ঢাকা, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
Sharenews24

ওয়ালটনের নিজস্ব অর্থায়নে সর্ববৃহৎ ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ প্ল্যান্ট

২০২৫ অক্টোবর ২৭ ২১:২৬:১৯
ওয়ালটনের নিজস্ব অর্থায়নে সর্ববৃহৎ ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ প্ল্যান্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের শিল্পখাতে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে সুপারব্র্যান্ড ও টেক জায়ান্ট ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অনুসরণ করে পরিবেশবান্ধব সবুজ নীতি গ্রহণ করেছে। জিরো কার্বন নিঃসরণ, সাশ্রয়ী জ্বালানি ব্যবহার এবং পানি ও বিদ্যুৎ রক্ষায় প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে নবায়নযোগ্য বিভিন্ন ক্লিন ও গ্রিন এনার্জি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এই ধারাবাহিকতায়, ওয়ালটন সম্প্রতি নিজস্ব অর্থায়নে এক মেগাওয়াট ক্ষমতার ভাসমান বা ফ্লোটিং সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে।

নতুন মাইলফলক

গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে জলাশয়ের পানির ওপর স্থাপিত এই এক মেগাওয়াট ক্ষমতার ফ্লোটিং সোলার প্রজেক্টটি দেশের মধ্যে বেসরকারি উদ্যোগে নির্মিত সর্ববৃহৎ সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এর আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বুলনপুরে স্থাপিত ২.৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার সোলার পাওয়ার প্রজেক্টে জলাশয়ের পানির ওপর ০.৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার সোলার প্যানেল ভাসমান অবস্থায় স্থাপন করা হয়েছিল। শিল্প সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এই উদ্যোগ টেকসই শক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সবুজ ও বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ার ক্ষেত্রে আরেকটি নতুন মাইলফলক।

বহুমুখী সুবিধা ও টেকসই প্রযুক্তি

ওয়ালটন-এর এনভায়রনমেন্ট, হেলথ অ্যান্ড সেফটি বিভাগের প্রধান মোস্তাফিজুর রহমান রাজু জানান, এই ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পটি কেবল বিদ্যুৎ উৎপাদনই করছে না, বরং মাছ চাষ, ভূমি সংরক্ষণ, পানির বাষ্পীভবন হ্রাস ও পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

পরিবেশবান্ধব উপাদান: এই প্রকল্পে ব্যবহৃত ফ্লোটিং স্ট্রাকচারগুলো ফুড-গ্রেড প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি, যা পানি বা জলজ প্রাণীর জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ। প্যানেলগুলো এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে, যাতে মাছের স্বাভাবিক জীবনচক্রে কোনো বাধা সৃষ্টি না হয়। এই ফ্লোটিং সিস্টেম আগামী ২০ বছর পর্যন্ত কার্যকর ও টেকসইভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে।

গ্রিডে সংযোগ: ফ্যাক্টরি বন্ধ বা আংশিক উৎপাদনে থাকলে এই প্ল্যান্ট থেকে উৎপাদিত অতিরিক্ত বিদ্যুৎ নেট মিটারিং সিস্টেমের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে।

সবুজ কারখানার মডেল

এই ফ্লোটিং প্ল্যান্ট স্থাপনের মাধ্যমে ওয়ালটন বাংলাদেশের শিল্পখাতে নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারে একটি নতুন মাইলফলক ও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি আরও দুটি জলাশয়ে একই ধরনের ফ্লোটিং সোলার প্ল্যান্ট বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

এছাড়াও, ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে বিভিন্ন স্থাপনার রুফটপ, ফুটপাত এবং অন্যান্য খালি জায়গায় ১০ মেগাওয়াট সৌর শক্তি প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার হচ্ছে। পরিবেশ রক্ষায় ইটিপি’র মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাতকৃত পানির প্রায় ৭৫% নিরাপদভাবে পুনঃব্যবহার করা হচ্ছে এবং প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহার ও ই-বর্জ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে সম্পদের পুনঃব্যবহার নিশ্চিত করছে। এই কার্যক্রমের ফলস্বরূপ, প্রতিষ্ঠানটি ৯১১,৮২৩ মেট্রিক টন কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসরণ হ্রাস এবং সামগ্রিক কার্বন ফুটপ্রিন্ট ১০% কমাতে সক্ষম হয়েছে।

সালাউদ্দিন/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে