ঢাকা, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
Sharenews24

জাপানে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য বড় সুখবর

২০২৫ অক্টোবর ২৭ ১৬:৪৭:৪৫
জাপানে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য বড় সুখবর

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ থেকে জাপানে এক লাখ দক্ষ কর্মী নিয়োগের উদ্যোগে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। এ বিষয়ে সর্বশেষ অগ্রগতি জানাতে জাপানের ন্যাশনাল বিজনেস সাপোর্ট কম্বাইন্ড কো-অপারেটিভস (এনবিসিসি)–এর ২৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল রোববার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস–এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার উপ–প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। বৈঠকে প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এবং এসডিজি–বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

এনবিসিসি হলো জাপানের ৬৫টিরও বেশি কোম্পানির সমন্বয়ে গঠিত একটি ব্যবসায়িক ফেডারেশন, যারা সম্প্রতি বাংলাদেশের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (MoI) সই করেছে। এই চুক্তির লক্ষ্য হলো জাপানে বাংলাদেশি কর্মীদের প্রশিক্ষণ, সার্টিফিকেশন ও কর্মসংস্থানের জন্য একটি কাঠামো গঠন করা।

চুক্তির আওতায় আগামী পাঁচ বছরে “টেকনিক্যাল ইন্টার্ন ট্রেনিং প্রোগ্রাম (TITP)” এবং “স্পেসিফাইড স্কিলড ওয়ার্কার্স (SSW)” প্রকল্পের মাধ্যমে এক লাখেরও বেশি দক্ষ কর্মী জাপানে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

প্রথম ধাপে আগামী বছরই দুই হাজার দক্ষ কর্মী পাঠানো হবে। পরবর্তী ধাপে ২০২৭ সালে ৬ হাজার ও ২০২৮ সালে ১৮ হাজার কর্মী নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

প্রতিনিধিদল জানায়, সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকবে নির্মাণ, সেবা, গার্মেন্টস, কৃষি ও এভিয়েশন খাতে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে অটোমোবাইল, ড্রাইভিং ও রিসাইক্লিং খাতেও বাংলাদেশি কর্মীর প্রয়োজন বাড়বে।

বাংলাদেশে ইতোমধ্যে খুলনা ও গাজীপুরের কাপাসিয়ায় দুটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করা হয়েছে, যেখানে সম্ভাব্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এনবিসিসি প্রতিনিধিরা কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করে প্রশিক্ষণের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

এনবিসিসি চেয়ারম্যান মিকিও কেসাগায়ামা বলেন,“গত মার্চে কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখেছিলাম, এবার এসে অবাক হয়েছি—মাত্র সাত মাসে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। প্রশিক্ষণের মান ভালো হয়েছে। আগামী বছরই দুই হাজার কর্মী পাঠানো সম্ভব হবে।”

তবে তিনি প্রশিক্ষকদের ভাষাগত দক্ষতা আরও উন্নত করার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন।

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন,“ভাষাগত দক্ষতাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। জাপান থেকে অনলাইনে ভার্চুয়াল ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। প্রয়োজনে জাপানি প্রশিক্ষকদের বাংলাদেশে এনে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথাও বিবেচনায় আছে।”

তিনি আরও বলেন,“বাংলাদেশি নারীরা কেয়ারগিভিং সেক্টরে অত্যন্ত দক্ষ। যথাযথ প্রশিক্ষণ ও ভাষা দক্ষতা অর্জন করলে তারা জাপানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন।”

এনবিসিসি প্রতিনিধিরা জানান, আগামী কয়েক বছরে জাপানে ৪ লাখের বেশি নার্সের চাহিদা তৈরি হবে, এবং বাংলাদেশ থেকে নার্স নিয়োগের বিষয়টি তারা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছেন।

বৈঠকে উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন,“জাপানে কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়মিতভাবে পর্যালোচনা করছে সরকার। এজন্য একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ তৈরি করা হবে এবং দ্রুত সমস্যা সমাধানে একটি বিশেষ সেল গঠন করা হয়েছে।”

মুয়াজ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে