নিজস্ব প্রতিবেদক : ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টিসহ দমকা বাতাস বইতে শুরু করেছে। সুন্দরবন উপকূলসহ মোংলায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়েছিল। সেটি এখনও বলবৎ রয়েছে। এরইমধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে গেছে পুরো সুন্দরবন।

আজ রোববার (২৬ মে) দুপুরে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজননকেন্দ্র ও পর্যটন স্পটের ওসি আজাদ কবির সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে চার ফুট পানি বেড়ে সুন্দরবন তলিয়ে গেছে।

তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়ে পানির চাপ আরো বাড়বে। তবে বন্যপ্রাণির ক্ষয়ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই বলে জানান তিনি। কারণ কর্তৃপক্ষে ইতোমধ্যে সাবধানতা অবলম্বন করেছে।

আজাদ কবির বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে কর্তৃপক্ষ অগ্রিম ব্যবস্থা নিয়েছে। এই কার্যক্রমের অধীনে সুন্দরবন বিভাগের কর্মকর্তা ও বনরক্ষীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বন বিভাগের ঝুঁকিপূর্ণ ক্যাম্পগুলোতে থাকা বনরক্ষীদের এরইমধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হয়েছে।

রেমালের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার বিষয়ে করণীয় দিক তুলে ধরে পৌর মেয়র শেখ আব্দুর রহমান জানিয়েছেন, ঝুঁকি এড়াতে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে জরুরি কাজ ও রোগীদের কথা চিন্তা করে মোংলা নদীতে ফেরি চালু রাখা হয়েছে।

মোংলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ হারুন অর রশিদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। এটি আজ রোববার সন্ধ্যা নাগাদ সুন্দরবন ও মোংলা উপকূল অতিক্রম করে পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় আছড়ে পড়বে। বিষয়ে নিয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক করা হয়েছে।

শেয়ারনিউজ, ২৬ মে ২০২৪