আজ সোমবার রাতে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যা পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো।
অবরুদ্ধ সচিবালয়ে জরুরি বৈঠক
চাকরি জাতীয়করণ দাবিতে রোববার সকালে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলকারী আনসার সদস্যরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের সংখ্যা আরও বাড়তে থাকে।
এরপর দুপুরের মধ্যে প্রায় দশ হাজার আনসার সদস্য সচিবালয়ের মূল ফটক ও আশেপাশের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ শুরু করে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা সরবেন না বলেও ঘোষণা দেন।
এতে সচিবালয় রীতিমত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে বিকেলে জরুরিভিত্তিতে আন্দোলকারীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সেখানে তথ্য, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, যুব, ক্রীড়া, শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ।
‘রেস্ট প্রথা’ বাতিল
বৈঠকশেষে রোববার সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “সবার সাথে আলোচনা করে আমরা একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি, এখন থেকে রেস্ট প্রথা থাকবে না আনসারে।”
চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে আনসারে তিন বছর পরপর বিনা বেতনে ছয় মাসের বাধ্যতামূলক ছুটির যে নিয়ম রয়েছে, সেটিই ‘রেস্ট প্রথা’ নামে পরিচিত। আন্দোলনের শুরু থেকেই আনসার সদস্যরা এটি বাতিল করার দাবি জানিয়ে আসছিল।
এছাড়া, বৈঠকে চাকরি স্থায়ীকরণসহ তাদের আরও যত দাবি রয়েছে সেগুলো পর্যালোচনা করার জন্য একটি কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত হয়।
স্বরাষ্ট উপদেষ্টা বলেন, “দাবিগুলো পর্যালোচনা করে কমিটি আমাদের কাছে পাঠাবে। এরপর আমরা আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় বসে একটা সিদ্ধান্ত নেবো।”
এসব সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করে আন্দোলন স্থগিত রাখার ঘোষণা দেন বৈঠকে অংশ নেওয়া আনসার সদস্যরা।
আনসার জাতীয়করণ আন্দোলনের সমন্বয়ক নাসির মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, “রেস্ট প্রথা বাতিল ঘোষণা করেছে এবং চাকরি জাতীয়করণের জন্য উচ্চতর একটা কমিটি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আমরা চারজন আনসার সমন্বয়ক আছি...আমরা আপাতত আন্দোলন স্থগিত করতেছি।”
কিন্তু আন্দোলন স্থগিত করার এই ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে পরবর্তীতে আরও কয়েক ঘণ্টা বিক্ষোভ ও অবরোধ অব্যাহত রাখেন আনসার সদস্যরা, যা এক পর্যায়ে সংর্ঘষে পরিণত হয়।
‘হুট করে মারামারি শুরু হয়ে গেলো’
আনসার জাতীয়করণ আন্দোলনের সমন্বয়কারী নেতাদের পক্ষ থেকে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেওয়ার পরও কেন বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছিলেন এবং কীভাবে সেটি সংর্ঘষের পর্যায়ে গেলো? এই প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত বেশ কয়েকজন আনসার সদস্যের সঙ্গে কথা বলেছে বিবিসি বাংলা।
তারা জানিয়েছেন যে, উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে নেতারা আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিলে আনসার সদস্যদের একটি অংশ সেটির বিরোধিতা করেন।
বিবিসি বাংলাকে আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী আনসার সদস্য মাসুদ হোসাইন (ছদ্মনাম) বলেন, “চাকরি জাতীয়করণের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা যেন কেউ সচিবালয়ের গেট না ছাড়ি এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।”
তিনি জানান, চাকরি জাতীয়করণের বিষয়ে লিখিত আদেশ না পাওয়া পর্যন্ত তাদেরকে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল।
তিনি আরও জানান, “আমাদের সমন্বয়করা (যারা উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন) থামানোর চেষ্টা করলেও কেউ কথা শোনেনি।”
তাহলে সচিবালয়ের বৈঠকে অংশ নেওয়া সমন্বয়কদের পক্ষে কি কেউ ছিল না? “ছিল, অনেকেই ছিল,” বলছিলেন ঘটনাস্থলে থাকা আরেক আনসার সদস্য নাজমুল ইসলাম (প্রকৃত নাম নয়)।
তিনি বলেন, “নিজেদের মধ্যে ঝামেলা লেগে গেছে দেখে আমার মতো অনেকেই তখন দলে দলে চলে গেছে।”
তিনি জানান, “যাদের চাকরি আছে, তারা চলে আসছে। যাদের চুক্তি শেষ হবে বা রেস্টে আছে, তারা ছিল।”
ফটক অবরোধ করে বিক্ষোভ করার কারণে একাধিক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, সচিবসহ কর্মকর্তা-কর্মচারিরা সচিবালয়ে আটকে পড়েন।
