ঢাকা, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫
Sharenews24

এক ভোটে একাধিক আসন: পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন

২০২৫ জুলাই ০৩ ১২:২২:২৩
এক ভোটে একাধিক আসন: পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় সংসদে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (PR) পদ্ধতি চালু নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। সংবিধান সংস্কার ও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সংসদের উচ্চকক্ষে এ পদ্ধতি চালুর প্রস্তাব দেয়। কিন্তু প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এ নিয়ে মতানৈক্য স্পষ্ট।

বিএনপি ও তাদের মিত্র জোট PR পদ্ধতির বিরোধিতা করছে। তারা আশঙ্কা করছে, এটি নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার কৌশল হতে পারে।

জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন উচ্চকক্ষের পাশাপাশি নিম্নকক্ষেও PR চালুর দাবি জানিয়েছে।

এনসিপি, এবি পার্টি ও নাগরিক ঐক্য উচ্চকক্ষে PR পদ্ধতির পক্ষে থাকলেও নিম্নকক্ষের ভিত্তিতে আসন বণ্টনের বিরোধিতা করেছে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর মতানৈক্যের কারণে আরও আলোচনা প্রয়োজন। তিনি বলেন, “এটি একটি মৌলিক বিষয়। এখনই চূড়ান্ত কিছু বলা ঠিক হবে না।”

দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ: নিম্নকক্ষ বিদ্যমান নিয়মে থাকবে। সংরক্ষিত নারী আসন বাড়িয়ে ১০০ করা এবং সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে নির্বাচন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

উচ্চকক্ষ: ১০০ সদস্য রাজনৈতিক দলের প্রাপ্ত ভোট অনুযায়ী মনোনীত হবেন। তারা আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় পর্যালোচনা ও পরামর্শ দিতে পারবেন। সংবিধান সংশোধন, জাতীয় নিরাপত্তা ও যুদ্ধ ঘোষণায় তাদের সম্মতির প্রয়োজন হবে।

১ জুলাই বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, “সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি ঐক্যের পরিবর্তে বিভক্তি সৃষ্টি করতে পারে। এতে ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসনের আশঙ্কা রয়েছে।”

নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো. আব্দুল আলীম জানান, PR পদ্ধতি বিশ্বের ৯০টির বেশি দেশে চালু রয়েছে। এতে ভোটের অপচয় কম হয় এবং দলগুলোর জবাবদিহিতা বাড়ে। তবে রাজনৈতিক সংস্কৃতি না পাল্টালে এটি কার্যকর হবে না।

PR পদ্ধতির পক্ষে ও বিপক্ষে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান স্পষ্ট। কারও মতে এটি অধিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করবে, আবার কারও মতে এটি অস্থিতিশীলতার সৃষ্টি করতে পারে। ঐকমত্য ছাড়া এ পদ্ধতি বাস্তবায়ন সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

মুসআব/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে