ঢাকা, রবিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

এবার চট্টগ্রামে ব্যাংকের লকার থেকে ১৫০ ভরি সোনা গায়েব!

২০২৪ জুন ০১ ২১:০২:৪৮
এবার চট্টগ্রামে ব্যাংকের লকার থেকে ১৫০ ভরি সোনা গায়েব!

নিজস্ব প্রতিবেদক : এবার চট্টগ্রামের একটি ব্যাংকের লকার থেকে ১৪৯ ভরি সোনা গায়েব হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। চট্টগ্রামের চকবাজারের ইসলামী ব্যাংকের একটি শাখায় এই ঘটনা ঘটে।

বর্তমান বাজারে এক ভরি সোনার মূল্য ১ লাখ ১৭ হাজার ১৭৭ টাকা। সে হিসেবে খোয়া যাওয়া সোনার দাম ১ কোটি ৭৪ লাখ ৫৯ হাজার ৩৭৩ টাকা।

তবে সোনার মালিকের দাবি, এসব সোনা ব্যাংকের কর্মকর্তা, কর্মচারীরাই সরিয়ে ফেলেছেন। এদিকে ব্যাংক থেকে সোনা চুরির বিষয়টি চট্টগ্রাম নগরীতে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

জানা যায়, নগরের চকবাজার এলাকার ইসলামী ব্যাংকে গেল ২৯ মে লকার খুলে চুরির বিষয়টি বুঝতে পারেন সোনার মালিক রোকেয়া বারী। এরপর তিনি চকবাজার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

কিন্তু এখন পর্যন্ত সাধারণ ডায়েরি এন্ট্রি করেনি চকবাজার থানা। তাই আগামী সোমবার (৩ জুন) চট্টগ্রাম আদালতে একটি মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। রোকেয়া বারী নগরের চট্টেশরী রোডের বিটিআই বেভারলী হিলসের বাসিন্দা।

তার চুরি হওয়া ১৪৯ ভরি সোনার মধ্যে রয়েছে ৪০ পিস হাতের চুরি (বড় সাইজ)। যার ওজন ৬০ ভরি। গলা ও কানের ৪টি জড়োয়া সেট। যার ওজন ২৫ ভরি। ১০ ভরি ওজনের একটি গলার সেট। ২৮ ভরি ওজনের ৭টি গলার চেইন। ১৫ ভরি ওজনের ৪টি আংটি। ৩০ জোড়া কানের দুল। যার ওজন ১১ ভরি।

রোকেয়া বারী বলেন, গত ১৬ থেকে ১৭ বছর ধরে চকবাজারের ইসলামী ব্যাংকের একটি লকার ব্যবহার করি। পাশাপাশি আমার নামে একটি অ্যাকাউন্টও রয়েছে।

বুধবার (২৯ মে) দুপুর দেড়টায় আমি কিছু সোনা লকার থেকে আনতে যাই। এসময় লকারের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে লকার খুলে দেওয়ার অনুরোধ জানাই। তিনি তার চাবি দিয়ে লকার রুমে দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে আমার জন্য বরাদ্দ রাখা লকার খোলা পাই।

এরপর আমি বিষয়টি দ্রুত চকবাজার থানার ওসিকে জানাই। তিনি দ্রুতই ঘটনাস্থলে আসেন, দেখতে পান আমার লকারে মাত্র ১০-১১ ভরি সোনা অবশিষ্ট রয়েছে। আমার ধারণা, ব্যাংকের লোকজনই এ ঘটনায় জড়িত।

তিনি বলেন, এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। ব্যাংকই যদি আমাদের কাছে নিরাপদ না থাকে, তাহলে আর কাকেই বা বিশ্বাস করব।

ভুক্তভোগী রোকেয়া বারীর ছেলে রিয়াদ মোহাম্মদ মারজুক শুক্রবার (৩১ মে) বিকেলে গণমাধ্যমকে বলেন, এ ঘটনায় চকবাজার থানার একটি সাধারণ ডায়েরি করতে যাই, কিন্তু ওসি সাহেব বলেছেন জিডি হবে না মামলা করতে হবে। তাই আগামী সোমবার চট্টগ্রাম আদালতে আমরা মামলা দায়ের করব। সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

এই বিষয়ে জানতে ইসলামী ব্যাংকের চকবাজার শাখার ম্যানেজার শফিকুল মওলাকে ফোন করলে তিনি বলেন, ‘এমন ঘটনা ঘটেছে, তবে মোবাইলে কিছুই বলা যাবে না। অফিসে আসেন, কথা বলব।’

এই বিষয়ে জানতে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালী উদ্দিন আকবরের অফিসিয়াল নম্বরে কয়েকবার কল দিলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে চকবাজার থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তৌহিদ কবিরের অফিসিয়াল নম্বরে কল দিলে তিনিও কল রিসিভ করেননি।

শেয়ারনিউজ, ০১ জুন ২০২৪

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে