ঢাকা, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
Sharenews24

ধূমপায়ীরা যেভাবে ফুসফুস পরিষ্কার করতে পারেন

২০২৫ জুন ১৫ ১৩:০৭:৩৬
ধূমপায়ীরা যেভাবে ফুসফুস পরিষ্কার করতে পারেন

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফুসফুস মেরুদণ্ডী প্রাণীর একটি অঙ্গ, যা শ্বাস-প্রশ্বাসের কাজে ব্যবহৃত হয়। এর প্রধান কাজ হচ্ছে বাতাস থেকে অক্সিজেনকে রক্তপ্রবাহে নেওয়া এবং রক্তপ্রবাহ থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইডকে বাতাসে নিষ্কাশন করা। তবে এ ফুসফুস সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ধূমপানের কারণে।

ধূমপানের ফলে রক্তে নিকোটিনের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে ফুসফুসে ধোয়া জমতে থাকে। যার ফলে ফুসফুসে জমতে বাসা বাধতে থাকে নানা ধরনের রোগ। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে বাঁচতে পারবেন ফুসফুসকে। স্কাই বোল্ডের এক প্রতিবেদনে ওঠে আসে এসব তথ্য।

চলুন জেনে নেওয়া যাক-

যোগ ব্যায়াম অভ্যাস করুন

প্রাণ ভরে শ্বাস নিন। প্রাণ ভরে শ্বাস নেওয়ার ফলে শরীর নিজেই টক্সিন ঝেড়ে ফেলবে। গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস রক্তে অক্সিজেনের প্রবাহ বাড়ায়, শক্তি জোগায় ভেতর থেকে। নিয়মিত যোগ ব্যায়াম শরীরের ভারসাম্য ফেরায়, ফুসফুস রাখে পরিষ্কার ও কার্যকর। শ্বাসই হতে পারে শরীর চর্চার সহজ অথচ শক্তিশালী পদ্ধতি।

পুদিনা-তুলসী পাতার ব্যবহার

ফুসফুসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে প্রাকৃতিক পথেই মিলতে পারে উপশম। পুদিনা, তুলসী কিংবা বাসক পাতার রস—প্রতিটিই শরীরের জন্য উপকারী। এদের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও জীবাণুনাশক গুণ ফুসফুসকে করে শক্তিশালী, সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। প্রাকৃতিক চিকিৎসায় ভরসা রাখলে অনেক সময় এড়ানো যায় অপ্রয়োজনীয় ওষুধও।

ডায়েটে আনারস

ডায়েট চার্টে রাখুন এমন খাবার, যেগুলোতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস আর ভিটামিন সি-তে ভরপুর। শরীরের প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে এগুলোর জুড়ি নেই। আনারস, পেয়ারা কিংবা স্ট্রবেরি—এই ফলগুলো শুধু স্বাদেই নয়, রোগ প্রতিরোধেও কাজ দেয় দুর্দান্তভাবে।

আদার রস

গলা খুসখুস, সর্দি-কাশি কিংবা ফুসফুস পরিষ্কারে আদা যেন প্রাকৃতিক টনিক। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও জীবাণুনাশক উপাদান, যা মিউকাস সরিয়ে দিতে সহায়তা করে। এক টুকরো কাঁচা আদা মুখে পুরে রাখলেই মিলতে পারে তাৎক্ষণিক উপশম। ওষুধ ছাড়াই আরাম চায় যাঁরা, তাঁদের জন্য আদাই হতে পারে সহজ ও কার্যকর সমাধান।

গাজরের রস

গাজরের রস শুধু ফুসফুস পরিষ্কার করে না, শরীর থেকে দূষিত উপাদানও বের করে দেয় নিঃশব্দে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে রাখে সজাগ, ভেতর থেকে জোগায় শক্তি। প্রতিদিন অল্প করে গাজরের রস খেলে শরীর থাকে হালকা ও চাঙ্গা। ক্লান্তি কমে, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে চোখে পড়ার মতো।

লেবুর রস

শরীর সুস্থ রাখতে লেবুর রসের কোনো জুড়ি নেই। এতে থাকা ভিটামিন সি ফুসফুসকে করে শক্তিশালী, দূষণ বা সংক্রমণের বিরুদ্ধে গড়ে তোলে প্রতিরোধ। প্রতিদিন এক গ্লাস লেবুর শরবত শরীরকে রাখে পরিষ্কার, সতেজ আর সুরক্ষিত। সুস্থ থাকতে চাইলে এই সহজ অভ্যাসেই হতে পারে বড় লাভ।

গ্রিন টি

নিয়মিত গ্রিন টি খেলে ফুসফুস শক্তিশালী ও সুস্থ থাকে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শ্বাসপ্রশ্বাসের পথ পরিষ্কার করে, দূষণ ও সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই বাড়ায়। এক গ্লাস গ্রিন টি হলে ভেতর থেকে তাজা অনুভব, শরীর পায় নতুন শক্তি। স্বাস্থ্য সচেতনদের জন্য গ্রিন টি হয়ে উঠেছে অপরিহার্য।

দুগ্ধ জাতীয় খাবারে না

ফুসফুস পরিষ্কার রাখতে দুগ্ধজাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। দুধ ও দুধজাত দ্রব্য শ্বাসনালিতে লালা জমাতে সাহায্য করে, যা পরিষ্কারের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে। ফুসফুসের স্বাস্থ্য ধরে রাখতে হলে এই ধরনের খাবারে সংযম বজায় রাখা বাধ্যতামূলক। স্বচ্ছ শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন অপরিহার্য।

মুসআব/

পাঠকের মতামত:

স্বাস্থ্য এর সর্বশেষ খবর

স্বাস্থ্য - এর সব খবর



রে