আনসারদের অবরোধের কারণে বের হতে পারেননি আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালকও। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেশ কয়েকজন সমন্বয়কও সচিবালয়ের ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
এমন পরিস্থিতিতে ছাত্র আন্দোলনের একটি দল বিক্ষোভকারী আনসারদের সঙ্গে কথা বলতে যান।
বিবিসি বাংলাকে বলেন আন্দোলনে অংশ নেওয়া আনসার সদস্য আরিফুল হক (আসল নাম নয়) বলেন, “তারা এসে সবার সঙ্গে কথা বলার পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্তও হয়ে এসেছিল। এর মধ্যে হুট করে মারামারি শুরু হয়ে গেল।”
মারামারির বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বেশ কয়েকজন আনসার সদস্যকে শিক্ষার্থীদের উপর চড়াও হতে দেখা গেছে।
সাকিব আহমেদ নামে এক শিক্ষার্থী বিবিসি বাংলাকে বলেন, “উনাদের (আনসার) কথা ভেবেই আমরা সচিবালয়ে গিয়েছিলাম। অথচ তারাই আমাদের উপর আক্রমণ করলো।”
তবে ছাত্রদের অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো দাবি করেছেন আনসাররা দাবি করেছেন, “ছাত্ররাই আনসার সদস্যদের গায়ে প্রথমে হাতে তুলেছে। এরপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমরা ধাওয়া দিয়েছি।”
ছাত্র সমন্বয়করা সচিবালয়ে কেন?
রোববার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুক লাইভে এসে অভিযোগ করেন, আনসার সদস্যরা সচিবালয়ে তাদেরকে অবরুদ্ধ অবস্থায় রেখেছেন, কেউ বের হতে পারছে না।
এই ঘটনার পরেই কয়েক হাজার শিক্ষার্থী একত্রিত হয়ে সচিবালয়ের সামনে গেলে দ্বিতীয় দফায় সংঘর্ষ শুরু হয়।
কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা সচিবালয়ে গিয়েছিলেন কেন?
“আমরা এসেছি তাদের (আনসারদের) হয়ে কথা বলতে,” সাংবাদিকদের বলেন সমন্বয়ক সারজিস আলম।
পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য উপদেষ্টাদের সঙ্গে আন্দোলনকারী আনসার সদস্যদের বৈঠক করানোর ক্ষেত্রেও তারা ভূমিকা রেখেছেন বলে দাবি করেছেন তিনি।
সারজিস আলম বলেন, “আমরা তাদের একাধিক দলকে নিয়ে এসেছি। একবার সাতজনের দলকে নিয়ে এসেছি, একবার সতের জনের দলকে নিয়ে এসেছি।”
দাবি মেনে নেওয়ার পরও আনসারদের একটি পক্ষ ‘উস্কানি’ দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সারজিস আলম বলেন, “আমরা মনে করি তারা ওই পরাজিত শকুন, যারা রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা চায় না। যে শকুনরা চায়, রাষ্ট্র আবার ওই ফ্যাসিস্টদের হাতে যাক।”
কিন্তু সরকার নিজে যেখানে আন্দোলনকারী আনসারদের সঙ্গে আলোচনা করছে, সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জড়িত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে অনেকে সমালোচনা করছেন।
বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক জোবাইদা নাসরিন বলেন, “দেশে একটি সরকার যেখানে রয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রয়েছে, সেখানে শিক্ষার্থীদের জড়িত হওয়াটা ঠিক হয়নি।”
এসব ঘটনা সরকারের ভাবর্মূর্তি ক্ষুণ্ন করতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
“মব তৈরি করে সবাই যদি এভাবে আইন নিজের হাতে তুলে নিতে শুরু করে, তাহলে সরকার মানুষের আস্থা হারাবে, সরকারকে দুর্বল মনে করবে।” বলেন রাজনৈতিক এই বিশ্লেষক।
‘ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারতো’
এই বিষয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, শিক্ষার্থীরা আনসার সদস্যদের ‘মোকাবেলা’ না করলে ‘ভয়াবহ পরিস্থিতি’ হতে পারতো।
সোমবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন তিনি বলেন, “আপনারা তাদের (আনসারদের) যুদ্ধাংদেহী মনোভাব দেখেছেন। তাদের দাবি ছিল এক্ষুণি রাত ১০টার সময় প্রজ্ঞাপন করে তাদের জাতীয়করণ করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “তারা (আনসার) এমন একটা অসম্ভব দাবি তুলেছিল, অবাস্তব এবং অসম্ভব দাবি করেছিল গণ্ডগোল করার জন্য, সারা সচিবালয় ঘেরাও করে রেখেছিল। হয়ত আরও অনেকে যোগ দিত। ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারতো।”
আনসারদের মধ্যে যারা সহিংসতায় অংশ নিয়েছেন, তারা নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য আসেনি বলেও মন্তব্য করে অন্তবর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা।
তিনি অভিযোগ করেন, “আমরা মনে করি, কালকে আনসার বাহিনীর ছদ্মাবরণে যারা এসেছিল, কোনো দাবি আদায়ের এজেন্ডা তাদের ছিল না। দাবি আদায়ের এজেন্ডা হয় আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে।”
তিনি আরও বলেন, “তারা বারবার আলাপ-আলোচনা করে সম্মত হয়ে ফিরে গেছে। বারবার আমাদের ঘিরে রেখেছে। লাঠি তাদের স্টকে ছিল। এবং আপনারা দেখেছেন, তারা কী মারমুখি ছিল ছাত্রদের উপর।”
অঙ্গীভূত আনসার কারা?
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী বাংলাদেশের একটি আধা-সামরিক বাহিনী। সংখ্যার বিচারে এটি দেশের সবচেয়ে বড় বাহিনীও বটে।
সরকারি হিসেবে, বর্তমানে বাংলাদেশে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা প্রায় ৬৩ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ৬২ লাখেরও বেশি গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর (ভিডিপি) সদস্য।
আনসার হিসেবে যারা পরিচিত, তাদের মধ্যে দুই ধরনের সদস্য রয়েছে। সেগুলো হলো: আনসার ব্যাটালিয়ন এবং অঙ্গীভূত আনসার।
আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্য সংখ্যা প্রায় ১৮ হাজার। আর অঙ্গীভূত আনসার রয়েছে প্রায় সাড়ে ৫৪ হাজার।
আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা দেশের অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মতোই স্থায়ীভাবে নিয়োগ এবং সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন।
আর অঙ্গীভূত আনসার সদস্যরা নিয়োগ পেয়ে থাকে চুক্তির ভিত্তিতে, যেখানে চুক্তির মেয়াদ থাকে তিন বছর। তবে অধিকাংশ সদস্যই চুক্তি নবায়নের মাধ্যমে কাজ করার সুযোগ পেয়ে থাকেন।
এক্ষেত্রে বাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী, চুক্তি শেষ হওয়ার পর অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের বাধ্যতামূলকভাবে ছয়মাসের ছুটি বা ‘রেস্টে’ যেতে হয়।
কিন্তু ওই ছুটির সময়ে তারা কোনো বেতন কিংবা রেশন পান না। এছাড়া স্বাভাবিক সময়ে দায়িত্ব পালনের জন্য অঙ্গীভূত সদস্যরা দৈনিক ভিত্তিতে অর্থ পেয়ে থাকেন বলে জানা গেছে।
মূলত সে কারণেই ‘রেস্ট প্রথা’ বাতিল করে আনসার ব্যাটালিয়নের মতো স্থায়ী নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিলেন অঙ্গীভূত আনসার সদস্যরা।
সালাউদ্দিন /
পাঠকের মতামত:
- সাইফ আলী খানের ১৫ হাজার কোটি টাকার দখল নেবে ভারত সরকার
- এবার জার্মান রাজনীতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আলোড়ন
- দাম কমেছে গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির, কমলো কত টাকা?
- ব্যাংকিং সুবিধার দাবি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসছে বেক্সিমকো
- ট্রাম্প ও মোদীর মধ্যে বৈঠকের আয়োজন করতে মরিয়া ভারত
- যানবাহন ভাঙচুর ও আগুন বেক্সিমকো শ্রমিকদের
- সাংবাদিক আবেদ খানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
- পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনতে বিশ্বনেতাদের সহযোগিতার আহ্বান
- সুকুক বন্ডে ব্যক্তি পর্যায়ে বেড়েছে বিনিয়োগকারীদের বরাদ্দের হার
- এমবি ফার্মার দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- নাফিজ সরাফাতের আরব আমিরাতের ফ্ল্যাট-ভিলা ক্রোকের আদেশ
- বিদিশা এরশাদের বিরুদ্ধে সম্পত্তি জবরদখলের অভিযোগ
- শেখ হাসিনার ‘নিশি রাতের ভোট’ নিয়ে অনুসন্ধান চালাবে দুদক
- সিএসই’র নতুন ট্রেডিং সময়সূচী প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছে ডিবিএ
- আইএমএফের চতুর্থ কিস্তির ঋণ পিছিয়ে যাওয়ার পেছনের কারণ
- বিদেশি বিনিয়োগে খরা, সর্বনিম্ন ১০ কোটি ডলার এফডিআই
- তারেক রহমানের সোনার আংটি পেল শহীদ রাকিবের নবজাতক
- বেক্সিমকো গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক তারেক আলম গ্রেপ্তার
- বোর্ড সভার তারিখ জানিয়েছে ২০ কোম্পানি
- ৩২ বছর বয়সে অবিবাহিত যুবক ৮৭ সন্তানের বাবা
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছে ঝুলন্ত লাশের পরিচয় প্রকাশ
- স্বামীর মৃত্যুর পর আবেগঘন পোস্ট দিলেন তনি
- বিএনপি ও খেলাফত মজলিসের মধ্যে বৈঠকে ৭ বিষয়ে ঐকমত্য
- অটোচালক ভজনের সঙ্গে সাইফ আলী খানের মুলাকাত
- জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে নতুন কাঠামো ও কার্যক্রমে পরিবর্তন
- বরফে ডিগবাজি দিয়ে আবারও আলোচনায় জায়েদ খান
- নির্বাচনে ফিরতে পারবে না আওয়ামী লীগ: প্রেস সচিব
- ট্রাম্পের আদেশে আতঙ্কে বাংলাদেশিরা
- পলকের রিমান্ড তো মাত্র শুরু হয়েছে: পিপি
- পুলিশের পোশাক গোলাপি করার আহ্বান সমন্বয়কের
- ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য বড় সুসংবাদ
- শাহজালাল বিমানবন্দরে সেই বিমান তল্লাশির পর যা জানা গেল
- এক দফা এক দাবি, মালয়েশিয়া কবে যাবি!
- মাহফুজ আলমের পোস্টে উত্তাল রাজনৈতিক অঙ্গন
- যেসব পণ্যে ভ্যাটের হার কমিয়েছে এনবিআর
- ১২ কর্মদিবসেই বিনিয়োগকারীদের ৩৫ শতাংশ পুঁজি হাওয়া!
- হঠাৎ চাপের মুখে ‘জেড’ গ্রুপের বিনিয়োগকারীরা
- ২২ জানুয়ারি ব্লকে পাঁচ কোম্পানির বড় লেনদেন
- আড়াইশ শেয়ারের চাপে শেয়ারবাজারে পতন
- ২২ জানুয়ারি লেনদেনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ২২ জানুয়ারি দর পতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ২২ জানুয়ারি দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ শেয়ার
- কেঅ্যান্ডকিউ’র বোনাস ডিভিডেন্ডে বিএসইসির সম্মতি
- ৫০ হাজার শেয়ার কেনার ঘোষণা
- জানা গেলো লতিফ সিদ্দিকীর মন্ত্রিত্ব হারানোর পেছনের আসল কারণ
- নির্বাচনে আ'লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে জামায়াত আমিরের নতুন বার্তা
- সিআরএম মেশিনের কারণে বদলে যাচ্ছে ব্যাংকিং খাত
- ৫১ লাখের বেশি শেয়ার বিক্রির ঘোষণা
- বিদেশে মিশন কর্মকর্তাদের জন্য বাড়ানো হলো ভাতা
- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা, রিফাতের ফেসবুক স্ট্যাটাসে নতুন তথ্য
- তিন দিনের ছুটি পাচ্ছে চাকরিজীবীরা
- যে জেলার সব উপজেলার ইউএনও নারী কর্মকর্তা
- পরিবার সঞ্চয়পত্র কেনায় নতুন নিয়ম জারি
- সিঙ্গাপুরের আইনে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে এস আলমের
- সাইফ আলিকে দেখতে হাসপাতালে শাকিব খান, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়
- হাসনাত আব্দুল্লাহর প্রথম ওয়াজ মাহফিল বক্তব্যে ঝড়
- শেয়ারবাজারে কারসাজির অভিযোগ, শাস্তির কবলে ৭ কোম্পানি
- নিজের সম্পদের হিসাব নিয়ে মুখ খুললেন হাসনাত
- যাচাই-বাছাইয়ের মুখে ৮৯ হাজার সরকারি চাকরিজীবী
- ডলারের দাম কমল, মুদ্রার বাজারে নতুন পরিবর্তন
- শেয়ারবাজারের ৮ ব্যক্তি ও ১০ প্রতিষ্ঠানকে ৯১ কোটি টাকা জরিমানা
- ইসলামী ব্যাংকের ৭০ হাজার কোটি টাকা লোপাট
- বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নরের বাসায় যা যা উদ্ধার হলো
- শেয়ার দাম অস্বাভাবিক বাড়ায় ডিএসইর সতর্কবার্তা
- টিউলিপ সিদ্দিকের পর এবার কপাল পুড়তে যাচ্ছে হাসিনা কন্যার